দান
(মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ)
শীত নিবারণ করতে আছে
লেপ তোষক আর কম্বল
গরীব দুখির আছে কেবল
ছেঁড়া কাঁথাই সম্বল।
তোমার পানে চেয়ে থাকে
দুহাত পেতে ওরা
সাহায্য দাও হাসি মুখে
নয়কো ফুলের তোড়া।
মোটা কাপড় দুমুঠো ভাত
জাস্ট এটুকু চায়
কুশন ভূষণ জাজিম সোফা
এসব নাকো হায়!
আল্লাহ যাদের অর্থ দিছেন
ব্যস্ত সারাক্ষণ!
ব্যস্ততারই মাঝে থাকুক
সুন্দর একটি মন।
মন সুন্দর যাহার থাকে
ভালোবাসা পায় সে
ভাল পোশাক ভাল খাবার
অনায়াসে খায় সে।
দান করলে নেকীর পাল্লা
ভাড়ী হতে থাকে
দান করলে রিজিক বাড়ে
ভালোবাসে তাকে।
দান করে হয়নি গরিব
কোনকালেই কেউ
দান করলে শান্তি মিলে
মিলে সুখের ঢেউ।
দানকারীর মাতা-পিতাও
সুখে থাকেন কবরে
সব মানুষের হাত খুলুক
সুসংবাদ এই খবরে।
একটা কম্বল দান করায়
খুশি হবে দুখিজন
আসুন সবাই দান করিব
সবাই করি শক্ত পণ।
মহৎ যারা তারাই করেন
দান সদকা দান
দানের মাঝেই ওসব মানুষ
শান্তি খুঁজে পান।
দয়াল নবী বিশ্বনবী
বিয়ে করলেন যখন
আরব মাঝে সেরা ধনী
তাঁর স্ত্রী তখন।
তাঁর স্ত্রী মা- খাদিজা
সব সম্পদগুলো
নবীর পায়ে ঢেলে দিলেন
নিজে রাখলেন ধূলো।
বিশ্বনবী এসব সম্পদ
খাদিজাকে নিয়ে
গরিব দুখির মাঝেই সব
দিলেন বিলিয়ে।
খালি হাতে ফিরে এলেন
খাদিজা ও নবী
নিজের ঘরে নাইরে খাবার
বিলিয়ে দিলেন সবি।
আবুবকর ওমর ওসমান
আলীও ছিলেন এমন
বিশ্বনবী যা যা করতেন
তারাও ছিলেন তেমন।
তাদের মাঝে খাই খাই ভাব
ছিলো না তো কভূ
তাদের কাজ ছিলই কেবল
খুশি হোক প্রভূ।
প্রভূর খুশির জন্য তারা
থাকতো যে মশগুল
তাই তো তাদের পাই না কভূ
কোন রকম ভুল।
আসুন তবে আমরা সবাই
গরিব দুখির জন্য
সাধ্যমতো দান করে
নিজকে করি ধন্য।
একটু ভেবে দেখুন সবে
গরিব হতাম যদি
খাবার দাবার না ই থাকতো
জাজিম সোফা গদি!
আমরা যদি অন্ধ হতাম
কিংবা ল্যাংড়া লুলা
এসব ভাবনা ভাবা উচিত
নয়কো মনঃ ভুলা।
আসুন সবাই মহান প্রভূর
শোকর করি রোজ
জামা জুতো বাজার কেনায়
কিংবা যখন ভোজ।
আল্লাহ পাক খুশি হন
করলে সাদকা দান
দান সাদকা করলে বাড়ে
সবার কাছে মান।
পরিবারের পক্ষ থেকে
দানের বাজেট চাই
দান করবো মুক্ত হস্তে
যখন সুযোগ পাই।
আপনজনও চেয়ে থাকে
সাহায্যের ই আশায়
এগিয়ে যেতে পারে তারা
গভীর ভালোবাসায়।
সাহায্যের হাত খুলুক
ছোট বড় সবার
দান করবো নয়কো গুনে
দিলাম আমি ক’বার!
_________
রচনাঃ চলন্ত বাসে
উত্তরা টু মোহাম্মদপুর
৬ জানুয়ারি ২০২৩
২ Comments
সুন্দর প্রকাশ।। শুভকামনা
nice