বিক্ষিপ্ত চিন্তা
কানিজ সাপি
হঠাৎ এক গোঙানির শব্দে শান্ত পৃথিবীতে গাঙচিলের ঘুম ভাঙে
নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে রক্তক্লান্ত ক্লান্তির আহ্ববানে দেহ চেতনা খুঁজে
শরীর ছুঁতে চায় সূর্যকরোজ্জ্বল প্রভাত
পৃথিবীর কাছে ক্রমমুক্তি চেয়ে দেখি
গভীর থেকে গভীরতর ক্লান্ত পৃথিবী
রৌদ্রেও ম্লান হয় আর জাগবে না বলে
কুহেলি যাত্রা সকালের নির্জন পথে তাই
গুটিয়ে নিয়েছে উদ্যম আলো পৃথিবীর চৌহদ্দিতে
বেদুইন তৃষ্ণায় কমলা বিকেল এক ঢোকে গিলে খেয়েছে
ক্ষুধার্ত এক আদি অরনিম আঁধার
চাঁদের চোখেও তাই রক্ত পৃথিবীর
এটাই প্রথম হাস্যকর বেদনা ও সংবেদনশীল অভিধান
যেন সে এই প্রথম অগাধ ভ্রান্তির অসুখে আক্রান্ত।
স্তব্ধ হই ফুরায়ে গিয়েছে বাতাসের শব্দ স্পন্দন সংঘর্ষ কিংবা উদ্যম চিন্তা
শতশত নরনারী আমরা মূর্খ উচ্ছ্বাসে সূর্যকে চন্দ্রমুখী সুখ ভেবে
অন্ধকারের স্তন্য চুষে নক্ষত্রের আলো হাতড়াই জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াবার জন্য
আমিও বেঁচে আছি দমকা এক হওয়ার মাঝে
অপেক্ষার প্রহরে স্বপ্ন ভাঙে জীবনের বিলাসিতার ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে
সন্নিবেশিত সেতারের সুরে সন্ধ্যার দেউড়িতে যে ছায়া
সেখানে ঝিঁঝিঁর নৈঃশব্দ ও মরা পথের কঙ্কাল
একটা আহত ঘাসফড়িংয়ের মতো করুণ পল্লবিত ঠোঁটে মৃদু তাচ্ছিল্য নিয়ে,
হেঁটে যাই শেষ পৃথিবীর পথে নিঃসংকোচে অগাধ শূন্যতায়
ইতিহাস কি মরে জন্ম নেয় আবার
কাল থেকে কালান্তরে অচল সময়ের জীবন প্রবাহে।