প্রথম চুম্বন
(জাহানারা বুলা)
প্রথম চুম্বন ছিলো আর্ত-ভয়ার্ত-ভয়ানক। তার পর, নির্ভরতায়।
সেই থেকে আমরা আপন।
পরিজন আমাদের পর।
সিঁড়ি দিয়ে দুরুদুরু নামা।
প্রেমে আর হয়নি থামা।
কলেজে’র গেটে দাঁড়িয়ে ইশারায় শিস বাজিয়ে
উচাটন করতো আমায়।
বায়োলজি-ফিজিক্স থেকে উড়ে যেতে পড়াগুলো সব
কে পারে থামায়?
ছুটি হ’লে ছোবল মেরে ব্যাগটাকে কাঁধে চড়িয়ে
চলতাম গেট পেরিয়ে পাশাপাশি হেঁটে দু’জনায়।
বছর দুয়েক ওভাবেই।
পরে সে উধাও কি ভেবে জানতে পারিনি আজও তো,
চোখ থেকে জল গড়ালে মা আমার বন্ধু হতো!
এর পর দ্বিতীয় এলো।
মাথাটা যে আবারও গেলো!
পাবলিক লাইব্রেরিতে অনাহারে প্রেম সিঁড়িতে।
রেসকোর্স মায়দানে যেয়ে সময় কি জবুথবু ছিলো
গাছের আড়ালে তখন’ই চুমু খেয়ে হারিয়ে যাওয়ার
সুযোগটা গড়িয়ে এলো।
এবার চুম্বন দেখি প্রথমের চেয়ে মিষ্টি!
শরীর যে ভরা জলধি চুমু তাই গ্রীবা অবধি।
বুকে হাত আলতো রেখে
ঠোঁট চুষে খুব জোরেশোরে চুমু দিয়ে বিবশ করে
ছেড়ে যায় আর কি করে?
চুমুর প্রথম শেষ নাই প্রতিবার স্নায়ুকে সে তাই সমান ছন্দে কাঁপায়!