দুটি পাখি এবং দুটি তীর
সাবিরা বেগম ডলি
একটা পাখি একলা গাছে গাইতো সুরে গান,
আরেক পাখি তারই পাশে শুনতো পেতে কান।
আলাপ হলো তাদের মাঝে বন্ধু হলো ত্বরা,
এরই মাঝে দ্বৈত সুরে গাইলো গান ওরা।
ভালোবাসার সুরের সাথে সুরটা গেলো মিশে,
বিজন বনে সুরের বাঁশী বাজে পাখির শিসে।
একদিন এক শিকারী এসে শিকার ধরে বনে
পাখির ঠোঁটে বাজছে বাঁশী মধুর সেই ক্ষণে।
বিকট এক শব্দে পাখি উড়তে নাহি পারে,
অন্য পাখি উড়াল দিল ডাকিয়া সাথীটারে।
ঘাড় বাঁকিয়ে দেখলো পাখি সাথীটি নাই পাশে,
হঠাৎ নিচে চোখ পড়লো সাথী দেখার আশে।
রক্ত মাখা ডানায় তার তীরের খোঁচা ভরা,
লুটিয়ে পড়ে আছে সেথায় জীবন বাঁচামরা।
ডানাভাঙা পাখির মতো লুটিয়ে পড়ে সেও
পাখিটি তার পাখনা দিয়ে আগলে নিল দেহ।
তখুনি ঠিক আরেক তীর বিঁধলো তাহার গায়ে,
শেষের বার এক চেষ্টা চলে দাঁড়াতে দুই পায়ে।
লুটিয়ে পড়ে তাহার দেহ লুটায় যেথা সাথী,
নিথর দেহ রশির প’রে শিকারী নেয় গাঁথি।
কেমন আছি
নাইবা দিলাম উঁকি তোমাদের সুখ দুয়ারে
নাইবা পেলাম আর কোনদিন সুখটা ফিরে
তবু একটি কথা
আর একটি ব্যথা
বুকের কাছেই ভীড় জমাবেই এমনি করে
মনটাতো সেই কবেই আমার গেছেই মরে
আর কী-ই-বা হবে
তবু একটু ভেবে
চাঁদের আলোয় শীত নিবারণ শুধুই ফাঁকি
একটু তাপের আশায় আশায় চেয়েই থাকি
বলো কেমন আছি?
ভালো,বললে বাঁচি
ভালো থাকবার প্রশ্নটা যে কেমন লাগে !
মন নদীটায় বাণ ডেকে যায় কষ্ট জাগে
তবু বলি যাহাই
না মন্দ মোটেই
দিন যেভাবেই যাচ্ছে চলেই কী ভাবনার?
আঁধার হলেও দিন তো ঠিকই আসে আবার।