এক টুকরো গরুর মাংস [লুৎফর রহমান রিটন] গরুর মাংস আমার খুবই প্রিয়। ডাক্তারের বারণ সত্বেও যে দু’টো নিষিদ্ধ খাবার আমি ছাড়তে পারি না বা ছাড়ি না, তার একটি হচ্ছে গরুর মাংস আর দ্বিতীয়টি মিষ্টি। এই বিষয়ে আমার নিজস্ব থিয়োরি হচ্ছে–যে জীবনে রসগোল্লা বা মিষ্টি আর গরুর মাংস নেই সেই জীবন লইয়া আমি কী করিবো? পৃথিবীতে গরুর মাংসের সেরা রান্নাটা করতেন আমার মা। মায়ের হাতের রান্নায় গরুর মাংস খাই না আজ প্রায় তেত্রিশ বছর। এখনো, প্রতি বছর ঈদের সকালে মায়ের হাতের পোলাও আর গরুর মাংসের স্মৃতি আমাকে ব্যাকুল করে তোলে। গরুর মাংস রান্নায় মা আমার চ্যাম্পিয়ন হলেও রানার্স আপ হচ্ছে শার্লি।…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
গজব আসবে (আসাদ বিন হাফিজ) ঘরবাড়ি সব ভেসে গেছে সর্বনাশা বন্যায় ভাসেনি তো লোভ লালসা, ঘৃণা বিদ্বেষ, অন্যায়। গরুর পিঠে বুড়ি ভাসে, চালের ওপর ছুড়ি সর্বনাশা বন্যায় ভাসে হিজল গাছেরগুড়ি। ডেগের ভিতর শিশুবাচ্চা ভাসে বানের জলে ফসলাদি, ছাগল গরু সবই পানির তলে। সর্বনাশা বন্যায় ভাসে স্বপ্ন আশা সব তাদের কষ্ট কয়টা মানুষ করে অনুভব। একদল যায় রিলিফ নিয়ে অন্যে করে চিট সে রিলিফও লুট করে খায় মানুষ নামের কীট। নৌকা চড়ে ডাকাত আসে নৌকা চড়ে যায় ক্ষুধার্তদের রিলিফ নৌকা কেড়ে কেড়ে খায়। স্বভাবটাকে ভালো করো নইলে গজব আসবে আগুন লাগবে, পুড়বে মানুষ বানের জলে ভাসবে।
সিলেট সে তো পুণ্যভূমি (মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ) রহম এবং রক্ষা করো সিলেট পুণ্যভূমি শাহজালাল ও শাহপরান আছেন তাঁরা ঘুমি। ঘুমিয়ে আছেন পীর আউলিয়া আছেন ভক্তগণ ভালোবাসা ও ভক্তি শ্রদ্ধা করেন সর্বজন। সেই ভূমিতে বন্যা প্লাবন দয়াল তুমি চাও? “কুন ফায়াকুন”তোমার কালাম জারি করে দাও। লাখে লাখে শিশু- বৃদ্ধ করছে আহাজারি দূর করে দাও বন্যা বৃষ্টি অতি তাড়াতাড়ি। পারছি না তো সইতে আমরা আজাব গজব কেউ আর চাই না আমরা অধম পানির স্রোত ঢেউ! উজান বেয়ে পানির স্রোত কেমনে ঠেকাই বলো বুকের ভিতর চাপা কান্না নয়ন টলমল। কেউ দেখেনি এত্ত পানি এবং জলের ধারা শিশুর মুখে কান্না-করুন সবাই পাগলপারা। “রাত পোহাবার…
বসন্তের একদিন [রোকেয়া ইসলাম] কাজল যখন খালেক পেট্রোল পাম্পে পৌছালো তখন সকাল পৌনে নটা, ততোক্ষণে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে। জায়গাটা খুঁজতে দশ মিনিট, আর দশ মিনিট মোড় নেবার জন্য ব্যায় হলো । কুড়ি মিনিট আর যানজটে পঁচিশ মিনিট, মোট পয়তাল্লিশ মিনিটের ধাক্কা। পয়তাল্লিশ মিনিটে গাড়ি খুব বেশি দূর যেতে পারেনি, এই বাহনটা দ্রুত চালিয়ে আর যাত্রী ভর্তি গাড়িটা ধীর গতিতে চললে ধরাটা কঠিন নয়, সমস্যা হলো কঠিন যানজটের কবলে পড়লে সামনের গাড়ির যাত্রীরা খুব বিরক্ত হবে, এক জ্যামেই যদি পনর মিনিট কেটে যায় তাহলেই তো খবর হয়ে যাবে। দুটো বড়সড় জ্যামে আঁটকে যাবার সম্ভবনা আছে। থাক ওরা চলে যাক, ফেসবুক গ্রুপ…
মাত্র ২৭ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন ফাতিমা পেমান। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় কনিষ্ঠতম সিনেটর। ২৭ বছর ফাতিমাই হতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে প্রথম হিজাবধারী মুসলিম নারী। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে। জুলাইয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে নির্বাচিত এ সিনেটর। ফাতিমা বলেন, ‘সোমবার চূড়ান্ত ফল আসার পর ফাতিমা বলেন, আমি আফগান ও মুসলিম। তবে সেই পরিচয়ের আগে আমি একজন অস্ট্রেলিয়ান লেবার সিনেটর। আমি বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক পরিচয়, লিঙ্গ, বয়স ইত্যাদি পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সব অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করছি।’ হিজাব পরার বিষয়টিকে অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতিতে স্বাভাবিক করতেও কাজ করতে চান ফাতিমা। তিনি…
একার শাম্পান মুহম্মদ নূরুল হুদা (মুনূহু) ২২-২৩.০৬.২০২২ নিজেকে দেখার আগে বহুবার দেখেছি তোমাকে, তোমাকে দেখার পরে একবারও নিজেকে দেখিনি। চেনা অচেনার সাঁকো নিরাপদ দূরত্বের বাঁকে, যে আছে সুরক্ষা ব্যুহে, তাকে আর কখনো খুঁজিনি। তোমার দর্পণে আমি আমাকেই দেখেছি যেদিন, শর্তহীন উড়ে গেছি সীমান্তের এপারওপার। মায়াহীন মনডানা কোনো মানা মানেনি সেদিন, নিজের ভিতরে নিজে পুড়ে পুড়ে চিতাভস্মসার। বৃহস্পতি বলয়ের নীড়ে যতবার হয়ে যায় দেখা, ততবার আঁকিবুকি শেখা, একার ভেতরে একা একা। শর্তহীন সমর্পণ কার? নিশ্বাসে বিশ্বাস আছে যার। নিজে যদি নিজের করাত, বুঝে নাও নিজের আকার। উদিত সূর্যের দিকে চোখ রেখে উদয়াস্ত যাও এঁকেবেঁকে; অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রত্ন ব্যবহার শিখে শিখে সাজাও সংসার।…
অনুভূতি কষ্টগুলো কেন এমন হয়? শুধু দিবানিশি নয়ন ভেজায়। হৃদয়কে করে দহন, নয়নকে করে অচল, শুধু কষ্টগুলো থাকে সচল। পুরে অঙ্গার হয় দেহ ও মন, শুধু কষ্ট গুলোতে লাগে না আগুন। ফাগুন ও আসে নির্জলা দুপুরে পেঁজা তুলোর মতো, উড়িয়ে নিয়ে যায় সুক্ষ অনুভূতি গুলো। তবুও কষ্টগুলো নষ্ট হয় না করে না জায়গা বদল… বুকের বাঁ পাশটা নিয়েছে যবর দখলে, যেন তার চিরদিনের কেনা। পড়েনা ঝরে মরমরে শুকনো পাতার মতো হয় না পিষ্ট কোন অযত্নে… এ কেমন গড়ন? আঘাতের পরে আঘাত তারপরও কষ্টের যন্ত্রণা কমে না, বরং ধরে আর ও কঠিন পাথরের রূপে বরণ, আজো খুঁজে পাই না কষ্টের ধরণ।…
এখনো তোমাকে ভালোবাসি [আফছানা খানম অথৈ] আকাশ ও শিলা দু’জনের রিলেশনের বিয়ে। আকাশ পরিবারের সেঝো ছেলে মাস্টার্স পড়ে। বড় দু’ভাই এখনো বিয়ে করেনি। তাই বিয়েটা আপাতত গোপন রাখা হয়েছে।শিলা পরিবারের ছোট মেয়ে।এখনো লেখা পড়া শেষ হয়নি অনার্সে পড়ে।পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে..। তাছাড়া একটা বেকার ছেলেকে বিয়ে কেউ মেনে নেয়নি।দুই পরিবার অসন্তোষ্ট।দু’জনে হোস্টেলে থেকে লেখা পড়া করতো।বিয়ে করার পর হোস্টেল ছেড়ে দিয়ে ভাড়া বাসায় উঠল।কিন্তু দু’জনে ছাত্র সংসারের খরচ কিভাবে চালাবে। শিলার বাবা কয়েক মাস আগে মারা যান।শিলার লেখা পড়া, বিয়ে শাদী এসবের জন্য তিন লক্ষ টাকা ব্যাংকে তার নামে একাউন্ট করে রেখে যান।একাউন্ট থেকে কিছু টাকা তুলে শিলা কোনমতে…
মনের কথা (শফিকুল ইসলাম হাসান) আমি চিরকাল বেঁচে রবো না ইহকালে। হয়তো মোর কবিতাখানি বেঁচে রবে সাহিত্যের বৃক্ষ ডালে। তোমরা চিরতরে ভুলে যাবে এই আমাকে। তবুও ছন্দের মাঝে মনে রেখো এই ক্ষুদ্র বন্ধু কে। আমি চিরদিন বেঁচে রবো না তোমাদের মাঝে। থাকতে চাই ছন্দে ভরা বইয়ের ভাঁজে। ডুবে গেলে জীবন বেলা উঠেনা সেই রবি। আজকে আছি সবার মাঝে কাল হয়তো ছবি। প্রকৃতির মাঝে চলতে ফিরতে লেখায় করেছি কত ভুল। ক্ষমা করে দিও শেষ বিদায়ের সমাধিতে ফুল। তোমরা সবাই সুখে থেকো নাহি নিও মনে ব্যাথা। আপ্লুত মনে যা লিখেছি সবি মনের কথা।।
গ্রাম তোমাকে ছেড়ে যাচ্ছি ফেলে যাচ্ছি খড়কুটো ঘাসলতা একটা সরু নদী হৃদয় সম পর করে যাচ্ছি প্রাণের বান্ধব দূরে সরে যাচ্ছে একটা খেলার মাঠ আর আমার শৈশব নিয়ে খেলতে থাকা অগণিত সহপাঠী আর খেলার সাথী। ফেলে যাচ্ছি প্রাণের প্রাণী কুকুর বিড়াল ছাগল গরু ফেলে যাচ্ছি একটা গ্রামীণ আকাশ ফেলে যাচ্ছি কলিজা চিরে ফেললে যাকে দেখা যাবে – আত্মার আম্মাকে। ঘুম ঘুমিয়ে গেছে ঘুম ঘুমিয়ে গেছে রাতের বিছানায় দিনের কষ্ট ভুলেছে নয়ন আগামীকালের কষ্টরা দেখা দেয় চোখের ভেতর, সামান্য গভীরতায়। হৃদপিণ্ডের ভেতর রক্ত জমাট বাঁধা পুরনো রক্ত, কৈশোরের রক্ত সেই রক্ত তরল করলে দেখতে পাবেন প্রেমিকার ছবি। একটা মেয়ে বুড়ি…
