মরার আগেই মরেছি!
মুহাম্মদ কামাল হোসেন (কুড়ি)
আপনজনের শ্রেষ্ঠ জন হারিয়ে সবার পর হয়েছি
দিন না পেরুতে অর্থে মানে অদ্ভুত অচেনায় পড়েছি
অবহেলার দৃশ্য ভবি খোটা জ্বলন্ত প্রমাণ আজ আমি
তেড়ে আসে অতীত ভুল সর্বক্ষণ বেওয়ারিশ গালি
কথার বিষে ভবিষ্যতের নোংরা ভবিষ্যৎ শুনে
অল্পদিনেই সব সুখ হারিয়ে পাটখড়ি হয়েছি।
প্রতিবেশি ভদ্র সমাজ জৌলুস আড়ম্বরি ঢঙে
কষ্টের কেতনে কখনো কারো চোখ পড়েনি ভুলে
শত চেষ্টা করেও ভদ্র হৃদয় ছুঁতে পারিনি মনে
তাই অভিমান আর ঘৃণায় দুঃখকে মুক্তি দিয়ে
মরার আগেই মরতে যাব এই চিন্তা আসে।
হঠাৎ চোখে ভাসলো নিষিদ্ধ কাজলীর ছবি
যে কী না সাহস দিত বাঁচতে হবে প্রিয় রবি
সেই তারে না বলে কেমনে আজ অকালে মরি?
আমার মত কাজলীও একা আপন কেউ নাই
লোকে বলতো যুবকেরা নষ্টে সেই তো বড় দাই
আমার মরায় বাঁধ সাজলো নতুন স্বপ্ন আঁকে
পাড়ি জমালাম অচেনা অজানায় কাজলীর সাথে
ভদ্র সমাজ মোদের আজীবন নিষিদ্ধ সীল মারে।
দিন না পেরুতেই অজানায় জেনে চেনাজন আসে
যেজন্য নিষিদ্ধ সেই ঘরে চুপিসারে মজলিস বসাতে
আশ্চর্য হই তখন ভদ্র সমাজ সমস্ত বিলাসিতা ছাড়ি
ছুঁতে আসে নিষিদ্ধ সীল খুলি দিতে বিভোর পাড়ি।
সুখের ডগা শরীরে ছুঁয়ে হয়েছি পৃথিবীর বন্দী পরী
প্রতিদিন আচম্বিত নিষিদ্ধের ধারকগণ অভিসারে আসি
নর্দমায় ফুল ফোঁটায় সুগন্ধি পানি মন্ত্র ছাড়ি।
সব জেনেও নীরব পাথর সেজেছি
কেন না মরার আগেই মরেছি !