হঠাৎ বৃষ্টি
আহমেদ এটিএম ফারুক।
মাঘের বিষণ্ণ দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি
বৃষ্টির মাঝে সতেজ প্রকৃতিতে আবার রোদের হাসি
সত্যি ভীষণ অবাক করে লাস্যময় হাসি
তখনও মেঘলা আকাশ,
অথচ ফাঁকে রোদের কৌতুক! নিশ্চয়ই অবাক করা!
ঘরের ভেতরে আমি নিবিষ্ট কবিতা পাঠে
ঝুম ঝুম ঝুর ঝুর কিছু আওয়াজ কানে বাজে
এক মহিয়ষী রমণী গরম চা হাতে দিয়ে দরজা খুলে বললো এ-ই কবি!
অবাক করা বৃষ্টি!
আবার রোদও, দেখো…। দৌড়ে গিয়ে বারান্দায় বৃষ্টির দিকে দৃষ্টি
তখনো তিনি ঝরছেন, রোদও হাসছেন, আকাশ নীরব, নীরব নিস্তব্ধ প্রকৃতিও। গাছের একটি পাতাও নড়েনি,
এক নীরব স্নান, জলকেলি!
নিশীথে একান্তে প্রিয়ার উষ্ণ সান্নিধ্যে যেমতি বসন্ত হূল ফোটায়
তেমনি নীরব সঘন রূপ আজ আবার উপভোগ করি।
নীরব আকাশে সূর্য দেবকে খুঁজি,
তাঁর দেখা মিলেনি।
মেঘের আড়ালে মিছরির চুরি!
আমিও আমার মতো করে তাকে বিলাসী ভেবে
প্রিয়াঙ্কাকে বলি
তুমি নীরবে রহিছ চাহি!
সে বারেক হেসে কয় দেখি, খোদার আরশ দেখি!
চকিতে আমি চমকে ভাবি, এ রমণীয়ও এক নীরব কবি!
বহুকাল হতে দেখি, কত দেশে লয়ে ঘুরি
তার মাঝেও একটি নীরব কবি সত্ত্বা, উপন্যাস কাব্য আবৃত্তি লক্ষ্য করি।
সূর্যি মামা একটু সবাক হয়ে আবার আকাশ মেঘলা করে,
দীঘল কালো কেশে আকাশকে বড় মিষ্টি লাগে।
জল গড়িয়ে যায় সড়কের দু’ধারে
পথিকের পথ চলায় বিঘ্ন ঘটে।
আমার কাজের বয়সী নারী
বৃষ্টি ভেজা শাড়ীতে ঘরে ঢোকে,
আমি হা করে চেয়ে রই-
একটি বিজয় মিছিল ঢাকঢোল পিটিয়ে বৃষ্টিতে জবুথবু, তবু থামেনি
আমিও লেখায় মগ্ন রহি।
ততক্ষণে লোকেরাও আবার রাস্তায় নেমে পড়ে
আবার কোলাহল কলরব, আবার জনরব
জনরোষে ফেটে পড়ে,
একটি জঙ্গি মিছিল আবার সড়কে!
বৃষ্টি ওদের পথ রুদ্ধ করেনি।
রব.. জিতছে কার জিতবে কারা?
সূর্য ছাড়া আবার কারা!
আবার শৈশব যৌবনে ফিরি
আকাশ প্রকম্পিত শ্লোগান ধরি।
প্রিয়াঙ্কা কয় আসি
এক শৈত্য প্রবাহ ছলাৎছলাৎ করে
আমিও জানি ও.. ধেয়ে আসছে
আমায় জমের মতো ধরবে টানি
চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে গা গরম করি।
আবার আরেক পশলা বৃষ্টি
কী অবাক বিস্ময় ভরা পৃথ্বী!
________________________
রচনাঃ ২০.০১.২০২১ইং, ১১.৫৫–১২.১৫মিঃ