Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

স্মৃতি ওড়ে হৃদয় পোড়ে [ড. নজরুল ইসলাম খান] গিফটের স্মৃতিগুলো এখনও নতুন, অন্তরে খচখচ করে- কত যে গিফট তুমি দিয়েছ আমায় তার হিসেব আমি রাখিনি বলা যায় বেহিসেবি আমি। গিফট পেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি কাউকে দিতেও হৃদয় জুড়ায় আমার। আমি নীরবে চেয়ে চেয়ে দেখেছি তোমার চোখের পাতায় তুমি দিতেই পছন্দ কর বেশ! অনেকবার তোমাকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি তোমার না নেয়ার অজুহাত আমি প্রত্যক্ষ করেছি যুক্তি খন্ডন করেও তোমার হাতে আমার স্মৃতি তুলে দিতে পারিনি। তুমি যখন কোন গিফট তুলে দাও আমার হাতে, আমার ভীষণ লজ্জাও লাগে। গভীর রাতে যখন তোমাকে মনে পড়ে তখন তোমার গিফটগুলো আমার চোখের তারায় তুলে…

আরো পড়ুন

বাবা আমার বাবা বাবা কতদিন…. কতদিন… দেখিনি তোমায়…. এই গানটি দূরে কোথাও বাজছিল, হঠাৎ করেই কানে এসে আটকে গেল গানটি। সুরের আবেশে আচ্ছন্ন হয়ে স্মৃতিতে হাতরে বেড়াতে শুরু করলাম। কিছু স্মৃতি গাঢ় আবার কিছু স্মৃতি ঝাপসা হয়ে ভাসতে শুরু করলো। ১৮ ফেভ্রুয়ারী, ১৯৭৭ সাল। রাত সাড়ে নয়টা। আমাদের জীবনে নেমে আসলো আর্ত চিৎকারে ভরা অন্ধকারাচ্ছন্ন, দুর্যোগময় মূহুর্ত। হ্যাঁ আমার বাবার শেষ নিঃশ্বাসের মুহূর্ত, আমাদেরকে এতিম করে চলে গেলেন এ পৃথিবী ছেড়ে। আমার কাছে আমার বাবার সর্বশেষ স্মৃতি তারঁ মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তি কার্যক্রম। আমি তখন মাত্র পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী। সুস্থ বাবার স্মৃতি খুব হালকা ঝাপসা হয়েই মনে পড়ে কিন্তু বাবার…

আরো পড়ুন

আকুল চাওয়া (মুন্নি নূরুল হুদা) ও মাঝি আমায় ওপাড়ে নিয়ে যাবে? যেখানে মেঠোপথে শিশির ভেজা ঘাস, কোমল পরশ বুলায়, এ পাড়েতে তপ্ত পিচে নগ্ন পা যে দগ্ধ হয়। যেখানে গাছের ছায়ায় দুলিয়ে হাওয়া মন ভুলায়, এখানে তো ইট পাথরের বদ্ধ হাওয়ায় দম হারায়। দাঁড়াও না একটু মাঝি, আমায় নিয়ে যাও ঐ শ্যামল গাঁয়ে, যেখানে চাঁদনী রাতে জ্যোৎস্না বিলায়, এখানে তো আলোর ঝলকানিতে চাঁদ হারায়। যেখানে টিনের চালে সুর-লহরি তুলে বৃষ্টির ছন্দ মন মাতায়, এখানে তো যন্ত্রের ঝংকারে তাল, লয়, আর সুর পালায়। মাঝি নিয়ে যাও আমায় সেইখানে যেখানে ছোট্ট নীড়ে খুনসুটি আর সুখের বাসর, এখানে তো ভালোবাসার রং ফানুস আর…

আরো পড়ুন

বহুদিন কোনো গল্প লিখিনি (ফারুক নওয়াজ) বহুদিন কোনো গল্প হয়নি লেখা যাকিছু দেখেছি সবই যে আমার কবিতার চোখে দেখা। মানুষের ভিড় যেখানে গল্প থাকে– নেতার মঞ্চ যেখানে তৈলো মাখে– চামচা যেখানে হাঁটুজোড়া মুড়ে রাখে; সেখানে হয়নি যাওয়া… ফলে গল্পের উপাত্ত কোনো হয়নি আমার পাওয়া। যাইনি, যেখানে ভূয়ো জাতকের ধান্দাফিকির প্রবল যেখানে চলছে পদলেহনের প্রাপ্তি ডবল ডবল সৃষ্টির নামে যেখানে চলছে মাদকিনীদের ছোবল সেখানে দিইনি উঁকি– অতএব কোনো জ্যান্তকাহিনী লেখার নিইনি ঝুঁকি। হাঁটিনি সেপথে– যেপথে দুস্থ হাত পেতে থাকে চেয়ে বাধ্য হয়েছে হাঁটতে যেপথে অসহায় কোনো মেয়ে সূতহত্যার কষ্টে জনক গিয়েছে যে পথ বেয়ে হাঁটিনি তাদের পিছু– লেখা হয় নাই তাইতো…

আরো পড়ুন

২৪ মে প্রয়াত হয়েছেন ষাটের দশকের অন্যতম কবি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী হাবীবুল্লাহ সিরাজী (৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৮—২৪ মে ২০২১) আশির দশকের শুরুর দিকে যখন কবিতার অমোঘ টানে প্রবলভাবে আলোড়িত, সে সময়েই ‘কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী’ নামের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। ঢাকার নিউমার্কেটের মূল প্রবেশফটক পার হয়ে বাঁ পাশের বারান্দায় পা ছুঁলেই শুরু হয়ে যেত সারিবদ্ধ বইয়ের দোকান। টানা বারান্দার শেষে ডান দিকে মোড় নিয়ে আরও প্রায় কয়েক শ গজ পর্যন্ত ছিল বইয়ের রাজ্য। বুক ভিলার শোকেসে থরে থরে সাজানো থাকত ঝকঝকে সব কবিতার বই। সেই সব বইয়ের ভেতর দাও বৃক্ষ দাও দিন, মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি, মধ্যরাতে দুলে ওঠে গ্লাশ, হাওয়াকলে জোড়া…

আরো পড়ুন

আকাশ নদীর আত্মাহুতি [শাহান আরা জাকির পারুল] আজকাল খুব বেশি নিঃসঙ্গ লাগে আকাশের! বড্ডো বেশি মনে পরে নদীকে ! কি ভেবেছিলো দুজনে, আর কি ঘটে গেল ! ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে শুধু ! নিম্ন জাতের ছেলে আকাশ!বাবা, ডোম কানাইলাল আকাশকেও এই কাজেই লাগিয়েছিলেন! একই পাড়ার মেয়ে নদিয়া কে প্রেম করে বিয়ে করেছে আকাশ ! নদীয়া কে আকাশ আদর করে নদী বলে ডাকে ! সবকিছু সুন্দর ভাবেই কেটে যাচ্ছিলো ! আকাশ ডোম এর কাজ করলেও নদী ভালো একটা কাজ পেয়ে যায় ! হটাৎ কোন এক ভিনদেশি বাবু এসেছে তাদের পাড়ায়! একাকি! তাকে দুমুঠো রান্না করে দিতে হবে ! জাতকুল জানার পরও…

আরো পড়ুন

প্রেয়সীর প্রেমে অভিষেক হবে (কামরুল ইসলাম) প্রতীক্ষায় সময় চলে যায়, উৎসুক নগরে প্রণয়টুকু ফিরে আসে এই তো আমি, এই আমার বিশ্বাসের বন্ধন এইখানে মুখদর্শন হবে, গাছপালা তরুলতা পশুপাখির কীর্তনের আসর হবে এই সত্য সকল অসাধ্যকে জয় করে, তখনই অবাধ প্রেম হবে আমারও একজন প্রেয়সী আছে, যে সকল বন্ধনে আবদ্ধ থেকেও ভালোবাসে তার শৈশব থেকে কৈশোরে উত্তরণ, বাড়ন্ত শরীরে অজানা অনুভূতি অতঃপর যুগলবন্দী ধর্মের আচারে, সকল বাঁকে পরিবর্তন ঘটে অনাগত জীবনের গদ্যপদ্যে শৌর্যহীন হয়ে পড়ে, তবুও শ্লোক গাঁথে এসব অজানা কোন এক প্রণয়, কেউ হয়তো চাঞ্চল্যে পূর্ণ করে নেয় আমি বনভূমির কোলে আশ্রয় নিতে নিতে বলি, আমি প্রমোদস্বর্গে আছি এই তপোবনে…

আরো পড়ুন

অভিমানী কবিতার খসড়াগুলো [নাসরীন মিতা] খবর রাখো না কতোদিন– ঠিক মনে নাই। বিস্মৃতির ঝড়ে, তবু মনে পড়ে জোছনার রাতে মিছেমিছি জোনাকিকে খুঁজে গেছি কত । নিয়ন আলোয় কবিতা লিখতে গিয়ে মনে পড়েছে বারংবার তোমার দগ্ধ অভিমান আর অনবদ্য কবিতার কথা। তুমি যখন আমায় ছেড়ে নিরুদ্দেশ কবিতারা তখনও অবাধ ভালোবাসায় আমার আঙুলের ডগায় ঝুলে বলে, লিখে যাও, তোমার নীল ডায়েরিটার বুকে। তোমার গায়ের সোঁদা গন্ধ, কেয়াপাতার তরণী হয়ে ভেসে আসে মনগাঙের বুনো জ্যোছনাতে। তখনও আবার কবিতারা আমার আঙুলের ডগায় ঝুলে বলে, লিখে যাও তোমার আঁখির অগ্নিরেখায় প্রাণের কবিতা নির্ঘুমে, মাঝরাত চুমে চুমে।

আরো পড়ুন

তুমি, আমি এবং কুহেলিকা আমি তোমার ঋণ-পরিশোধ করতে চাই না কেননা, আমি তোমার বোঁবা-বিষণ্ন প্রেমের কাঙাল! তোমার কাছে;ঋণী থাকতে চাই কারন,যেখানে ঋণ থাকে না সেখানে থাকে, দেওয়া- নেওয়া নামক প্রতিযোগিতার, বিশ্রি- প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আর হ্যা! শুধু তোমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করতে চাই না, কেননা, আমি তোমার অসুন্দরেরও পূজারী। তোমার হৃদয়ের মাঝে নিতে চাই ঠাঁই হিয়ায় বাধবো হিয়া… পরানের সাথে পরান মিলাবো থাকবেনা দেওয়া- নেওয়া। মুখোশের মুখোমুখি চকিতে সেদিন শুনলাম-বস্তির ছেলেরা বলছে- “ভগবানের ভদ্র পল্লীতে তুমুল তান্ডব নৃত্যের শখ- আচ্ছা ঈশ্বর কেন্দ্রিক রাজনীতিটা কেমন একরোখা আর টক- কেমন যেনো অহংকারে ধরে সাধুসঙ্গ – মানুষ রূপী গরীব পশু সবটা’ই তার রঙ্গ… ধরে কেমন…

আরো পড়ুন

রহস্যের গণ্ডিতে তুমি {রিতুনুর} স্বপ্নের মাঝে হঠাৎ একদিন ভেসে উঠলো তোমার অস্পষ্ট ছায়া। তোমার জন্য এখন ও আমার লাগে গো মায়া। হেঁটে যাচ্ছো তুমি ছায়া পথে, নীহারিকারা তোমার সাথে। মনে পড়ে গেলো, হাতে হাত ধরে আমরা দু’জন হাটতাম মধু পূর্ণিমা রাতে। তোমার মনে নেই অথচ আমি যেমন ছিলাম আজও আছি সেই। নিজ হাতে ভালোবেসে একদিন তুমি দিতে খোঁপায় গোলাপ তুলে। পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার পরে তুমি সব গেছো ভুলে!! ঘুমের মাঝেই হাটতে লাগলাম, আমি তোমার পথটি ধরে, কিচির মিচির পাখির ডাকে ভেঙে গেল ঘুম ভোরে। জেগে দেখি তখনো আবছা আলো, চাঁদ তাঁরারা আকাশে করছে জ্বলজ্বল….. হৃদয়ে উঠলো সমুদ্রের ঢেউ চোখ বেয়ে…

আরো পড়ুন