০১) আ- হা
হতাম যদি আমি পায়রা!
তবে বিকেলের নরম রোদে,
সঙ্গী পাখিটিকে নিয়ে
উড়ে উড়ে নীল সাদায় মেশানো –
আকাশে যেতাম বহুদূর।
অথবা উপর নীচে পাঁক-
খেয়ে খেয়ে খেলা করতাম।
কখনো আমি থাকতাম সামনে,
সে পেছনে অথবা
সে সামনে, আমি পেছনে।
এভাবেই খেলায় খেলায়-
কাটতো বিকেলটা।
অথবা হতাম যদি পড়শীর-
পোষ মানা কবুতরগুলোর একটিও;
তবে, সকাল- বিকাল পেতাম
কারো মনোযোগ ও যত্ন।
একি! কোথায় গেল
আকাশের নীলিমায় উড়তে –
থাকা কবুতর জোড়া?
ওরা কি উড়তে উড়তে চলে গেছে –
বহুদূরে, কোথাও?
অথবা হাড়িয়ে গেছে শূন্য দিগন্তে।
দূর্ভাগ্য বশত আমি মানুষ হয়েছি
এমন কথা বলবো না।
তবে আমার অবস্থাটা
ঠিক তেমনই,
যেমন আমার ঘরের খাঁচায় –
পোষা পাখিরা।
০২) পথ হারা এক পাখি
জীবন নদী বইছিল বেশ একধারাতে,
আজ হলো তার দু’টি ধারা।
সকাল- সন্ধ্যা গাইছিল গান, যে পাখিটা
আজ হলো সেই গানের পাখি সুরহারা।
ভাবেনি সে হবে এমন একলা একা পথহারা।
জীবনটা কি কাটবে তার কেঁদে কেঁদে একা একা?
জানে না সে, আঁধার ঘুচে পাবে কবে আলোর দেখা।
০৩) সাধ
বড় সাধ ছিল মনে
তোমার সাথে ভাসব সাগর জলে,
শীতল হাওয়ায় জুড়াবে এ প্রাণ
গাঙচিলেরা শোনাবে গান
যখন সন্ধ্যা নামে।