Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

স্বোপার্জিত দুঃখ বেদুইন পথিক নিঃশব্দেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়েছে অখণ্ড মানবসভ্যতার মতো নিঃস্বপ্ন নিদ্রা-অলীক বেদনায় পাশ ফিরেছি জবুথবু শীতার্ত শরীর নিয়ে তোমার উষ্ণ লাভায় আচমনের নিমগ্ন প্রত্যাশায়। ক্ষণকালের জৃম্ভণে জাগে যে শরীর-চকচকে বালুর দ্বীপ বাৎসায়ন বিলীন সুপুষ্ট হিমালয়ে আচমকা তুষারপাতে। দীর্ঘ নিশির শিশি ভরে ওঠে কানায় কানায় শিশিরের স্রাবে। বর্ষার শেষে কঙ্কালের মতো ভেসে ওঠে যে চর-আলুথালু ঘনকেশা রমণীর মতো কাশ আর ঝাউয়ের বন শারদীয় কাশফুল খোঁপায় জড়িয়ে সলজ্জ পদক্ষেপে ফেরে ঘরে দুধকুমারের এঁটো জলে প্রক্ষালণ শেষে অষ্টাদশী হাসনা বানু। স্রোতধারে পানার মতো ভেসে যায় স্নিগ্ধ জলের প্রথম রোমাঞ্চিত পরশ। তরুণি’র আকাশে খেলা করে পেঁজাতুলোর মতো মেঘদল মঞ্জীরধ্বনি ওঠে সলজ্জ…

আরো পড়ুন

পরিব্রাজক নাজমুন নাহারের লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ১৫০তম দেশ ভ্রমণের ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করা। আজ বুধবার মধ্য আফ্রিকার দ্বীপদেশ সাও টোমে ও প্রিন্সিপে পৌঁছে সেই কীর্তিই গড়লেন তিনি। ….. এবারের যাত্রায় তিনি গত ১০ আগস্ট সুইডেন থেকে পৌঁছান আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডিতে। বুরুন্ডি ছিল তাঁর ১৪৫তম দেশ ভ্রমণ। সেখান থেকে সড়কপথে ভ্রমণ করেন প্রতিবেশী দেশ কঙ্গো। এরপর একে একে ভ্রমণ করেন দক্ষিণ সুদান, নামিবিয়া ও অ্যাঙ্গোলা। আজ অ্যাঙ্গোলার বিমানবন্দর থেকে উড়াল দিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পৌঁছান সাও টোমে ও প্রিন্সিপে। উচ্ছ্বসিত নাজমুন নাহার হোয়াটসঅ্যাপে বলছিলেন, ‘১৫০তম দেশ ভ্রমণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। বিশ্বের ১৫০ দেশে বাংলাদেশের…

আরো পড়ুন

পুস্তক প্রকাশক ও বিপণন প্রতিষ্ঠান (প্রতিবিম্ব প্রকাশ), সকলের আস্থা; সৃজনশীল লেখকের ঠিকানা এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে, প্রতিবিম্ব প্রকাশ। একনজরে প্রতিবিম্ব প্রকাশ: প্রতিবিম্ব প্রকাশ (পুস্তক প্রকাশনা ও বিপণন প্রতিষ্ঠান): সরকারি নিবন্ধন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির আছে এক কর্মঠ ও দক্ষ কর্মীবাহিনী, যারা অতিদ্রুত ও মানসম্পন্ন বই উপহার দিতে সক্ষম। সাহিত্য নির্ভর দেশ-বিদেশের বরেণ্য লেখকদের এক বিশাল ক্যানভাস/মিলনমেলা ও সমৃদ্ধ নিজস্ব ওয়েবসাইট। যা সারা বিশ্বের নামি-দামি লেখকের লেখা প্রকাশ করে আসছে নিয়মিত। অনলাইন গ্রুপ: (সমাজ পরিবর্তনে কবিতা গ্রুপ) ‘লেখা হোক আজ ও আগামীর’ এই স্লোগান কে সামনে নিয়ে দীর্ঘ ১২ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে সমাজ পরিবর্তনে কবিতা…

আরো পড়ুন

কাওয়ালি গানের অনুষ্ঠান পণ্ড জিয়াউদ্দীন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে কাওয়ালি সংগীতের বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংগঠন ‘সিলসিলা’র আয়োজন পণ্ড করে দেয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মীরা এই অনুষ্ঠান পণ্ড করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ছাত্রলীগ বলছে গান, বাদ্যযন্ত্র, অনুষ্ঠানে মেয়েদের অংশগ্রহণ ইত্যাদি নিয়ে শরিয়াহ ও তরিকা বিচারে আয়োজকদের মধ্যে যে বিভেদ ছিল তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে অনুষ্ঠান পণ্ডের মধ্য দিয়ে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ অনুষ্ঠান পণ্ডের নিন্দা এবং প্রতিবাদ করেছেন, আবার অনেকে পণ্ড করার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন।একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক স্পষ্ট ঘোষণা করে ঘোষণা দিয়েছেন, কাওয়ালি শুনলে সওয়াব হাসিল হবে না, বাদ্যযন্ত্রের বাহারি ব্যবহারে এই গানে শিরক-বেদাতের ছড়াছড়ি রয়েছে।এছাড়াও অনেক আলেম বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, কাওয়ালি…

আরো পড়ুন

জন্মদিন। তানভীর আজীমি (বাস্তববাদী কবি আবুল খায়ের-এর জন্মদিনে উৎসর্গকৃত) রাত শেষে শারদ প্রভাতের রক্তিম সূর্য হাসে বুকের ভিতরে অসীম উষ্ণতা নিয়ে, জন্মদিনের অঢেল শুভেচ্ছা ও শুভ কামনার ডালি নিয়ে হাতে। মাতা পিতা আপন শত স্বজন, বন্ধু বান্ধব পরিচিত জন, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়ে দিলো জীবনের সুরভিত পুঞ্জিভূত ক্ষণ। জীবনের এই সুন্দর দিবসের উদযাপনে, আমাদের ভালোবাসা দোয়া ও শুভ কামনা অভিনন্দনে ভরে থাকুক উত্তীর্ণতায় ভবিষ্যতের উঠোনে, সুখ সমৃদ্ধি, স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে মঙ্গলময় হোক….দীর্ঘায়ু হোক জীবন, অনাবিল আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক প্রতিটি মুহুর্ত মায়ের স্নেহ বাবার আদর প্রেয়সীর ভালোবাসায়, ভাই বোনদের শ্রদ্ধা ভক্তি আগামীর সব আশায়। জীবনের এই চলার পথে সুখ সাগরে…

আরো পড়ুন

ফুটপাতে ভাগ্যের টিয়াপাখি প্রিন্স আশরাফ শ্যামলী শিশুমেলার টিকেট কাউন্টারের ঠিক সামনের জায়গাটা থেকে একটু সরে গুড়োদুধের বিজ্ঞাপনের বিশাল ছাতার সূর্য আড়াল করা রোদের ছায়ায় ফুটপাতে টিয়াপাখি নিয়ে বসল জ্যোতিষী সামাদ। জ্যোতিষীর কাজের মধ্যে কাজ ছাতার ছায়ায় চুপটি করে বসে থাকা। ফুটপাতের এই জায়গাটুকু যেমন কিনে নিতে হয়েছে, তেমনি ছায়াটুকুও। ছাতার ছায়ার জন্য শিশুমেলার দারোয়ান মজিদকে মাসোহারা দিতে হয়। এই শহরে কিছুই মাগনা নয়, এমনকি ছায়াও! সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় বসে বসে ঝিম ধরে পড়ে থাকতে হয়। পথ দিয়ে ¯্রােতের মতো এগিয়ে যায় মানুষ, ফুটপাতের ভাগ্যের টিয়াপাািখর দিকে নজর দেওয়ার সময় কোথায়? তারপরেও ভাগ্যবিড়ম্বিত দ্এুকজন নি¤œ আয়ের মানুষ সেই…

আরো পড়ুন

ভ্রান্ত পথিক সুলেখা আক্তার শান্তা সারাদিন ঘুরে ফিরে দিন কাটে নাহিদের। কারো কথা শুনেনা সে। মা মর্জিনা ছেলেকে কাজের কথা বললে, সে চেঁচামেচি করে উঠে। মা আমার কাজ করতে ভালো লাগেনা। কাজ করবি না খাবি কি? রোজ রোজ তোমার একই কথা, কাজ করবি না খাবি কি? শুনতে আর ভালো লাগেনা। তুই সংসারের বড় ছেলে, তোর তো সংসারের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকা উচিত। তুমি এবার থামো। দেখি একটা কাজ জুটিয়ে নিব। দলবল নিয়ে দুরন্তপনায় নাহিদের দিন কাটতে থাকে। একদিন সকালে মর্জিনা ঘুম ভাঙ্গে লোকজনের চেঁচামেচির শব্দে। তাড়াতাড়ি উঠে দেখে সবাই রাস্তা দিয়ে একই দিকে ছুটছে। লতিফ বলে, আরে চাচি আপনি এখনো এখানে…

আরো পড়ুন

আমার গল্প অল্প আমি ছোট বেলা থেকে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। কখনো কবিতা বা গল্প। চারিপাশে দেখা বিষয় নিয়ে কখনো বা প্রকৃতি নিয়ে,কল্পনা বাস্তবতার মেলবন্ধনে। আবার কখনো নিজেদের পারিবারিক ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, স্মৃতিচারণ মূলক চরিত্র বা ঘটনা নানাবিধ বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেছি। আমার স্কুলের বাংলা টিচার শ্রদ্ধেয় চিত্ত রঞ্জন স্যারের কাছে কবিতা আবৃত্তি শেখা শুরু হয় আমার সেই ছোট বেলার স্কুল জীবনে। এবং তাঁর হাত ধরে বরিশালের স্থানীয়, ‘ চন্দ্রদ্বীপ’ মাসিক পত্রিকায় আমার লেখা কবিতা ছাপা হলো প্রথমে। চন্দ্রদ্বীপ পত্রিকার একটা লেখক সমাবেশ হতো সেসময়। সেখানে কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সমাবেশে আলোচনা সমালোচনাও হতো নতুন লেখকদের লেখা নিয়ে। কারণ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন…

আরো পড়ুন

শহর দেখতে গিয়ে হুমায়ূন কবীর ঢালী ব্যাঙা আর ব্যাঙি। দুই ব্যাঙ। দুই বন্ধু। ব্যাঙা নাদুস-নুদুস। ব্যাঙি হালকাপাতলা। ওরা বাস করে মিয়াবাড়ির পূবপাশের একটা ডোবার কাছে। ডোবার পশ্চিম পাড়ে বড়ো একটা বাঁশঝাড়। বাঁশঝাড়ের একটি গর্তে ওদের বাসা। মাঝেমধ্যে দরকার হলে বাসা থেকে বের হয়। ডোবায় নেমে গোসল করে। অন্য ব্যাঙের সাথে পানিতে ডুবসাঁতার খেলে। হইচই, ফূর্তি করে। ফের উঠে আসে নিজেদের বাসায়। একরকম সুখে-শান্তিতেই দিনযাপন করছে ওরা। একদিন ওদের মনে শহর দেখার শখ জাগল। কী করে শহরে যাওয়া যায়? গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরে শহর। দুই কিলোমিটার পথ একদিনে পেরুনো সম্ভব। তবে কী করে, কোন পথে যাবে, এই নিয়ে দুইব্যাঙ কয়েকদিন…

আরো পড়ুন

 স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার লেখক: দেবাশীষ দাস তারিখ: ২০/০১/২২ ইং তৃতীয় শ্রেণীতে ওঠার পর কুলদীপ ছাত্রজীবন উপভোগ করতে শুরু করেছিল। পাড়ার এক ঝাঁক ছাত্র-ছাত্রীর সাথে খুব মজা করে স্কুলে যাওয়া-আসা করত। পিসতুত ভাই পঙ্কজ, পিসতুত বোন শ্রাবন্তী, প্রতিবেশী বিকাশ কামিনী অদ্রিকা অরুনিতা তুলকা কবীর ওরা সবাই কুলদীপের সহপাঠী ছিল। ওদের সবার সাথে কুলদীপের বন্ধুত্ব ছিল। ক্লাসে কুলদীপের সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিল অরিন্দম। অরিন্দম সঞ্জয়ের পিসতুত ভাই। সে দূর গ্রাম থেকে পড়াশোনা করার জন্য সঞ্জয়ের বাড়িতে এসেছিল। সঞ্জয়ের সাথে বন্ধুত্বের সূত্রেই অরিন্দমের সাথে কুলদীপের বন্ধুত্ব হয়েছিল। কুলদীপ ক্লাসে অরিন্দমের সাথে এক বেঞ্চে বসত। দুই বন্ধু মিলে একটু আধটু দুষ্টুমি করত। কুলদীপ…

আরো পড়ুন