Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

মনোবল আমীন শাহনাজ চন্দনা যতই উসকে দিক চক্ষুতারা, ধর্মের কল, করিস না মানব তোরা, বিন্দু রোষানল। মানুষে মানুষে কেন হবে এই ঘৃণ্য লড়াই, জাত-পাত আর ধর্মের এত জীর্ণ বড়াই? বিরাগ-বৈরিতা যত আছে জমা মনপুরায়, সমস্ত পুড়ে হোক ছাই জ্বলন্ত কাঠকয়লায়। শুদ্ধচিত্তে, ওরে ভোলা ভ্রষ্টাচার হয়ে শৃঙ্খল, একসাথে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বল, “আমাদের একতাই শক্তি, একতাই বল।” ভাঙতে দেবো না কিছুতেই এই মনোবল। যতই আসুক প্রস্তরময় অরাজকতার ঢল, পায়ে মাড়িয়ে সবাই হাতে হাত রেখে চল। ২৭ অক্টোবর,২০২১ মিনেসোটা, যুক্তরাষ্ট্র

আরো পড়ুন

মৃত্যুর আগে আমার যেন মৃত্যু না হোক ফারজানা কবির ঈশিতা ০৫/১০/২০২১ইং মৃত্যুর আগে আমার যেন মৃত্যু না হোক মৃত্যুতে আমার আমি চাই না কোন শোক আমি জীবন্ত জীবনের সবটুকু সবুজ দেখবো ছুঁয়ে.. লোভ ঘৃণার কদর্যতা মাড়িয়ে সুখ নেবো নি:শ্বাসে দু:খ কষ্ট কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দেবে আমাকে জীবনের হিসেব.. চোখে ধরে ব্যথার সমুদ্র তৃষ্ণার্ত চোখ মেটাবে তৃষ্ণা নোনা জলে প্রতারিত প্রেমের বিরহ আমাকে করে দেবে বেদনার ফসল ফলানো দু:খচাষী প্রিয়মুখের শত শত শপথ ভাঙ্গার যন্ত্রনা অহর্নিশ আমাকে পোড়াবে ভ্রান্তি বিচ্ছেদ বেদনা ও ক্রন্দনের ব্যাকরণ আমাকে দেবে আমৃত্যু ব্যর্থতার স্বাদ অপবাদ অপমানের আঘাত আমাকে করবে আহত আঘাতে আঘাতে মান অভিমানের ব্যাকুলতা লেপ্টে…

আরো পড়ুন

তোমার প্রশংসাধ্বনি আরিফ মঈনুদ্দীন আমি যেদিকে তাকাই সর্বত্রই তোমার গুণগান সশব্দে উচ্চারণে যতটুকু নৈঃশব্দ্যে অনুচ্চারিত আরো বেশি আমার কেবল তৃতীয় নয়নে ফুটে উঠে সব আমার কেবল ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ে বাজে সে বাঁশির সুর যে বাঁশি বিনয়ে বিগলিত হতে হতে নৈঃশব্দ্যের করোটিতে জমা করে রাখে তোমার প্রশংসাধ্বনি আমি ইন্দ্রিয়াতীত অনুভূতিতে এ এক অন্যরকম আবহে শুনি কেবল শুনি আমার চোখ বেয়ে নামে শ্রাবণের ধারা আনন্দাশ্রুর স্রোতে তোমার সুপারিশে রহমত ভেসে ভেসে আসে তোমার অস্তিত্ব আমি টের পাই আমার ভিতরে বাহিরে চারপাশে— তরুলতা বৃক্ষ শাখায় তোমার প্রশংসাধ্বনি সদাহাস্য ফুলের ঠোঁটে তোমার প্রশংসাধ্বনি পাখপাখালির কলকাকলিতে তোমার প্রশংসাধ্বনি কুলকুল বয়ে যাওয়া নদীর কলকল তানে তোমার প্রশংসাধ্বনি…

আরো পড়ুন

তিলোত্তমা শহর পারভীন শাহনাজ দিন শেষে তুমিও কর্পোরেট বিকেলের মতো ফুরিয়ে যাও ঝরা ফুলের মতো বাসি হয়ে যাও একুরিয়ামের পুরোনো জলের মতো ঘোলাটে হয়ে যায় তোমার নীল চোখ তখন তোমার যুগল ঠোঁটে খেলা করে প্রাগৈতিহাসিক আদিম লাম্পট্য বুকের ওপর হেঁটে যায় অজস্র বুনো রাজহাঁসের দল! তোমার দেহের নক্ষত্রখচিত কারুকাজের ভাঁজে ভাঁজে লুকানো প্রাণঘাতী ভাইরাস, জমকালো নিয়নবাতি আর কড়া পারফিউমের ঝাঁঝালো গন্ধের আড়ালে সতর্ক তাই, আততায়ী রাত! তোমার এ শহরে দম বন্ধ হয়ে আসে আমার প্রত্নতাত্ত্বিকের অনুসন্ধিৎসু চোখে খুঁজতে থাকি হারানো কৈশোর ডুব দিই বিস্মৃত অতীতের অতল গহ্বরে, দুহাতে স্মৃতির জঞ্জাল সরাতে সরাতে ক্লান্ত এই আমি খুঁজে পাই নাম ভুলে যাওয়া…

আরো পড়ুন

ছাই রঙা ভাঙন ইভা আলমাস তুমি কেমন করে ভেঙে দাও অনায়াসে চন্দ্রালোকিত সাজানো সংসার, দীর্ঘ সহবাসের প্রেম প্রপাত, হৃদ্যিক স্বাস্থ্য। শব্দের কারুকাজে যে কবিতা ছিলো বাঙময় ক্যানভাস সংক্ষিপ্ততার কারণে তাকে ফেলে দিলে অরণ্য পাহাড় আর বেলাভূমিতে। একা একাই ছুঁড়ে ফেললে ভাঙনের অশ্লীল বিলাসিতায়। গড়তেই যখন জানোনা তখন সবকিছু ভেঙে ফেলার আয়েসি আয়োজনে কেন শামিল হতে গেলে? আমার সাজানো বাগান তছনছ করে দিলে, ঘর ভাঙলে পাহাড়,গাছ, সাগরের উর্মিমালা সবকিছু ভেঙে ফেললে কত সহজেই! হাসতে হাসতে ভেঙে গুড়িয়ে দিলে নীল নীল বৈকালিক স্মৃতির ফোয়ারা! ভাবছি তোমার ঘোলাজলের নদীতে নামবো একদিন ডুব সাঁতারে খুঁজবো তলানিতে ফেলে দেয়া প্রথম প্রণয়ের ক্ষণ, এমনও তো হতে…

আরো পড়ুন

দুটি পাখি এবং দুটি তীর সাবিরা বেগম ডলি একটা পাখি একলা গাছে গাইতো সুরে গান, আরেক পাখি তারই পাশে শুনতো পেতে কান। আলাপ হলো তাদের মাঝে বন্ধু হলো ত্বরা, এরই মাঝে দ্বৈত সুরে গাইলো গান ওরা। ভালোবাসার সুরের সাথে সুরটা গেলো মিশে, বিজন বনে সুরের বাঁশী বাজে পাখির শিসে। একদিন এক শিকারী এসে শিকার ধরে বনে পাখির ঠোঁটে বাজছে বাঁশী মধুর সেই ক্ষণে। বিকট এক শব্দে পাখি উড়তে নাহি পারে, অন্য পাখি উড়াল দিল ডাকিয়া সাথীটারে। ঘাড় বাঁকিয়ে দেখলো পাখি সাথীটি নাই পাশে, হঠাৎ নিচে চোখ পড়লো সাথী দেখার আশে। রক্ত মাখা ডানায় তার তীরের খোঁচা ভরা, লুটিয়ে পড়ে আছে…

আরো পড়ুন

শরৎ ইমরান খান রাজ আজ বহুদিন, বহুকাল পর শরৎ এসেছে ফিরে আমার শহরে। ঘিরে রেখেছে আমার বাহুডোর, আপন করে নিতে চাচ্ছে আমায়। চিরকালের জন্য, সর্বত্র, সর্বক্ষণে। আজ বহুদিন, বহুকাল পর শরৎ এসেছে ফিরে আমার শহরে। বলছে আমায় চুপিচুপি, কানেকানে আমার শহরের সব কোনায় ভালোবাসার বীজ বপন করবে সে ! নামঃ ইমরান খান রাজ শিক্ষার্থী, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ। সাতভিটা, নারিশা, দোহার-ঢাকা ১৩৩২।

আরো পড়ুন

যাব কোথায় মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম রচনা: ২১.১০.২০২১ খ্রীঃ জুবুথুবু স্বপ্ন গুলো ঋতুবর্তী বসন্ত দুয়ারে ধুমরে মুচড়ে পড়ে, নিঃসীম কালো আঁধার নামে পোঁয়াতি রাতের শরীর জুড়ে, মৃত্তিকার বাড়ন্ত শরীর লেপ্টে থাকে কুমারী বাসনা আহ্লাদি স্বপ্নরা নদীর তটে নোঙ্গর করে নয় মাসি পেটে মাধীকুকুরীর স্তন চেটে নেয় হায়েনার ঠোঁটে। লোভাতুর নয়নে যত খেঁকশিয়াল ধুরুধুরু বুকে যায় হেটে, ছয় বেয়ারর পালকি চড়ে যুগের সেরা রূপসি চারু মাসি এসে ছিল ভরা যৌবনে এ তল্লাটে, সেবার গহীন সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে অদৃশ্য দৃশ্য পটে আশারারা নিহত চিরতরে এই বাটে, কলঙ্কিত দেয়াল চারুমাসির জীবন পাঠে, কত কাল যে অভুক্ত থেকে থেকে অবশেষে গতর খাটায় জীবনের হাটে,…

আরো পড়ুন

বাতাসের হাতে তৌফিকা আজাদ বাতাসের হাতে লিখে দিলাম প্রেমের চিরকুট, নন্দিত বেসাত নিয়নে,তুমি বুঝে নিও মননে! অমরাবতীর যা ছিল সুখ পথের হলুদ শিমুল দীর্ঘ শ্বাসের ধুম্র মায়াজালে আটেকে পরা মন আজও খুঁজে স্খলিত মেঘের পালক ছুঁয়ে তোমাকেই প্রতিদিন; ক্রমাগত দখিনের বাতায়নে ! শিমুল গাছের নিচে জমে থাকা জল, সাজায় সয়ম্বরা, নিয়ত কুহুকের ডাক অভিমানের আরশি খুলে দেখোনি স্বচ্ছতার মুখ দেখোনি প্রেমিকার মুঠোয় বন্দী কতজনমের শ্লোক! বাতসের হাতে লিখে দিলাম তাই আমার অষ্ট পহরের রোজনামা দেখে নিও নিষিদ্ধ পাড়ের গঙ্গা জল অতল সীমান্ত, কার দেবমন্র পাঠ করে আজও হয় সুশীতল !

আরো পড়ুন

বাংলা একাডেমি আয়োজিত, অমর একুশে বইমেলা-২০২২ উপলক্ষে আসছে মোরশেদা আক্তার সীমা’র একক কাব্যগ্রন্থ: একটি সন্ধ্যাতারা কবি তাঁর শত ব্যঞ্জনাকে পাশ কাটিয়ে পাঠকের মনের খোরাক জোগাতে চেষ্টা করে সফল এক প্রয়াস পেয়েছেন উক্ত বইটিতে। একটি সন্ধ্যাতারা সম্পাদনায়: আবুল খায়ের প্রচ্ছদ: আহমেদ মুনির আইএসবিন # ৯৭৮-৯৮৪-৯৫৯৮৯-০-৯ প্রকাশনায়: প্রতিবিম্ব প্রকাশ ঠিকানা: দেশে>>>> (১) বাংলা বাজার, ঢাকা; (২) সেক্টর: ০৬, উত্তরা, ঢাকা; (৩) সেনবাগ, নোয়াখালী; (৪) ইঞ্জিনিয়ার পাড়া, রাধাবল্লভ, রংপুর। বিদেশে>>> মধ্যপ্রাচ্য, টরেন্টো, কানাডা; নিউইয়র্ক/ক্যালিফোনিয়া, আমেরিকা। যোগাযোগ: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯

আরো পড়ুন