আশা নিরাশা
মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম
ফেরারী মন হরেক রকম দুঃখ ফেরি করে বেড়ায়
বাসনা কামনা মনেতে অজানা অভিমানে লুকায়।
হৃদগহীনে কারো জীবন ভাবনাতে অভাগা নাই,
সবাই যার আপনজন স্বজন বন্ধু পরানের ভাই।
শুভ কামনায় মনোমন্দিরে নাই যে এতটুকু ঠাঁই ,
মরীচিকা মায়া সবকায়া সুখ করে পালাই পালাই।
বুঝা দায় আদতে কি চাওয়া উচিত বৈভবে কি চায়?
সত্যিটা সত্যিতে বিলক্ষণ নাই তবুও নিয়মিত হারায়,
যা চায় তা চাইলে কি পায় আনমনে বারোমাসি গায়!
লাল নীল,সাদা কালো কষ্টের পসরা বিষাদে অবসাদে
ভীষণ খরায় ভুগছে যৌবনেপোড়ামন অতুল প্রসাদে।
মৌচোর লুটেছে যুবতীফুলের মধু আলোয়াঘেরা ভুবনে
কচি ডগারমত বাড়ন্ত স্বর্গের হাতছানি মনোহরা স্বপণে।
বেলাজ বিদগ্ধ উদাস প্রেমিকের বেখেয়ালী অনুঢ়ামন,
সবার ভাগ্যে জোটে কি কামিনীপ্রেমের স্মৃতিরোমন্থন?
নিশীথের নিষিদ্ধ পদ্ম হারিয়ে সেই হতে ধূসর যে বসন্ত
পলেস্তা খসে খসে পড়ছে বসুমতীর স্বাছন্দ যে পড়ন্ত।
পিঙ্গল আকাশ রামধনু বিকালের আলো বিলায় ছন্দ,
এ তল্লাটে সমীরণ অনুরণে ঝরে নিষিদ্ধ গন্ধমের গন্ধ।
ভোর বিহানে পথ আর পথিকের এই নিয়ে কত দ্বন্দ্ব।
নষ্ট ঘেরাকলে রাধার সতীত্ব পিষ্ট যতটা থাকে অবশিষ্ট
নদীর নিবিড় পথচলা হোক না হয় শান্তশিষ্ট সময় নিষ্ঠ!
বকে যাওয়া চাঁদ মনহারানো আঁধ খোয়া রূপালি রাত,
ছেড়া ছেড়া মেঘমালা চুমে চুমে দখল চায় ঈশ্বরের হাত।
মিছে খোঁজা শুনশান শ্মশানে রমণী মায়ার রাঙা প্রভাত।