প্রশ্ন তোমায়
ফরিদা ইয়াসমিন
আচ্ছা সখী বলতে পারিস কেন এমন করে ?
ক্ষণে ক্ষণে তোরই কথা ভীষণ মনে পড়ে।
সারাটা দিন কাজের ফাঁকে, কথার বাঁকে বাঁকে,
তোর-ই স্মৃতি মনে কেন,হাজার প্রশ্ন রাখে ?অনুভব যদি করেছি, কাউকে, হৃদয়ের পাশাপাশি,
এই যাহ্ সেথায় ও তুই, ওরে সর্বনাশী।
অফিস বলিস কলেজ বলিস, যখন যেথায় যাই,
পথ চলতে, মাঠের ধারে কিম্বা রেস্তোরাঁয়
তোর-ই স্মৃতি মনে কেন রং ছড়িয়ে যায়?
দূর ছাই ! তোরে ভুলা , ভীষণ বড় দায় ।
শেষ বিকেলে কখনও যে-ই লনে গেলাম চলে ,
ফুলগুলো সব হেসে উঠে ,তোরই কথা বলে।
সাঁঝের বেলা নীলকাশের তারার মেলায় দেখি,
সেথায় ও তুই ঠাঁই নিয়েছিস করলি কিরে একি?
আলোর বন্যায় ভাসিয়ে দিয়ে চাঁদ উঠে যেই আকাশ ঠাঁই,
চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙ্গে যায় তোরই হাসির মূর্ছনায়!
সুখ কি আমায় দিবি না রে,বল না সত্যি করে,
তুই যে আমায় তাড়া করি কোন সে তেপান্তরে।
ইস কি যে করি মরি মরি যখন যেথায় ফিরি হায়রে সারাক্ষণ!
কি সুখ তুই পাস তো বল্ জাগিয়ে শিহরণ?
সবটুকু ক্ষণ শেষ করে যেই শয্যা সাগরপাড়ে
সেথায় ও তোর ছোঁয়া জাগে নিবিড় অন্ধকারে!
আহা! কি যে করিস বলতে পারিস
কেন আমার সাথে ?
চোখ দুটি মোর বন্ধ হলো যেই না তিমির রাতে ,
হঠাৎ করে ঘুমের ঘোরে, স্বপ্ন সমুদ্রে
সেথায় ও তুই সাঁতার কাটিস মনের আনন্দে ।
এমনি করেই একে একে প্রহর কেটে যায়
সবটুকু ক্ষণ ভরে রাখিস অনুরাগের ছোঁয়ায় ।
পুবের আকাশ ফর্সা হলে জানিয়ে সম্ভাষণ ,
শীতল মধুর পরশ বুলায় ভোরের সমীরণ ।
আঁখি মেলেই শুনি সেথায় তোরই গুঞ্জন!
কুহু কুহু ডাকে কোকিল ওইযে দূর বনে,
মিষ্টি মধুর পাখির কূজন জাগায় খুশি মনে,
ভাবতে ভীষণ ভালো লাগে সেই না মধুরক্ষণে
গাছের পাতায় এসে পড়ে যখন সূর্যখানি
কাঁচা রোদ ভরিয়ে দেয় হয়তো হৃদয়খানি
বিশ্বাস কর! সূর্যতো নয় ,
সে যে তোর-ই হাতছানি!