যুদ্ধে প্রেম তসলিমা হাসান ক্যাপ্টেন খালেদের সাথে রেণুর বিয়েটা ধুমধাম করে হয়েছিল। বিয়ের পরদিনই যুদ্ধের ডাক পেয়ে রনাঙ্গনে চলে যায় ক্যাপ্টেন খালেদ। যদিও প্রেমের বিয়ে না, তবে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে এনগেজমেন্ট আর বিয়ের মাঝামাঝির তিনমাসে ভালোই প্রেম করেছে ওরা… রেনুর মনে পড়ে বাসর রাতের কথা… – আচ্ছা রেনু, তুমি কি কখনও প্রেম করেছ। রেনু মুচকি হেসে বলল, ” হাঁ করেছি তো। ” খালেদের মুখটা কেমন বোকাবোকা হয়ে গেল। আর্মির লোক সে। জেনারেলের অর্ডার বুঝে। কিন্তু নারীর মন বুঝা তার চেয়ে কঠিন… ” তার মান… তার মানে, তুমি আমায় বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছ।” খালেদ… উত্তেজিত হলে তোতলানো তার অভ্যাস ” আচ্ছা,…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
হবে পরাজয় শীরীন আক্তার ২৬/০৭/২২ কিছু চাইনা তোমার কাছে কারো কাছেই নয়, যদি পাই অদৃশ্য অনুভবের শুধুই ভালোবাসা, সহানুভূতি ভাববো পুরো পৃথিবীটাই আমি করেছি জয়। এটি শুধু একক কারো চাওয়া বলবে, সে সুযোগ নেই মোটেই, প্রাণী মাত্রই গভীর ভালোবাসার কাছে হিংস্রতা ভুলে পোষ মানবেই। এসো আমরা মানবজাতি এ ভাবনার সাথে করি সংহতি। আল্লাহর সৃষ্টিকে ভালোবেসে কাছে টেনে লই তার দুঃখ-কষ্ট ও আনন্দে সমভাবে অংশীদার হই। যদি আমি সুখ পাই তাতে আমার পরম প্রাপ্তি সেটাই। করে অপরের ক্ষতি কখনোই কেউ লাভবান হয়নি। বিধাতার বিধান সমান সবার জন্যই। তিনি মানুষের সৎ কাজের জন্য যেমন করেন পুরস্কৃত, তেমনি অসৎ, অন্যায়ের তিনি শাস্তি দিয়ে…
চিরকুট ড. নজরুল ইসলাম খান চিরকুট- অতি ক্ষুদ্র চিঠি। অতি অবহেলিত অতি অপ্রয়োজনীয় কাগজের টুকরো। নামটি শুনলেই মনটা চিরচির করে একটু একটু ফাটে আর অন্তরটা কুটকুট করে ভালোবাসার ইঁদুরে কাটে। চিরকুট- মনে হলে চিরকুট, আজও কেঁপে ওঠে বুক দূর হয় যত দুখ, ভীড় করে তত সুখ মহূর্তে ভেসে ওঠে প্রিয়ার ঐ রাঙা মুখ। চিরকুট- তোমার কী এক শক্তি অদ্ভুত! তুমি কি জিন-পরি নাকি ভূত? আকারে ছোট্ট হলেও আস তুমি অনাহুত। চিরকুট- মানে না বয়সের সীমানা শোনে না আপত্তি এ যেন প্রেম-ভালোবাসার প্রিয় এক সম্পত্তি। চিরকুট- কাগজের ভগ্নাংশ নাকি জীবনের ভালবাসার, নাকি অতি প্রয়োজনের আপন কর তুমি, পর ভাব নাকো জীবনে…
রংপুরে আইডিয়া প্রকাশন এর উদ্যোগে নির্বাচিত ছয় বইয়ের লেখককে সম্মাননা হিসেবে রয়্যালটি চেক প্রদান। অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী পাভেল রহমান এর ‘আমার মুক্তিযুদ্ধ গণতন্ত্র সংগ্রাম’, রেজাউল করিম মুকুলের ‘গল্পগুলো গণিতের’, সিনথিয়া খানের ‘অপরাজিতার গল্প ‘, সাংবাদিক আফতাব হোসেন এর ‘রোকেয়া পঞ্চানন দুই বাংলার সেতুবন্ধন’, ভাস্কর অনীক রেজার ‘নির্জন হাত’, রানা মাসুদ এর ‘তিস্তার আদ্যোপান্ত’ বইয়ের জন্য প্রত্যেককে দশ হাজার টাকার রয়্যালটি চেক প্রদান করা হয়। সোমবার বিকাল ৫টায় রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ হলরুমের অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে লেখকগণের হাতে রয়্যালটি প্রতীক চেক প্রদান করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোজাম্মেল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা সুশান্ত চন্দ্র খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, অধ্যাপক ড. আকলিমা আরা…
একটি ঘাসফুল মুসলেমা পারভিন এনে দেবে একটি ঘাসফুল, মাটির গন্ধ জড়িয়ে থাকা একটি ঘাসফুল এনে দিতে পারো তুমি? চাইনি কিছু আমি তোমার কাছে, সোঁদা মাটির গন্ধ বড় ভালোবাসি যদি কোনদিন হলুদ খামে ভরে পাঠিয়ে দিতে, আমার দিনটা অন্যরকম হয়ে যেত। কিংবা একমুঠো জোনাকি সাঁঝবেলায় কেমন উড়তে উড়তে জ্বলে আর নিভে, তেমনি কোন জোনাকি জীবন কোন কবিতার বইতে পুরে দিতেই পারতে পাঠিয়ে আমায়। আমি জোনাকি জীবন ছড়িয়ে দিতাম আমার খোলা ব্যালকনিতে। বলিনি কখনও এনে দাও ওই দূর আকাশের চাঁদ, মাখামাখি জ্যোৎস্নায় ভরিয়ে দাও আমার জীবন! তবু যদি কখনও আলগোছে মনে পড়ে আমার মুখ, চুল, চিবুক সেই সুখস্মৃতি ভরে রেখো কোন স্বচ্ছ…
অনিন্দ্যসুন্দর নিঝুমদ্বীপ ফিরোজ পাটোয়ারী মেঘমুক্তাকাশে নিচে কী দেখিলাম আজ জীবনে যেন প্রথম দেখা অদ্ভুত তরঙ্গরাজ। নিঝুমদ্বীপের অপারলীলা দেখতে চাইলে কেউ, বোনাস হয়ে দেবে দেখা নীল সাগরের ঢেউ। হাতছানীতে ডাকছে তোমায় স্বপ্নীল দ্বীপের হাওয়া, এমন বিস্ময় কোথাও খুঁজে যাবে না’কো পাওয়া! রাত-বিহাণে পাখ-পাখালীর মধুর কুহুতান, হুক্কা-হুয়া শেয়াল ডাকে ভরে যাবে প্রাণ। ঝাঁকে ঝাঁকে ছুঁটছে হরিণ কেঁওড়া বনের ফাঁকে, মধুমিতা গুঞ্জণ করে রসাল মধুর চাকে।
মা পাখিটি শিরিন আফরোজ গাছের ডালে পাখির বাসা কিচিরমিচির ডাকে মা পাখিটি খাবার আনে দুই ঠোঁটের ফাঁকে। বাসার ভেতর একটি ছানা মা পাখিটির জান অনেকগুলো ডিম পাড়লেও সবায় পায়নি প্রাণ। তিড়িং বিড়িং লেজ নেড়ে মা পাখিটি ছোটে পাহারা দিয়ে আগলে রাখে বাচ্চা ছানাটাকে। আকাশজুড়ে মেঘ দেখলে মা পাখিটির ভয় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলে কেমন করে রয়। অনেক মায়া মা পাখিটির ছানা আগলায় ডানা যতই বৃষ্টি যতই ঝড় তবুও মায়ের বুকে ছানা।
উন্নয়নের হাওয়া বি এম মোহসীন সূর্যোদয়ের রাঙ্গা ভোরের পলাশ রাঙ্গা সকাল অস্তাচলে লাল গোধূলির এখন বড্ড আকাল। শাপলা ফোটা দিঘির জলে হয়না শাপলা ফুল কেমন জানি সব কিছুতে অনেক অনেক ভুল। পুকুর ঘাটে যায়না দেখা গোসল করতে বউ আড়াল থেকে পুকুর ঘাটে নজর দেয়না কেউ। হাটের দিনে হাট বসেনা দুইবার বসে রোজ সেদিনটিতে কেউ করেনা নিকটজনের খোঁজ। শস্য বুনে লোকসান গুনে কৃষক হারায় পুঁজি কিষাণ বধুর মিষ্টি হাঁসি এখন কোথায় খুঁজি । হারিয়ে যাচ্ছে অমাবস্যায় আঁধার রাতের কালো পুর্ণিমাতে চাঁদনি রাতের জোসনায় ভরা আলো। গ্রাম এখন নেইতো গ্রাম সারাটি দেশ শহর গ্রামে গ্রামে চলছে এখন অটো গাড়ির বহর। ব্যস্ত মানুষ…
উত্তমকুমারকে নিয়ে প্রথম টিভি সিরিয়াল সিদ্ধার্থ সিংহ অনিরুদ্ধদা বললেন, কাল তোর কী কাজ আছে রে? আমি বললাম, না না, তেমন কোনও কাজ নেই। কেন? তিনি বললেন, তা হলে একটু দেবনারায়ণ গুপ্তের বাড়ি যাবি? আমি বললাম, যাব। কথাটা বললাম ঠিকই, তবে তার পরেই ভাবতে লাগলাম, হঠাৎ দেবনারায়ণ গুপ্ত! সানন্দায় তখন যে সংখ্যার কাজ চলছিল, সেখানে ‘পক্ষে-বিপক্ষে’ বা ‘বিতর্ক’তে যে বিষয় আগে থেকে ঠিক করে রাখা আছে, সেটার সঙ্গে তো দেবনারায়ণ গুপ্তের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে কি শেষ মুহূর্তে বিষয় চেঞ্জ হল, নাকি উনি কোনও পুরস্কার-টুরস্কার পেলেন! ‘বাবু-বিবি-সংবাদ’ হবে! হতে পারে! কিন্তু ওটা তো শঙ্করদা দেখেন। শঙ্করদা মানে শঙ্করলাল ভট্টাচার্য। তিনি তখন…
গুরুত্ব জান্নাতুল মেহেকা মুন্নি আচ্ছা আবার যদি দাঙ্গা বাঁধতো, ইংরেজরা এদেশ শাসন করতো। শেখ মুজিবের মত এমন নেতা, এ বাঙালির যদি আবার প্রয়োজন হতো। তবে কি নিন্দা করা বাঙালিগুলো জাতির পিতার মর্ম বুঝতো? সত্যিই যদি যুদ্ধ হতো, হারিয়ে যাওয়া ঐক্য ফিরিয়ে আনতে। বঙ্গবন্ধুর এবারের সংগ্রাম,স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম ,মুক্তির সংগ্রাম। তেজে ভরা সেই মহান ভাষণ প্রয়োজন হতো। আচ্ছা নিন্দা করা মানুষগুলো কি বঙ্গবন্ধুর গুরুত্ব বুঝতো ? যুদ্ধ করার উৎসাহ দেওয়ায় কারো নামে যদি মামলা হতো, ইংরেজদের কারাগারে যদি কাউকে যাবজ্জীবন থাকা লাগতো। তখন যদি স্বার্থপর এই বাঙালি জাতি , স্বার্থের টানে পালিয়ে যেত। আচ্ছা নিন্দা করা মানুষগুলো কি তখন বঙ্গবন্ধুর…
