অকুলের কুল
পান্না দেব নাথ
কালো মেঘে আচ্ছন্ন ভয়ঙ্কর
গর্জনে কম্পিত হৃদয় ঝর্ণাধারা
প্রবাহ মান বয়ে চলেছে
অপেক্ষার দীর্ঘ প্রহর গুনতে থাকি।
মুক্তির পথ দেখতে পাচ্ছিনা
কঠিন সংগ্রাম হে ভগবান
যত মান অভিমান দয়া কর
মোদের ভয়ানক অশান্ত রূপ।
সকল দুঃখ তুমি মুছিয়ে দাও
আকাশ, বাতাস ভারী হয়ে
আসছে বেদনায় জর্জরিত সব
সীমাহীন প্লাবনে কষ্টের সীমা নেই।
সকল অহংকার চূর্ণ কর
মুক্তির পথ দেখিয়ে দাও
আজ তোমার শরণাপন্ন হলাম
এবার শান্ত হও মুক্ত করো।
সব নিস্তব্ধ চারিদিকে হাহাকার
অকুলের কুল দাও তুমি
দয়ার সাগর হে ভগবান
এবার মুক্ত কর তুমি শান্ত হও।
২)
আমায় আলিঙ্গন কর
পান্না দেব নাথ
দুই নয়ন ভরে কাজলও দিলাম
সকল বেদনা তুমি মুছিয়ে দিও
যত মান অভিমান তোমাকে দিলাম
সবকিছু তুমি ভুলিয়ে দিও প্রিয়।
অদৃশ্য মায়ায় তুমি জড়িয়ে দিলে
প্রেমের আকাশ রোদে রাঙানো
সুগন্ধি ফুলে আছে ভালোবাসা
অনেকদিনের সুপ্ত চাওয়া পূর্ণ হল।
হঠাৎ সব এলোমেলো হয়ে গেল
ছুটে যাই সেই স্মৃতির পাতায়
তোমার মায়া জালে বেঁধেছো
লুকিয়ে রাখা চাপা কষ্ট কঠিন।
নীলের খেলা সমুদ্র জলে চঞ্চল সিন্ধু
দুইটি পায়রা উড়ে গেল ঊর্ধ্বাকাশে
আঁধারেও যেন দীপ্তি পায় ভালোবাসা
চিত্তে বড় আশা পদ ধ্বনি শুনতে পাবো।
শান্ত গলায় বলেছিলে ভালোবাসি
দীর্ঘ প্রতীক্ষা সত্যি হতে লাগলো
স্বপ্নের দরজায় এসে দিয়েছো নাড়া
সুগন্ধি মায়ায় জড়ালে আমায় কবি।
৩)
আমি নীলাঞ্জনা
পান্না দেব নাথ
বিশাল প্রকৃতির মাঝে
সুবিশাল পাহাড় ও জলপ্রপাত
নদীর গতিপথ সরল নয়
দুর্বল মানুষরাই চিৎকার করে।
আমার কাছে কবিতাই জীবন
আমি কবিতা লিখতে ভালোবাসি
কবিতা এবং গান শান্তির বার্তা
বয়ে আনে আমার জন্য কেউ?
ফুল নিয়ে বসে নেই তো
এক সময় নিরুদ্দেশের দেশে
চলছিলাম যত বাঁধাই আসুক
ততই পথ চলার সহযোগিতা করে।
ধৈর্য,সহ্য শক্তি বাড়িয়ে দেয়
পথভ্রষ্ট হতে চাই না
আমি নিলাঞ্জনা চিনতে পারোনি
বহুদিনের বাসনা তোমাকে দেখার।
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেলাম
সব শূন্যতা অন্ধকার নেমে এলো
নিরব নিস্তব্ধ জন মানবহীন
পাহাড়ের গা গেয়ে হাঁটতে শুরু করি।
নতুন সুর, নতুন ফুল মিষ্টি
বাতাস, প্রকৃতি যেন হাসছে
তারপরও অন্তর শিউরে ওঠে
আঁধারে তারপরও আশা জাগে হৃদয়ে।