তোমার বাঁ পাশের কবরে [মো. আসাদুল হক] (জহির মোল্লার স্মরণে, নিবেদিত কবিতা) কতোটা পথ ভ্রমি এলাম আমি- আর, তুমি কি না- গেলে ঘুমি ? তোমার প্রিয়া ডাকছে ; উঠো তুমি- কি হলো ? শুনছো না ? অভিমান করছো বুঝি ? জাগো, তোমার সব আবদার আমি মানতে রাজি- তবু তুমি, তোমার চোখ খুলো যতো কথা তোমার ? আমি শুনবো, তুমি বলো । লক্ষ্মীটি আমার ! দেখো, দেখো একটিবার চেয়ে ? কও কথা, তোমার প্রিয়ারে তোমার বুকে লয়ে ! আমি তোমার হয়ে এসে গেছি তোমার আমার প্রেম নয়গো মিছামিছি আমি আর ফিরে যাবো না ! ওগো আমার প্রিয়তম, তুমি চোখ খুলো না…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
“প্রকৃতি রাজা” (নাজরানা নীলু) ৭/৬/২০২২ হে প্রকৃতি রাজা, এবার আষাঢ়ের কদম গুচ্ছের সাথে আর দুটো কদম বেশি জুড়ে দিও। আমি আসবো তোমার অভিসারে অতি সংগোপনে। আগামী শ্রাবণের ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে তোমার সাথে ভিজে হবো একাকার। তুমি কিন্তু গাঢ় সবুজ ছড়িয়ে দিও দিগন্ত জুড়ে, আর আমি নীল শাড়িতে হবো নীলাঞ্জনা!! মন ময়ূরী পেখম তুলে নাচবে তালে তালে অতিব যত্ন করে ময়ূর পাখে লিখে রাখবো তোমারই নামখানা। গাঢ় সবুজ ধান ক্ষেতের আলপথ ধরে হাত ধরে হেটে যাবো অচীনের অজানায় দুজনা। ফুল আর পাতার সনে করবো মিতালী নীল সবুজের বাসর রচে হাতছানিতে ডাকবে গোধূলি। মন পবনের পাখনা মেলে উড়ে যাবো নীলাম্বরীর খুব কাছে,…
প্রথম চুম্বন (জাহানারা বুলা) প্রথম চুম্বন ছিলো আর্ত-ভয়ার্ত-ভয়ানক। তার পর, নির্ভরতায়। সেই থেকে আমরা আপন। পরিজন আমাদের পর। সিঁড়ি দিয়ে দুরুদুরু নামা। প্রেমে আর হয়নি থামা। কলেজে’র গেটে দাঁড়িয়ে ইশারায় শিস বাজিয়ে উচাটন করতো আমায়। বায়োলজি-ফিজিক্স থেকে উড়ে যেতে পড়াগুলো সব কে পারে থামায়? ছুটি হ’লে ছোবল মেরে ব্যাগটাকে কাঁধে চড়িয়ে চলতাম গেট পেরিয়ে পাশাপাশি হেঁটে দু’জনায়। বছর দুয়েক ওভাবেই। পরে সে উধাও কি ভেবে জানতে পারিনি আজও তো, চোখ থেকে জল গড়ালে মা আমার বন্ধু হতো! এর পর দ্বিতীয় এলো। মাথাটা যে আবারও গেলো! পাবলিক লাইব্রেরিতে অনাহারে প্রেম সিঁড়িতে। রেসকোর্স মায়দানে যেয়ে সময় কি জবুথবু ছিলো গাছের আড়ালে তখন’ই…
ডোমিনো (Domino) (জাহানারা বুলা) পর্ব-২ আনোয়ার একদিন এসেছিল স্মৃতির বাসায় লন্ডন ফিরে যাওয়ার আগে। খুব অল্পক্ষণের জন্যে। স্মৃতি বললো, বাইরে কফি খাই চলো। কাজের লোক নেই। মাও নেই। আমারও কফি বানাতে ইচ্ছে করছে না। আনোয়ারও বললো- চলো তাহলে। গুলশান ১২৬ নম্বর রোডের ওপাড়েই কফিশপ। ঠিক এভিনিউর উপরেই। সন্ধ্যার আলোছায়ায় খুব ভালো লাগছিলো হাঁটতে আনোয়ারের। তার উপর স্মৃতির শিফন ওড়নার আঁচলটা উড়ে উড়ে আনোয়ারের মুখের উপর গিয়ে পড়ছে। একবার হোঁচট খেয়ে পড়তে গিয়ে স্মৃতির কাঁধে যেয়ে পড়লো আনোয়ার। দু’জনেই সামলে উঠলো। ওদের কোনো ক্ষতি না হলেও ফুটপাতের উপর সারিবাঁধা সাইকেলগুলো ডোমিনোর গুটির মত কাত হয়ে পড়ে গেলো একের পর এক। আনোয়ার…
নবী আমার (জগলুল হায়দার) নবী আমার জান যেন আর নবী আমার প্রাণ নবী আমার শাহাদাতের আতরমাখা ঘ্রাণ। নবী আমার গীত যেন আর নবী আমার সুর নবী আমার মন প্রদীপের কাংখিত সেই নূর। নবী আমার দিল যেন আর নবী আমার শান জীবনজুড়ে তাই নবীজীর গাই এতো গুণগান। নবী আমার পথ যেন আর পথের দিশা দিক নবী আমার সব মানুষের জন্য মানবিক। নবী আমার প্রেম যেন আর নবী খোদার দান আমার বুকে সয় না তো তাই নবীর অপমান।
বাংলা চলচ্চিত্রের সাদাকালো যুগে তিনি অভিনয় করতেন। সাদাকালো পর্দার অভিনেতা হয়েও তিনিকালের সীমানা পেরিয়ে রঙিন হয়ে আছেন। সুদর্শন নায়ক বলতে যে’কজন সত্তর-আশির দশকেবাঙালি দর্শকের মন জয় করেছেন, তরুণী-যুবতীদের স্বপ্নের পুরুষ হয়েছেন, তাদের অন্যতম বুলবুল আহমেদ। ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মহানায়ক’ তিনি। ঢাকাই সিনেমার প্রথম ও সফল দেবদাসও তিনি। আজ তার ৭৮তম জন্মদিন। ১৯৪১ সালের আজকের এই দিনে তিনি জন্মেছিলেন পুরান ঢাকার আগামসি লেনে। তার আসল নাম তাবারক আহমেদ। বাবা-মা আদর করে বুলবুল বলে ডাকতেন। বুলবুল আহমেদ পড়াশোনা করেছেন ঢাকার কলেজিয়েট স্কুল, নটরডেম কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে কিছুদিন সিলেট এমসি কলেজেও পড়াশোনা করেছেন। বুলবুল আহমেদ বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী ডেইজি আহমেদকে। এই দম্পতির…
প্রত্যাবর্তন (তসলিমা হাসান) মাঝে একবার সে এসেছিলো, সেদিন ছিলো ঘোর বর্ষার দিন। টুপটুপ করে বৃষ্টি ঝরছিলো, বিকেল সন্ধ্যা ভোর। আমার অবসর নেওয়া সময়টাতে চা হাতে দাঁড়িয়ে বারান্দায়, পাশে এসে দাঁড়ালো সে কিছু একটা বলার ছলনায়! চুপচাপ কেটে গেলো বেশ কতক্ষণ, হঠাৎ মনে পড়ে মোদের ফেলে আসা দিন। কলেজ ক্যাম্পাসে ছিলাম আমরা যুগল রোজ রোজ কত কথা তবুও জুটতো না অবসর। চোখে চোখ রেখে বিস্ময়ে ভালোবাসা, আজ শুধুই তা কেবল স্মৃতিকথা। বইয়ের পাতায় রাখা ছিলো তার দেওয়া শুকনো গোলাপ, চিঠিতে লিখে যেতো হৃদয়ের আলাপ। কত পথ গিয়েছিলাম মোরা হাতে হাত রেখে হঠাৎ ঝড়ে হারিয়ে কোথাও পথ গেলো বেঁকে। আজ তাই মনে…
ডোমিনো [জাহানারা বুলা] (পর্ব -১) ব্যারিস্টার আনোয়ার খান লাগেজ ক্লেইম থেকে বেরিয়ে এসেই স্মৃতিকে দেখতে পায়। অসাধারণ সুন্দর একটি ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে উঁকি ঝুঁকি করছিলো স্মৃতি। আনোয়ারই প্রথম “হাই” বললো, স্মৃতির চোখ আনোয়ারের দিকে স্থির হলো। স্মৃতির ভেতরটা কেমন কাঁপছিলো, আনোয়ার টের পেলো। তাই তোড়াটা সে নিজেই হাতে নিয়ে একটুখানি ঝুঁকলো। ওই সামান্য ঝোঁকাতেই টুক করে ঠোঁট দিয়ে স্মৃতির ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো- উফফ, অবশেষে…! অপ্রস্তুত হলেও ভালো লাগলো স্মৃতির। তবে, চেহারাটা কেমন পান্ডুর বর্ণ হয়ে গেল। চোখ ঘুরিয়ে দেখতে লাগলো কেউ দেখে ফেললো কি না। আনোয়ার চোখের ভাষায় স্মৃতিকে আস্বস্ত করলো- কেউ…
স্মার্টফোন ব্যবহার করলে সময়ের সঙ্গে ব্যাটারির অবস্থা যে খারাপ হবে, সেটা স্বাভাবিক। তবে নিশ্চয় চান না সেটা দ্রুত হোক। স্মার্টফোন চার্জ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে সংশয় আমাদের মধ্যে দেখা যায় সেটি হলো, রাতভর ফোনে চার্জার লাগিয়ে রাখা কি ঠিক? কিংবা স্মার্টফোন শতভাগ চার্জ করার সঙ্গে সঙ্গে কি চার্জার খুলে ফেলতে হবে? চলুন আমরা আজ সে প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি। ফোন নির্মাতারা কী বলে স্মার্টফোন কবে তৈরি হয়েছে, কেবল সেটার ওপর ব্যাটারির আয়ুষ্কাল নির্ভর করে না। আরও অনেক ব্যাপার-স্যাপার আছে। যেমন তাপমাত্রা অত্যধিক ওঠানামা করা কিংবা আপনার চার্জ করার ধরন। আমাদের ফোনের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক…
সুন্দরীতে কার নজর [তাহ্ মিনা নিশা] ভাবছি, আজ একটা রহস্য জীবন গল্প বলবো। রহস্য এই জন্যে যে— এই কাহিনীর পাত্র পাত্রীর সাথে ঘটে যাওয়া রহস্যের আজ পর্যন্ত কোনো সমাধানের কূল কিনারা পাওয়া যায়নি। প্রথম থেকেই শুরু করা যাক— দশ গ্রাম খুঁজে মোকামিয়া অবশেষে একজন সুন্দরীর দেখা পায়। সুন্দরীর নাম চন্দনা । চন্দনার রূপে পাগল হয়ে মোকামিয়া তার মুরব্বীদের দিয়ে সেই বাড়ীতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ছেলে শিক্ষিত স্কুল মাষ্টার, বাপদাদার উচ্চবংশ, ধানি জমি আছে পঞ্চাশ বিঘা, পুকুর আছে দুইটা, ফল বাগান আছে, আছে পাকা দালান।এই সব দেখেশুনে চন্দনার বাপ এক মুহূর্ত চিন্তা না করে মেয়ের বিবাহে মত দেয়। বিবাহের দিন বৌসাজে…
