তিলোত্তমা
তিলোত্তমা তুমি আমার
মন নিয়েছো কেড়ে
জীবন হতে তুমি ছাড়া
সব ফেলেছি ঝেড়ে।
রোজ বিকেলে তোমার পরশ
আমায় শীতল করে
তোমার মৃদু হাসির ঝিলিক
আমায় আঁকড়ে ধরে।
তোমার হাতের আলতো ছোঁয়ায়
আমি নুয়ে পড়ি
ইচ্ছে জাগে তোমায় নিয়ে
সুখের জীবন গড়ি।
হুটহাট প্রেম
ফেসবুকে জানাশোনা
ভাব বিনিময়
আবেগের ছলনায়
কতো অনুনয়।
যাচাই-বাছাই ছাড়া
কথা ভাগাভাগি
একটুকু কম হলে
চলে রাগারাগি।
অডিও ভিডিও কলে
কতো কতো আলাপ
ঘুমঘোরে কেউ কেউ
করে সেই প্রলাপ।
কতো কতো প্রেমিকা
ঘর বাড়ি ছাড়ে
অবশেষে টের পায়
সেটা হাড়ে হাড়ে।
কেউ কেউ দেশ ছেড়ে
বিদেশে ও যায়
হুটহাট প্রেমের সাজা
অনেকেই পায়।
কারো কারো ভাগ্যে
করুন পরিণতি
কূল কিনারা হারিয়ে
পায় না যে গতি।
দূর অজানায় গিয়ে
কারো পড়ে লাশ
হুটহাট প্রেম করে
হচ্ছে কতো সর্বনাশ।
রাতজাগা পাখি
নীরব নিস্তব্ধ রাত্রিতে
রাতজাগা পাখি
আধো আধো ঘুম ঘোরে
খুলে রাখি আঁখি।
আবোল তাবোল বুলি
মনে দোল খায়
বেহিসেবি বুননে
বুনে চলি তাই।
ভয়হীন রাত কাটে
কলম কাগজে
শব্দেরা ঘুরেফিরে
মননে মগজে।
ভীতি হীন চিত্তে
লিখি অবিরত
চারপাশ জুড়ে ঝড়
আসুক না শত।
একাকী নির্জনে
বসে নিরিবিলি
কাগজ কলম নিয়ে
কতো খেলা খেলি।
অব্যক্ত কথাগুলো
মনের মাঝে বারেবারে ঘুরতে থাকে
অব্যক্ত কথাগুলো,
কালো মেঘ হয়ে জমাট বাঁধতে থাকে
অদেখা ব্যথাগুলো,
অস্পষ্ট কষ্টের তীব্রতা মনের গহীনে
স্মৃতি হয়ে ভাসে,
এপার ওপার ফারাক সৃষ্টি করা দানবের
স্মৃতি ও মনে আসে।
অব্যক্ত কথাগুলো কখনো কখনো নির্জনে
নীরবে কাঁদায়,
মন খুশির শেষ মূহুর্তে ও অব্যক্ত কথাগুলো
নিজেকে ভোগায়,
অব্যক্ত কথাগুলো নীল কষ্ট হয়ে বহুবার
বহুরূপে ধরা দেয়,
অতি সুখ স্মৃতি অনুভব কালেও অব্যক্ত কথাগুলো
ঘুম কেড়ে নেয়।
অব্যক্ত কথার লুকোচুরি খেলা ফুলঝুরি হয়ে
সাজে না,
অব্যক্ত কথাগুলো ক্ষণিকের জন্যে ও গান হয়ে
বাজে না,
অব্যক্ত কথাগুলোর অসহনীয় যন্ত্রণা নিজেকে
কুড়ে কুড়ে মারে,
অযুত নিযুত বাক্য আলাপকালে অব্যক্ত কথাগুলো
নিজেকে বিষিয়ে ছাড়ে।
দ্রব্যমূল্যের বেহাল দশা
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মূল্য
নিত্য পণ্য সব কিছুর
বাজার থলে হাতে নিলে
চিন্তায় হয় মাথা চৌচির।
দু’মুঠো ভাত আনতে যাদের
পায়ে পড়ে মাথার ঘাম
দ্রব্য মূল্যের এই বাজারে
পারবে কি তারা দিতে দাম?
নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত তাদের
পড়ছে কপালে ভাজ
জীবন চলার যন্ত্রণাতে
উপেক্ষিত শরম লাজ।
উঁচু আসনে উচ্চবিত্ত
দিব্যি আরাম করছে রোজ
দ্রব্যমূল্য যতই বাড়ুক
করছে তারা ভুরিভোজ।
আউট ইনকাম যাদের আছে
চিন্তা তাদের একদম নেই
কালো টাকায় পকেট ভরে
নিশ্চিন্তে ঘুম দেয়।
সীমিত আয়ের জনগণ আজ
পড়ছে মহা বিপাকে
নাভিশ্বাস এই অচলাবস্থা
শেষ হবে কি কোন ফাঁকে?
ডাল ভাত খেয়ে যাদের চলে
নিত্যদিনের যাপিত জীবন
দ্রব্যমূল্যের বেহাল দশায়
তাদের যেনো ডাকছে মরণ।
মাছ মাংসের বাজার চড়া
ডিম নাগালের বাহিরে
দরিদ্রদের আয়ত্বে আজ
কিছু যে আর নাহিরে।
মুদি পণ্য সীমা পেরিয়ে
তরতর করে বাড়ছে দাম
বাড়ছে নাতো এই মূহুর্তে
কোন দ্রব্যের গুনগত মান।
মানুষ জাতির বাজার মূল্য
দিনে দিনে যাচ্ছে নিচে
বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা
এখন যেনো পুরোই মিছে।
দ্রব্যমূল্যের বেহাল দশা
কাটবে কি আদৌ কোন কালে?
বন্দী দশা জীবন যেনো
আটকে আছে মরণ জালে।
চেয়ার ঘেঁষে কেউ কেউ আবার
আছেন উচ্চ আসনে
হর হামেশা মুখে মুখে
সমাধান দিচ্ছেন ভাষণে।
দ্রব্যমূল্যের বেহাল দশা
দেখার জন্য কেউ কি নেই?
হতাশ জাতি থমকে গেছে
জীবন মরণ তাগিদেই।
নদীর তীরে
নদী আমায় হাতছানি দেয়
নদীর কূলে যেতে
নদীর দর্শন পেলে মনটা
আনন্দেতে মাতে।
শীতল পরশ নদীর হাওয়া
আমায় ব্যাকুল করে
সারি সারি নৌকাগুলো
থাকে থরে থরে।
রাশি রাশি মাঝিদের দল
জাল পেতে মাছ ধরে
ঝাঁকে ঝাঁকে বকের সারি
আকাশ পানে উড়ে।
দূর আকাশে গাঙচিলেরা
ডানা মেলে ঘুরে
হঠাৎ হঠাৎ ঘাপটি মেরে
নদীতে মাছ ধরে।
উদাস মনে নদীর তীরে
জেলেরা গান গায়
মাঝি ভাই নৌকা নিয়ে।
একূল ওকূল বায়।
১ Comment
congratulations