স্বোপার্জিত দুঃখ
বেদুইন পথিক
নিঃশব্দেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়েছে
অখণ্ড মানবসভ্যতার মতো
নিঃস্বপ্ন নিদ্রা-অলীক বেদনায়
পাশ ফিরেছি জবুথবু শীতার্ত শরীর নিয়ে
তোমার উষ্ণ লাভায় আচমনের নিমগ্ন প্রত্যাশায়।
ক্ষণকালের জৃম্ভণে জাগে যে শরীর-চকচকে বালুর দ্বীপ
বাৎসায়ন বিলীন সুপুষ্ট হিমালয়ে
আচমকা তুষারপাতে।
দীর্ঘ নিশির শিশি ভরে ওঠে কানায় কানায় শিশিরের স্রাবে।
বর্ষার শেষে কঙ্কালের মতো ভেসে ওঠে
যে চর-আলুথালু ঘনকেশা রমণীর মতো
কাশ আর ঝাউয়ের বন
শারদীয় কাশফুল খোঁপায় জড়িয়ে সলজ্জ পদক্ষেপে ফেরে ঘরে
দুধকুমারের এঁটো জলে
প্রক্ষালণ শেষে অষ্টাদশী হাসনা বানু।
স্রোতধারে পানার মতো ভেসে যায়
স্নিগ্ধ জলের প্রথম রোমাঞ্চিত পরশ।
তরুণি’র আকাশে খেলা করে পেঁজাতুলোর মতো মেঘদল
মঞ্জীরধ্বনি ওঠে সলজ্জ পায়ের নূপুরে ।
সেই অপরিস্রুত জলে ঢলে পড়ে মাতাল রূপালি চাঁদ
আমার দুচোখে তখন ভরা অমাবস্যা
বাদলের ধারায় নিয়েছে দখল
হৃদয়ের শুষ্ক খাল
স্বোপার্জিত দুঃখে ম্লান আমার শারদ প্রভাত।
১ Comment
congratulations.