বাংলাদেশের সংগীতায়োজনে জীবন্ত কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন।
তার কণ্ঠের জাদুতে বিমোহিত শ্রোতারা। সংগীতাঙ্গনে এখনো নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। এই খ্যাতিমান গায়িকার জন্মদিন আজ।
এ প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, জন্মদিন এলেই আব্বা-আম্মা এবং আমার বোনদের খুব মিস করি। কিন্তু তারপর সবার ভালোবাসা পেয়ে আমি সে কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই শুভেচ্ছা জানান। দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপনের কোনো ইচ্ছা নেই। ঘরেই সময় কাটবে। এটিএন বাংলা আজ আমার জন্মদিনকে বিশেষভাবে উদযাপনের জন্য নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু আমি আসলে সময়টা ঘরেই কাটাতে চাচ্ছি নিজের মতো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও সবার জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন সবাইকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।
প্রয়াত বরেণ্য সুরকার-সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষের সঙ্গীত পরিচালনায় এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ সিনেমাতে ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম গান করেন। তবে ১৯৬৭ সালে আমজাদ হোসেন ও নুরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘আগুন নিয়ে খেলা’ সিনেমাতে আলতাফ মাহমুদের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘মধু জোছনা দীপালি’ গানটি গাওয়ার মধ্য দিয়ে প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
বরেণ্য এই সঙ্গীতশিল্পী ১৯৮৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারসহ ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে প্রমোদকার পরিচালিত ‘সুজন সখী’ সিনেমাতে গান গাওয়ার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘দুই জীবন’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘চন্দ্রনাথ’, মইনুল হোসেনের ‘প্রেমিক’, বুলবুল আহমেদের ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, কাজী হায়াতের ‘দাঙ্গা’, মতিন রহমানের ‘রাধা কৃষ্ণ’, মোহাম্মদ হোসেনের ‘আজ গায়ে হলুদ’ ও চাষী নজরুল ইসলামের ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে ‘পুত্র’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন সাবিনা ইয়াসমিন।
১৯৭১ সালে নঈম গহরের লেখা ও আজাদ রহমানের সুরে সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো’ গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম প্রেরণা জুগিয়েছিল।