ডোমিনো
[জাহানারা বুলা]
(পর্ব -১)
ব্যারিস্টার আনোয়ার খান লাগেজ ক্লেইম থেকে বেরিয়ে এসেই স্মৃতিকে দেখতে পায়। অসাধারণ সুন্দর একটি ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে উঁকি ঝুঁকি করছিলো স্মৃতি। আনোয়ারই প্রথম “হাই” বললো, স্মৃতির চোখ আনোয়ারের দিকে স্থির হলো।
স্মৃতির ভেতরটা কেমন কাঁপছিলো, আনোয়ার টের পেলো। তাই তোড়াটা সে নিজেই হাতে নিয়ে একটুখানি ঝুঁকলো। ওই সামান্য ঝোঁকাতেই টুক করে ঠোঁট দিয়ে স্মৃতির ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো- উফফ, অবশেষে…!
অপ্রস্তুত হলেও ভালো লাগলো স্মৃতির। তবে, চেহারাটা কেমন পান্ডুর বর্ণ হয়ে গেল। চোখ ঘুরিয়ে দেখতে লাগলো কেউ দেখে ফেললো কি না। আনোয়ার চোখের ভাষায় স্মৃতিকে আস্বস্ত করলো- কেউ দেখেনি।
আনোয়ার দুরন্ত, অস্থির একজন মানুষ। স্মৃতি ঠিক ঝিলের জলের মত শান্ত। আনোয়ার হেসে হেসে স্মৃতির কাঁধে হাত রেখে বললো- ইটস ওকে, বেবী। প্লিজ হাসো। এতো দূর থেকে আমি শুধু তোমার জন্যেই এলাম।
সাত-দশদিন পরে- প্রায়শই স্মৃতির ফোন রিসিভ করে না আনোয়ার। ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দিলেও পড়ে না। আনোয়ার অবশ্য দিন শেষে স্মৃতিকে ফোন করে রোজই একবার ক্ষমা চেয়ে নেয়। ব্যাপারটা স্মৃতিকে ভাবায়। একদিন বিরক্ত হয়ে বলেই বসে- অসত্য মানুষেরা খুব বেশী ক্ষমা চায় জানো তো। কারণ এই ধরনের মানুষদের মেরুদণ্ড থাকে না। আনোয়ার তখনো হাসে। স্মৃতি রেগে গিয়ে বলে- ধ্যাত, হেসো না তো, অসহ্য লাগছে।
……..চলবে।
৭ জুন, ২০২২
ঢাকা।
১ Comment
congratulations