গত পনেরো বছরে দেশের ৮৫% মানুষের ভালোবাসা হারিয়েছেন শেখ হাসিনা।
অথই নূরুল আমিন
বাংলাদেশের প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ শেখ হাসিনাকে খুবই ভালোবাসত। এটা শুধু বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসাবে। কিন্তু গত পনেরো বছর একটানা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে, দেশের জনগণের কল্যাণে কোনো একটা কাজই তিনি করেননি। যা থেকে জনগণ উপকারী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই উন্নয়ন আর উন্নয়ন মেগা প্রকল্পের পাল্লায় পরে। দেশের জনগণের ভালোবাসা থেকে আজ বঞ্চিত। দেশের ষাট শতাংশ মানুষ যেখানে দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে। সেখানে কখনও মেগা প্রকল্পের প্রশংসা কেউ করবে না। এটাই বাস্তব।
গত পনেরো বছরে দেশের জনগণ সবচাইতে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের অবাদ ঘুষ বাণিজ্য করা থেকে। মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছে এই ভেবে যে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমরা জনগণ সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে কেন কাজ করাতে হবে?
এছাড়া পনেরো বছর ধরে শেখ হাসিনা দেশের পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনো কথাই বলেননি। এমনকি একদিন আফসোস পযর্ন্ত করেননি। পনেরো বছরে সরকারি রেলওয়ের সময়সীমাটা পযর্ন্ত সঠিক হলো না। স্বাস্থ্য সেবার নাজেহাল অবস্থা রয়েই গেল। পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য। বিচারপতিদের দুর্নীতি বেড়েই গেলো। দুদকের মতো প্রতিষ্ঠান দুর্বল হলো।
গত পনেরো বছরে শেখ হাসিনার ঐ সময়টা যেন এমন একটা খারাপ পর্যায়ে চলে গেল। সব মিলে সমগ্র দেশটাই যেন একটা জেলখানায় পরিণত হয়ে গেলো। পনেরো বছরে শিক্ষা ব্যবস্থাটা শতভাগ নষ্ট হলো। এককথায় দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ নারী বা পুরুষ শেখ হাসিনার প্রতি অসন্তোষ ভাব ঘৃণার ভাব আহলো এ যেন পাহাড় সম।
ভিতরে ভিতরে মানুষের মাঝে জনরোষ বিরাজ করতে লাগল। শেখ হাসিনা দেশের বেকার শ্রেণির দুই শতাংশ লোকেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারলেন না। অন্য দিকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপি জেলা উপজেলার নেতা নেত্রীগণ দেশের সাধারণ মানুষের সাথে যেমন করেছে প্রতারণা। তেমনি করেছে ঘুষ বাণিজ্য। চাঁদাবাজি। টেন্ডারবাজি ইত্যাদি ভাবে নির্যাতন করেছে সাধারণ মানুষকে।
যার বলে ৫ আগষ্টের দিন একযোগে সবাই বলেছে আজ থেকে আমরা স্বাধীন। সকল সাধারণ মানুষেরা আজকে মহা খুশি। তারা আজকে শত ধরনের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেয়েছে মর্মে চায়ের দোকানে পযর্ন্ত আলোচনা চলে।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।
২৯/০৯/২০২৪