Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

জানালায় (মোঃ হাবীবুর রহমান) ০৯ জানুয়ারি / ২০২২ এ-ই জানালা কপাট খোলা বাইরে থেকে রৌদ্র আসে, মৃদু-মন্দ বাতাস আসে; মেঘ দেখা যায়… যায় যে ভেসে দূর আকাশে। পাশেই বাগান সুবাস আসে, কীটপতঙ্গ পোকামাকড়, মশা মাছি সে-ও আসে। ও-ই সুদূরে… ডাস্টবিনের ঐ ভাগাড় থেকে, গন্ধ আসে মাঝে মাঝে, দমকা হাওয়া যখন আসে। বস্তিবাসী ঝগড়া করে, ক্ষুধার জ্বালায় যে শিশুটি কান্না করে; সেই আওয়াজ ও আসে ভেসে। চৈত্র-দিনে লু-হাওয়া আর পৌষ সকালে কুয়াশা আসে, বাদল দিনে বৃষ্টির ছাঁট, কমবেশি তো আসেই বটে। পাশের বাড়ির বন্ধ ফটক গাড়ির হর্ণে যায় খুলে, পোষাকধারী গেট-দারোয়ান বাকি দিন তার ঝিমিয়ে কাটে! দৃষ্টিহীন এক অন্ধ লোকে পথের…

আরো পড়ুন

ছবি- ছিটমহল কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনা-এইচ আর হাবিব প্রযোজনা-কমন্ হোম এটাচার। পরিবেশনায়-জাজ মাল্টিমিডিয়া। রিলিজ ডেট-১৪ ই জানুয়ারি অভিনয়ে-জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, মৌসুমি হামিদ, আরমান পারভেজ মুরাদ, মীরাক্কেলের সজল, ডন হক, এবিএম সোহেল রশিদ, উজ্জ্বল কবির হিমু, অঞ্জলি সাথী ও শিমুল খান প্রমূখ। শুটিং স্পষ্ট-মাড়েয়া ছিটমহল পঞ্চগড়। ছিটমহল চিত্রায়ণে ছিটমহলের বাস্তবতা তুলে ধরতে ছিটমহলেই শুটিং করতেই হবে।  পরিচালকের এমন গোয়ার্তমির কারণে তীব্র শীতে দলবেঁধে পুরো ইউনিট ছুটলো মাড়েয়া ছিটমহল পঞ্চগড়। এক দেশের ভেতর অন্যদেশ। উল্লেখযোগ্য সাহায্য-সহযোগিতা নেই। এ হলো সংগ্রামী জীবন। যেন সূর্য বিহীন বৃক্ষের বেড়ে উঠা। ভাবতেই কেমন লাগে। মানুষ থেমে থাকে না।  সভ্যতার পথ ধরেই এগোয়। ছটমহলের নানাবিধ সংকট…

আরো পড়ুন

অমর একুশে বইমেলা-২০২২ ভালোবাসার স্পন্দন (কাব্যগ্রন্থ) কবি অধরা আলো কবি পরিচিতি: ১৯৮২ সালের ১৪ই এপ্রিল শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার অন্তর্গত দক্ষিণ সিড্যা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। পিতার: আলম চাঁন ব্যাপারী মাতার নামঃ- ফিরোজা বেগম বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনিই বড়। স্কুল জীবন থেকে লেখার হাতেখড়ি। স্কুলের ম্যাগাজিন গুলোতে কবিতা গল্প ছাপানো হত। কবি কবিতা, গল্প পড়তে,গান শুনতে ভালোবাসেন। তিনি বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। লিখতেও ভালোবাসেন, এবং যতদিন বেঁচে থাকবেন লেখালেখি করেই বেঁচে থাকতে চান। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি এক সময় শিক্ষিকা ছিলেন, বিভিন্ন বুটিকস হাউজের সাথে ও কাজ করেছেন। স্বামী সুমন ডালী (ব্যাবসায়ী), এক ছেলে আরাফাত মাহমুদ…

আরো পড়ুন

রক্তকরবী নাটক: রঞ্জনের মৃত্যু ও প্রাসঙ্গিকতা।: রক্তকরবী নাটকে মূলত নন্দিনী ও রাজার মধ্যে এক ধরণের দেওয়া-নেওয়ার পালা দেখতে পাওয়া যায়। রাজা নিষ্ঠুরতাকেই তার আভিজাত্য বলে মনে করে। এটিই তার চরিত্রের ব্যক্তিত্ব। সে কেবল নিতেই চায়। এই চাওয়াটার ক্ষেত্রে রাজা কোন আপোষ করতে নারাজ। অন্য দিকে নন্দিনী শুধু দিতে চায়। সে যেন দেবার জন্যেই জন্মেছে। এই দেবার ক্ষেত্রে তার কোন বাছ-বিচার নেই। নন্দিনীর দেবার সম্পদ— তার ভালোবাসা। এ ভালোবাসা আহেল-ভালোবাসা। চন্দ্র যেমন জ্যোৎস্না বিলায়—- তার এই বিলানোচ্ছুও আহেল। নন্দিনীর ভালোবাসা— কিশোর থেকে অধ্যাপক এমন কি বিশু সকলেই পেয়েছে। এই ভালোবাসার পরশে সকলের মধ্যেই এসেছে পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের দিকটি হল— মনোক্রমবিবর্তন। যেমন…

আরো পড়ুন

বিজয় মানে দায়িত্ব (আইরিন সুলতানা লিপি) বিজয় মানে এই নয় শুধু পতপত উড়বে পতাকা, এই বিজয়ের পিছে রয়েছে কোটি স্বপ্নের আহুতা। বিজয় নিশান কিভাবে এলো? তোমরা জানো না সেই কথা, দেশজনতার ছাতিতে বুলেট পেতে দিয়েছে মাথা। একাত্তরের সেই রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর জোড়ালো ভাষন, পূর্ব বাংলাকে আয়ুব খান করেছিল ইচ্ছে মতো শোষণ। বাংলার শিশু বৃদ্ধ দামাল সকল শ্রেনীর জনগণ, মানেনি শোষণ আয়ুবের কথন প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে জনমন। দুধের শিশুকে টেনে ফেলে দিয়ে পিষে মেরেছে বুটে, বাবার সামনে মেয়েকে ধর্ষণ ছিড়ে খুবলে খুটে। একাত্তরের সেই হানাদার বাহিনী নোংরা হাসির উল্লাস, উলঙ্গ নারীর যৌবন নিয়ে খেলা হাসিতে ফেটে পড়েছে পিচাশ। বলো কেউ কি…

আরো পড়ুন

বিরামহীন এই যুদ্ধ বিরামহীনযুদ্ধ, শুধুই যুদ্ধ এপারে যুদ্ধ, ওপারে যুদ্ধ বিরামহীন এই যুদ্ধ । সারাদিনভর যুদ্ধ করে নিস্তব্ধরাতে ক্লান্ত যোদ্ধা স্বপ্নদেখে আসবে নতুনদিন – তখন শান্তির হাওয়া ক্লান্তযোদ্ধার দু’চোখে দেয় চুম আসে রাজ্যের যতো ঘুম.. । যুদ্ধ, শুধুই যুদ্ধ বিরামহীন এই যুদ্ধে ছুটছে পথে ক্ষুধার জ্বালায় লাগাম ছিড়ে সুখ যে পালায় হাহাকারে ভাঙ্গে বুক কোথাও কি নেই সুখ? ডাস্টবিনেতে কুকুর-বিড়ালে আর মানুষে চলে যুদ্ধ যুদ্ধ শেষে ক্লান্ত দেহে ইট- শুরকি বিছানো পালঙ্কতে স্বপ্নরা সব ভিড় জমিয়ে করে কত খেলা কাল হয়তো আধাপেটে নয়তোবা খাবো মাছ-মাংস ভাবতে ভাবতে ঘুমের রাজ্যে উড়াল দেয় স্বপ্নের বুনোহংস । যুদ্ধ, শুধুই যুদ্ধ এপারে যুদ্ধ, ওপারে…

আরো পড়ুন

রক্ত গোলাপ তোমাকে বলার ছিল অথচ বলা হয়নি থমকে দাঁড়িয়ে ছিল না বলা কথাগুলো। কেঁপেছিল ঠোঁট তবু্ও উচ্চারিত হয়নি তোমার নীল চোখের গভীরে খুঁজতে চেয়েছিলাম আমার সমস্ত সুখ। তোমাকে দেবার ছিল অথচ দেওয়া হয়নি নির্জন সুনীলে আমার ভালবাসা কেঁদে গেল আহত প্রাণের তপ্ত নিঃস্বাসে ঝড়ে গেল আমার ভালবাসার রক্ত গোলাপ। হরানো স্বরলিপি সেদিন ই হারিয়ে গেছে আমার কবিতার স্বরলিপি যেদিন তুমি চলে গেলে অন্ধকার করে আমার পৃথিবী। এভাবে চলে গেলে দেখাও তো দিলে না কোন ভুল ছিল কিনা তাও জানা হল না। হয়তো তুমি ভাল আছ থেকো ভাল সদায় তোমার কথা ভেবেই আমার একদিন হবে বিদায়।। ফুটন্ত রজনীগন্ধা…

আরো পড়ুন

সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল উপন্যাস।  ১ম পর্ব। (মনি জামান) তাং-৮-১২-২২ আজ নিলয়ের মনটা খুব খারাপ মেবিনের কথা বার বার মনে পড়ছে, নিলয় ফোনটা হাতে নিয়ে মেবিনের নাম্বারে ফোন করলো অপর প্রান্ত থেকে জানিয়ে দেওয়া হল,দুঃখিত এই মূহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।নিলয় আবার ফোন করলো অপর প্রান্ত থেকে একই উত্তর দুঃখিত এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। বিষন্নতায় ছেয়ে গেলো নিলয়ের মন ফোনটা রেখে দিয়ে মনটা ভিষণ খারাপ লাগছে নিলয়ের,কয়দিন হলো মেবিনের সাথে কথা হয়নি,সেই ২০১৮ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মেবিনের সাথে প্রথম দেখা ও পরিচয় হয়েছিলো নিলয়ের একটি কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠানে। সেই থেকে দুজনের পরিচয় আর এই পরিচয়ের…

আরো পড়ুন

‘মা-হারা দিবসে’ অজানা গল্পের ঝাপি, ‘মন্তব্য সাহিত্য প্রতিযোগিতা’য় জিতুন অভিনব পুরস্কার।  সালেম সুলেরী মা মতিনা সোলায়মান-এর প্রয়াণ ৬ জানুয়ারি ১৯৯৮। ঢাকা মেডিকেলে বিকেলে ক্যান্সারে মা-জননীর জীবনাবসান। মৃত্যু-সংবাদ পেলেও সঙ্গে সঙ্গে ছুটতে পারিনি। কারণ তখন নিউইয়র্কে’র ঠিকানা’র ‘লিড নিউজ’ লিখছি। হাতের কাজ শেষ করতে দেড় ঘন্টা, অতঃপর দৌড়-ঝাপ। ঢাকায় তখন হাড়-কাঁপানো প্রচন্ড শীত। সন্ধ্যায় শান্তিনগরে ‘প্রোপার্টি এস্টেটে’ প্রথম জানাজা হয়। সেটি আমার তৎকালীন অ্যাপার্টমেন্টের প্রাঙ্গন। ফুপাতো বোন কন্ঠশিল্পী ফেরদৌসী আপাসহ অনেক নিকটজন। তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি ফজলুল হক। প্রেসিডেন্টের সাবেক সচিব, এটিএন-টিভি’র উপদেষ্টা কবি সাইফুল বারী… । রাতে সড়কপথে পৈতৃকবাস ডোমারের পথে আমাদের অভিযাত্রা। বৃহত্তর রংপুরের নীলফামারীর ডোমার যাবে…

আরো পড়ুন

বাংলা সাহিত্যের তিন বন্ধ্যোপাধ্যায়: তসলিমা হাসান বাংলা সাহিত্যের তিন প্রধান বন্ধ্যোপাধ্যায় যথাক্রমে -‘বিভূতিভূষণ বন্ধ্যোপাধ্যায়'(১৮৯৪-১৯৫০), ‘তারাশংকর বন্ধ্যোপাধ্যায়'(১৮৯৮-১৯৭১) ও ‘মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায়'(১৯০৮-১৯৫৬)। তাদের প্রত্যেকের লেখার আলাদা -আলাদা নিজস্ব বিষয় ভাবনা নিম্নে তুলে ধরা হলো। (১)- কল্লোল যুগের লেখক হয়েও পুঁজিবাদী সমাজকাঠামো, শ্রেণীদ্বন্দ, যৌনতা, কামনা, বাসনা,হতাশা, ক্লান্তি এসব ছাপিয়ে ‘বিভূতিভূষণের’ লেখায় উঠে এসেছে শাশ্বত প্রেম, প্রকৃতি, চিরন্তন বাংগালী নারীর দেবীমূতি, স্নেহপ্রেম ভালোবাসা লালায়িত আত্মা ও শিশু মনস্তত্ত্ব।  যেমন বলা যেতে পারে পথের পাঁচালী, আরণ্যক, ইছামতী উপন্যাস ও মেঘ-মল্লার, মৈরীফুল, অরন্ধনের নিমন্ত্রণ, জন্ম ও মৃত্যু সহ প্রভৃতি ছোট গল্পের কথা। (২)-‘তারাশংকর বন্ধ্যোপাধ্যায়ের’লেখা প্রকাশ পেয়েছ রাঢ় বঙ্গের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনপ্রবাহ, সমাজ, রীতি-নীতি, ঐতিহ্য, ধর্ম বিশ্বাস, টোটেম-ট্যাবু। …

আরো পড়ুন