বাঙালি সমাজ:
খান জান্নাতুল ফেরদৌস আলাপী’র (অপরাজিতা)
এ পৃথিবীতে কিছুই আমার না আর আমিও কারো নয় এ সত্যিটা যখন কোন মানুষ বিশ্বাস করতে শেখে বা পারে বিশ্বস করতে, ঠিক তখনই মানুষের জীবনে সুখ আসে
অর্থাৎ নিজেকে নিস্য করে রাখতে হবে!
কোনকিছুই এ প্রকৃতির কাছে প্রত্যাশা করা যাবে না।
হ্যাঁ, সত্যি বলছি, তবেই আপনি সুখি মানুষ।
যখন আপনি কাউকে ভরসা করবেন আপনার জীবনের
সুখ, আনন্দ দুঃখ ভাগ করে নেবেন প্রথমে সে ভাল ব্যবহার করলেও পরে আপনাকে সেই বিষয়গুলো নিয়ে খোটা দেবেন, আপনার দুর্বলতা যেনে আপনাকে আরো বেশি ভেঙে গুড়িয়ে দেবে—
সে লোকটি যদি আপনার স্বামী হয় তবুও সে এমনই করবেন। যে স্বামীর পুরুষত্ব নেই বা যোগ্যতা নেই তবু সে পৌরুষ অহংকার দেখাবে আর যদি পুরুষত্ব থাকে তাহলেতো কথাই নেই, আপনি যত বড় মাপেরই মানুষ হোন না কেন আপনাকে সে সম্মান করতে পারবেনা। কারণ আপনি নারী আপনাকে তার পায়ের নিচে থাকতেই হবে,যদিও সে আপনাকে খেতে পরতে কিছুই দেয় না তবু আপনাকে সে তার চাবি দিয়া পুতুল বানাবেন, হাসতে বললে হাসবেন, কাঁদতে বললে কাঁদবেন, দিনকে রাত আর রাত কে দিন বললে আপনাকে তাই বিশ্বাস করতে হবে।যে এটা পারবেনা মেনে নিতে তার সংসার হবে না কোনদিন।কারন এরা বাঙালি পুরুষ এরা কোনদিন বদলাবেনা।যে পুরুষগুলো বলেন, যে আমি তোমার স্বামী মানে আমি তোমার দ্বীতিয় খোদা তাদের মত ভয়ানোক পুরুষ একটাও হয়না, কারন সে জানেই না স্রষ্টার সাথে কোনকিছুই তুলনা করতে নেই
আমি দেখেছি ভালো মানুষের আড়ালে কি ভয়ঙ্কর রুপ।বিধি বাম আপনার ভাগ্যে যদি আপনার বাবার মত ভাল মানুষ স্বামী না হয় দুঃখ পাবেন না কারণ বাবারা সব সময়ই ভাল হয় বাট একটা পুরুষ ও ভাল হয়না।আমি নীলা বলছি,যখন কোন পুরুষ আপনার প্রেমিক থাকে তখন গোটা পৃথিবী আপনাকে হাতের মুঠোয় এনে দিতে পারে বাট যখন স্বামী তখন আপনাকে ফুটবল বানিয়ে আপনাকে লাথি দিতেই থাকবে।ভাল স্বামী, ঘর, বর পাওয়ার জন্য আপনাকে কোন যোগ্যতা নয় শুধু ভাগ্য নিয়ে জন্মাতে হবে।সত্যিই আমাদের বাঙালি মেয়েদের ভাগ্য বেশি মন্দ হয়।
তারপরও এ সমাজ মেয়েদেরই দোষ দেয় ছলনাময়ী বলে। এমন সমাজের মুখে…
১ Comment
very good job; congratulation.