সিলেট সে তো পুণ্যভূমি
(মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ)
রহম এবং রক্ষা করো
সিলেট পুণ্যভূমি
শাহজালাল ও শাহপরান
আছেন তাঁরা ঘুমি।
ঘুমিয়ে আছেন পীর আউলিয়া
আছেন ভক্তগণ
ভালোবাসা ও ভক্তি শ্রদ্ধা
করেন সর্বজন।
সেই ভূমিতে বন্যা প্লাবন
দয়াল তুমি চাও?
“কুন ফায়াকুন”তোমার কালাম
জারি করে দাও।
লাখে লাখে শিশু- বৃদ্ধ
করছে আহাজারি
দূর করে দাও বন্যা বৃষ্টি
অতি তাড়াতাড়ি।
পারছি না তো সইতে আমরা
আজাব গজব কেউ
আর চাই না আমরা অধম
পানির স্রোত ঢেউ!
উজান বেয়ে পানির স্রোত
কেমনে ঠেকাই বলো
বুকের ভিতর চাপা কান্না
নয়ন টলমল।
কেউ দেখেনি এত্ত পানি
এবং জলের ধারা
শিশুর মুখে কান্না-করুন
সবাই পাগলপারা।
“রাত পোহাবার কত দেরি ”
কবি ফররুখ বলো-
সিলেটবাসির পাশে দাঁড়াই
তরুণ – যুবক চলো।
খাবার দাবার নাইরে তাদের রাতে অন্ধকার
পাওয়া গেল ৭জনের লাশ
ছিল বন্ধ দ্বার।
ধন- সম্পদ সবই ছিল
এখন তারা নি:স্ব
ভারত ছাড়া দেখছে সবাই
দেখছে সারাবিশ্ব।
সুরমা এবং ধরলা নদী
উপছে পরা পানি
কোত্থেকে যে আসছে এসব
আমরা সবাই জানি!
রংপুর আর কুড়িগ্রামেও
বাড়ছে পানি খুব
শেরপুর ও নেত্রকোণায়
তলিয়ে এখন ডুব!
ছুটছে সবাই সিলেট পানে
ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে
আড়াল হয়ে পরে আছে
দেখুন সেথায় গিয়ে!
সবার নজর সিলেট-সিলেট
সুনামগঞ্জেও যাও
মৌলভীবাজারও ডুবে গেছে
জানতে যদি চাও!
প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবক
বলছি এবার শোনো
বিদেশ থাকায় পারছি না যে
আসতে চায় এ মনও।
দেশপ্রেমিক মহান তোমরা এগিয়ে আসছো যাঁরা
আল্লাহর কাছে পুরস্কার
পাবেই পাবে তারা।
কুশিয়ারা নদীর পানি
যাচ্ছে কানাইঘাটে
ফেঞ্চুগঞ্জের লুভা নদী
এবং সারিঘাটে।
চারিদিকে পানির নদী
জল থৈ থৈ জল
বিস্তীর্ণ যে-সব এলাকা
যায় না পাওয়া তল!
যেই মাঠ-ঘাট শুকনো ছিল
চৈত্রে ছিল ফাঁটা
পানির তোড়ে যায় না এখন
কোনভাবেই হাঁটা।
পানি শাসন করছে যারা
দৃষ্টিতে নাও এবার!
ইচ্ছে হলেই বাংলাদেশকে
আছে অনেক দেবার!
প্রয়োজনে মিটিং ডাকো
খোঁজো সমাধান
ভারতকে বলতে হবে
আপনারা কী চান?
তারা যদি বন্ধুই হয়
ডুবিয়ে মারে কেন?
জবাবটা চাও শেখ হাসিনা!
মোদি শোনে যেন!
মমতা-মোদি চুপ থেকো না
বলো একটা কিছু
আমরা তো ছাড়ই দিলাম
ওরা নিবে পিছু!
সুনামগঞ্জ আর মৌলভীবাজার
পানির নিচে ঘর
মাঠ-ঘাট আর রাস্তাঘাট
হৃদ কাঁপে থরথর!
হে দয়াময় বাঁচাও তুমি
আমরা পাপী-তাপী
সকল মুশকিল আসান করো
করো তুমি মাফি।
রচনা : ইন্ডিয়া, ভেলোর, সিএমসি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ।
২২/৬/২০২২
১ Comment
Congratulations