চিরকুট
ড. নজরুল ইসলাম খান
চিরকুট-
অতি ক্ষুদ্র চিঠি।
অতি অবহেলিত অতি অপ্রয়োজনীয় কাগজের টুকরো।
নামটি শুনলেই মনটা চিরচির করে একটু একটু ফাটে
আর অন্তরটা কুটকুট করে ভালোবাসার ইঁদুরে কাটে।
চিরকুট-
মনে হলে চিরকুট, আজও কেঁপে ওঠে বুক
দূর হয় যত দুখ, ভীড় করে তত সুখ
মহূর্তে ভেসে ওঠে প্রিয়ার ঐ রাঙা মুখ।
চিরকুট-
তোমার কী এক শক্তি অদ্ভুত!
তুমি কি জিন-পরি নাকি ভূত?
আকারে ছোট্ট হলেও আস তুমি অনাহুত।
চিরকুট-
মানে না বয়সের সীমানা
শোনে না আপত্তি
এ যেন প্রেম-ভালোবাসার প্রিয় এক সম্পত্তি।
চিরকুট-
কাগজের ভগ্নাংশ নাকি জীবনের
ভালবাসার, নাকি অতি প্রয়োজনের
আপন কর তুমি, পর ভাব নাকো
জীবনে একবার কেন বারবার এসো।
চিরকুটে-
ভালোবাসা বন্দী, আর বন্দী প্রেমের সুখ
এক চিরকুটেই ভুলে যাই আহত হৃদয়ের যত দুখ।
চিরকুটের নাম শুনলে হৃদয়টা নড়েচড়ে
চোখের পাতায় পলক পড়ে
কলমে কথা ঝরে
তোমার কথাও মনে পড়ে
আহত মনটা আবারও হয় নড়বড়ে।
চিরকুট-
এখন তোমার শেষ
হয়তো আছে কিছুটা রেশ
তোমার জায়গা দখল করেছে
এসএমএস বাংলাদেশ।
১ Comment
congratulations