আজকে তরুণ লেখক, কবি ও কলামিস্ট আবুল খায়ের-এর ৪৬তম জন্মদিন। প্রতিবিম্ব প্রকাশ।

এক নজরে লেখক পরিচিত:

আবুল খায়ের (কবি, কলামিস্ট ও প্রকাশক)
জন্ম:
কবি আবুল খায়ের, ১৯৭৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার পূর্ব মোহাম্মদপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামে জন্ম হলেও পড়ালেখা ও পেশাগত জীবন ঢাকাতেই কাটছে। ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। লেখায় মানবজীবনের বাস্তবতাকে তুলে ধরেন বলে তাঁকে বাস্তবাদী কবি বলা হয়।

পড়ালেখাঃ
ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর, সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি, চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ থেকে এইচএসসি, মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, পূর্ব মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন।
এছাড়াও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর PGDHRM (ABP/UK) উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশের বাহিরে ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। দেশ-বিদেশে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার সভা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
মননশীল এই কবি লেখালেখির কারণে অনেক কিছুই জীবন থেকে ত্যাগ করেছেন। তবে গন্তব্য ঠিক রাখার মানসে এগিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।

লেখালেখিঃ
ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর লেখা বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হতে থাকে। বহু যৌথ কাব্যগ্রন্থে ও লিটলম্যাগে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন দেশ-বিদেশের জাতীয় পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। কলামিস্ট ছাড়াও তিনি শিশুসাহিত্যিক হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। গল্প লেখায় পারদর্শিতার পাশাপাশি চমক সৃষ্টি করে গল্পকে পাঠকের মনে স্থায়ী আসন দিতে সক্ষম হয়েছেন ইতিমধ্যে। শতাধিক গল্প দেশ-বিদেশের জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

সম্মাননা:
তিনি কবিতায় ‘কবি জসিম উদ্দীন সাহিত্য পদক-২০১৯; ‘কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৮; ‘কবি বন্দে আলী মিয়া সাহিত্য পদক’(প্রবন্ধে), সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা, কথাসাহিত্যে ‘ ভিন্নমাত্রা অ্যাওয়ার্ড ২০২২, শিশুসাহিত্যে `পসিটিভ বাংলাদেশ ষ্টার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ ইত্যাদি ছাড়াও বহুসংস্থা/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্রেষ্ট ও সম্মাননা অর্জন করেন।

প্রকাশিত গ্রন্থঃ
কাব্যগ্রন্থ: দীর্ঘশ্বাসের সাথে বসবাস (বইমেলা-২০২০), অসহিষ্ণু পৃথিবীর বুকে (বইমেলা-২০১৯); শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ: ছড়ার বনে বাঘের সনে (বইমেলা-২০২০)। কিশোর গল্প: সোনালি সোপান (২০২২), অদম্য আমরা। এছাড়াও যৌথ কাব্যের সংখ্যা শতাধিক।
তাছাড়া প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আরো বেশ কয়েকটি গ্রন্থ (প্রবন্ধগ্রন্থ-কালের প্রবাহ, সমাজচিত্র, চালচিত্র বাংলাদেশ; কাব্যগ্রন্থ-ডাস্টবিনের দেয়াল; কিশোর গল্প: ওরা তিনজন , শিশুতোষ গল্প-বন্ধুর জন্য, কিশোর ছড়া-রঙিন ভূবন; ছড়াগ্রন্থ-তেলেসমাতির দেশে; উপন্যাস-শুত্রুর সাথে বসবাস, সুখী মানুষের দেশে; অ্যাডভেঞ্জার-ওরা তিনবন্ধু প্রভৃতি।

সম্পাদনাঃ
দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়‘কালের প্রতিবিম্ব’নামে একটি শিল্প-সাহিত্যের কাগজ নিয়মিত সম্পাদনা ও প্রকাশ করছেন। যা আমেরিকা, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি ম্যাগাজিন।
এছাড়াও তিনি বেশ কিছু যৌথ কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করছেন নিয়মিত। উল্লেখযোগ্য: ১) খণ্ডিত চন্দ্রালোক ২) তারার কাব্য
৩) কাব্যের মিতালী ৪) মায়াবী জোছনা
৫) জল কবুতর ৬) মায়াবী জ্যোৎস্না ইত্যাদি।

সাহিত্য সংগঠক হিসেবে বরেণ্য কবি আবুল খায়ের-এর আরো পরিচয় আছে।
অনলাইনভিত্তিক সাহিত্য গ্রুপ ‘সমাজ পরিবর্তনে কবিতা গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠাতা/সভাপতি তিনি। গ্রুপটি বারো বছরে পদার্পণ করলো। তিনি সৃষ্টি করেছেন অনেক কবি ও লেখক, উৎসাহ দিচ্ছেন নতুনদের নব উদ্যমে কলম চালাতে। এছাড়াও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’এবং সাহিত্য ও মানবাধিকার বিষয়ক বেশ কিছু সংগঠনের সাথে তিনি সম্পৃক্ত আছেন।

অনলাইন ম্যাগাজিন: বাংলা সাহিত্যের অনলাইন পোর্টালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত সাহিত্যনির্ভর অনলাইন ম্যাগাজিন-প্রতিবিম্ব প্রকাশ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন দেশে রয়েছে প্রতিনিধি ও কন্ট্রিবিউটর। যা বাস্তববাদী কবি আবুল খায়ের নিজেই সম্পাদনা করছেন।

প্রকাশক: প্রতিবিম্ব প্রকাশ নামে একটি জনপ্রিয় প্রকাশনা সংস্থার স্বত্বাধিকারী তিনি। পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে দায়ীত্ব পালন করে অনেক গুণীজনদের বই প্রকাশ করে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেন।

কবি ও কলামিস্ট আবুল খায়ের-এর পেশাগত জীবনঃ
সাহিত্য চর্চা ছাড়াও তিনি একটি আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংস্থায় ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ) হিসেবে সুনামের সাথে কর্মরত কাজ করেছেন দীর্ঘদিন । বর্তমানে তিনি নিরলস সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ অব্যাহত রাখছেন । আমরা এই গুণী সংগঠক, কবি, কলামিস্ট, গল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক-এর দীর্ঘায়ু কামনা করি। তাঁর কলমের ছোঁয়ায় বাংলা সাহিত্য আরো সমৃদ্ধ হোক। সেই প্রত্যাশায় তাঁর চলার পথ আরো সুন্দর হোক। বাংলা কবিতার বিজয় এবং বাংলা সাহিত্য আরো সমৃদ্ধ হোক।