সীমানা পেরিয়ে
ঐ দূর গগণ মিলেছে সেখানে
যেখানে পথের সীমানা থেমে গেছে।
বিস্তৃর্ণ আকাশ রইল আজন্ম ছোঁয়া বিহীন
সীমানা পেরিয়ে ভেদ হলো না তার প্রাচীর
তাই পথের শেষ প্রান্ত সন্ধানে বিভোর মন।
কখন হবে প্রস্ফুটিত ভোর?
যেতে হবে হেঁটে আমায় আজ বহুদূর
যেখানে আকাশ আর পথ মিলে গেছে।
হবে কি দেখা কখনো তা?
ভেবে ভেবে হলো ভোর
নয়ন মেলে খুলি দোর ।
দেখি আকাশ তো সেই দূরেই দাঁড়িয়ে আছে
আকাশ আর জমিনের মধ্যে এখনো অনেক তফাৎ
কেন তাদের মিলনের নেই কোনো সু পথ?
অনেক দিন পর হাঁটছি আনমনে
জানিনা মন কেন খুঁজছে অচেনা পথিক কে?
তবে পাবো কি দেখা কোনো নতুনত্ব?
নাকি পাবো কোনো হীরা মানিক্য ?
বড়ই চঞ্চলা মন আজ নতুনের খোঁজে
হয়তোবা পেলেও পেতে পারে
আজ না হয় কাল বা শেষ গন্তব্যের দিনে।
আকাশ না হোক , হোক তা অন্য কিছু
যেখানে নদী এসে মিশেছে পথের সাথে
তাই হাঁটব আর ও কিছু দূর সেই
অচেনা নদীর পথের বাঁকে
দেখবো নয়ন মেলে সেই মহা মিলন
যেথায় নদী ও আকাশ মিশে এক হয়ে গেছে।
অলস দুপুর
ঘুম বিভোর চোখ
ঝুম বৃষ্টির মায়া
কি করে বলি?
আজ দুপুরে ঘুমাবো না।
হিমেল হাওয়ায় পর্দা উড়ে
নিদ্রার নেশা দু’ নয়নে,
পাশেই ছোট্ট টিনের চালা
টুপুর টাপুর ছন্দে বহে হৃদয়ে দোলা।
কাঁচা লঙ্কা ইলিশ ভাজা আর ডাল
পেট ভরে বেমালুম খেলুম আজ,
ভাত ঘুমে বিভোর হৃদয়
আজ তো পালাবার পথ নেই।
রকি চেয়ারটা দুলছে
আর আমায় কাছে টানছে,
হাই তুলে ঝিমুনি খানিকটা পর পর।
না ঘুমিয়ে উপায় নেই
একটি অলস দুপুরে
বৃষ্টির ভালোবাসায়।
স্বপ্নে দেখি কিশোরী বেলা
উঠেছি পেয়ারা গাছের মগ ডালে
একটি আধ খাওয়া পেয়ারা হাতে,
হঠাৎ পড়লাম নিচে দপাস করে।
চোখ মুছে তাকিয়ে এদিক ওদিক
পাছে কেউ দেখে নিতো,
উঠে তখন দাঁড়িয়ে দেখি
বিছানা থেকে নিচে পড়ে আমি
একটু খানি ভাত ঘুমের সুখে।
একটি অলস দুপুর,
আমায় নিয়ে গেল দুরন্ত পনায়
সাথে নিয়ে সুন্দর কিশোরী বেলা,
স্বপ্নের সাথে বাস খানিকটা সময়।
১ Comment
দারুণ ভাবনা গুলো সাজিয়ে বলা শৈল্পিক সমৃদ্ধ কবিতাটি মুগ্ধকর।