Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

সোনার দেশ (বৃষ্টি মাসুদ) পৃথিবী তোমার মানচিত্রে রক্তে লেখা একটি দেশের নাম সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা সে যে আমার বাংলাদেশ। লাখো লাখো শহীদের আত্মত্যাগে পেয়েছি এ ছোট দেশ হাজার বোনের সন্মান হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে মাতৃকোষ। এক মায়ের সন্তান মোরা হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান, গঙ্গা পদ্মা এক সাথে মিলেছি নেইকো কোনো পিছুটান। সবুজের বুকে লাল মায়ের আঁচলে বাঁধা কোটি প্রাণ। ভাইয়ের আদর বোনের মমতা বাবা স্নেহ মাখা, আমার দেশের প্রতিটা ধূলিকণায় আছে ভালবাসার ছোঁয়া। দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠে, বাতাস এসে দোলা দেয়, দোয়েল কোয়েল পাখির ডাকে নিত্য এথা সকাল হয়। নদীর বুকে পাল তোলা নায়ে মাঝি মাল্লারা গান গায়, কাশবনের মেঘের পালকে কিশোরী মেয়ে…

আরো পড়ুন

মানুষ হবে (লিমা ইসলাম লিপু) মানুষ রূপে মানুষ হবে বিবেকটুকু জাগিয়ে, কী লাভ হবে পৃথিবীটা বোমবারুদে রাগিয়ে! দানবরূপে চোঙাফুঁকে ফাল চালালে পাঁকিয়ে, ধ্বংসে তোমা কালের ধ্বনি আসবে ধেয়ে হাঁকিয়ে। রুদ্রঝড়ের অগ্নি তাপে যেওনা কেউ পুড়িয়ে, বাঁচতে হলে হওরে মানুষ নূরের আলো কুড়িয়ে।

আরো পড়ুন

ঘরবন্দি স্বপ্ন (সুরমা খন্দকার) ২৫-১২-২০২১ নিশুতি রাতের মতো, স্বপ্ন গুলোকে ঘর বন্দি করেছি, এক তল্লাটে। বেহিসেবী দিন গেছে, কেউ রাখেনি খোঁজ তার, এফোঁড় ওফোঁড় ব্যাথাতে। দূর পথিক হেঁটে যায় ক্লান্ত দেহে পথ কি আর জেনে রাখে, আরও কতো বাকি আছে আরও কতো হেঁটে যাবে ক্লান্তি সয়ে? বিবাগী কোকিলা জানে কতো ক্রন্দন পুষে প্রাণে শুনিয়ে যায় গান কুহুতানে….

আরো পড়ুন

বিচ্ছেদ (কামরুন্নাহার বর্ষা) অগাধ বিশ্বাসগুলো দৃঢ় হোক প্রকট রূপ নিয়ে সংসার দুঃসহ কেটে উঠুক বিচ্ছেদের রেশ মুছে ভালোবাসারা ভালো থাকুক ভালো থাকুক প্রিয়জন। উচ্ছেদ হোক পৃথিবীর বুক চিরে বিচ্ছেদ অনন্তকাল জুড়ে বিস্তার হোক সুখের প্রবনতা নিশির অশ্রু মুছে যাক নির্ঘুম রাত কাটিয়ে উঠুক ভালো থাকুক পৃথিবীর সংসার সমবায়।

আরো পড়ুন

আমার তুমিটা আর নেই (কবি নীলা নিকি) আজ আমার তুমিটা আর নেই। তুচ্ছ থেকে তুমুল, ভুলে যাওয়া ভুল ভুলতে ভুলতে ভুলের মাশুল পাল্টে দিলে সব সময়ের ব্যবধানেই। জনশূন্য অরণ্যমনে মিশে আছে পিছুটানে অসমাপ্ত ভালবাসার আবছায়া গল্পকথা আজ আমার হয় না লিখা সেই গল্প কাব্য মেঘের বৃষ্টির ভাষা আর কিছুতেই! আজ আমার সেই তুমি আর নেই বর্ণ-বিবর্ণ প্রেম অপ্রেমের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন তুমি ঝিলমিল সূর্যরশ্মি মরুর ফণীমনসায় কষ্টকাতর দিনের প্রহর নিথর ভাবনায় ফেলে গেলে কালের স্বাক্ষর নিজের অজান্তেই চাঁদের ভগ্নাংশ রেখা অদৃশ্যের অদেখাতেই হুলিয়ার আহাজারীতে কেঁদেছে আমারি মতো সান্ত্বনার বাণীরা বিভৎসতায় হতভম্ব ছলছল দৃষ্টিতেই! আমার সেই তুমিটা আজ নেই। আজ বেহায়া আবদারগুলোর…

আরো পড়ুন

নতুন বছর। (তসলিমা হাসান) সুখ দুঃখ নিয়ে বছর আসে বছর চলে যায় স্বপ্ন গুলো পড়ে থাকে নতুন বছরের আাশায় কেউ হাসে কেউ কাঁদে কর্মের নিপুণ ধারায় নতুন বছর নতুন সূর্য উঠবে স্বপ্ন নিলিমায় পূরানো সব স্মৃতি গ্লানি ভুলে যাই আমরা নতুন একটি বছর কে বরন করে নেবো মোড়া নতুন সূর্য নতুন দিন ভালোবাসার প্রত্যায় নতুন ভরের আকাশ টাকে সাজাবো মায়ার মমতায় নতুন বছর কে স্বগত জানাই পুরানো দিনকে করে বিদায় শত দুর স্বপ্ন ধুয়ে মুছে যাক নতুন বছরের স্রোতের ধারায় রাত পোহালেই শুরু হবে নতুন দিনের অধ্যায়ন ভালোবাসায় ভরে থাক সারা পৃথিবীর মানুষের হদয় স্পর্দন আজ মধ্যে রাতেই হবে একুশের…

আরো পড়ুন

বইদাদু হুমায়ূন কবীর ঢালী ফজরের নামাজ শেষ করে মুসল্লিগণ মসজিদ থেকে যার যার ঘরে ফিরছেন। সূর্য বাহাদুর এখনো চোখ মেলে তাকাননি। চোখ মেলে তাকাননি গুলশান মাহমুদও। তিনি ঘুমোচ্ছেন। ঠিক সে সময় বাইরে থেকে চাম্বুল কাঠের কাঁচা দরজায় ঠকঠক। একবার। দুইবার। তিনবার…। ঠকঠক শব্দে গুলশান মাহমুদের ঘুম ভেঙে গেল। চোখ মেলে শিয়রের পাশ থেকে মোবাইল হাতে নিলেন। বাটন টিপে মোবাইলে সময় দেখলেন। ভোর পৌনে ছয়টা। এই ভোরে আবার কে এলো! গুলশান মাহমুদ মনে মনে বিস্ময় প্রকাশ করলেন। রাতে ঘুমোতে ঘুমোতে দুইটা বেজে গিয়েছিল। দীর্ঘদিনের অভ্যাস। গ্রামে এসেও সে অভ্যাস বদলাতে পারেননি। যদিও স্ত্রী লাবনীর দৃষ্টিতে দেরিতে ঘুমোতে যাওয়ার একটা বাজে অভ্যাস…

আরো পড়ুন

তোমাতে জীবন মরণ (মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম) রচনাঃ ২৪.১২.২০২১ খ্রীঃ লিখি বেনামী চিঠি প্রতিনিয়ত আকাশের ঠিকানায়, জানি পাবেনা কেউ পড়বে না অনুরাগের রঙছটায়! বেখেয়ালে ভোগা ভীষণ প্রাপক হীনতার অসুখটায়। শুধু বেভুলে এলোচুলে কোকিলা কৃষ্ণচুূড়ার শাখায়, রঙ হারায়,রূপ হারায় ধরা অদ্ভুত এক মোহ মায়ায়! ধূসর পাণ্ডুলিপির আয়োজন মিছে আশার ভেলায়, তবুও সুখের ফোবিয়ায় অনুভবে অণুক্ষণ ভাবনায়। বিশুদ্ধ জোছনায় ভিজি রোজ কেউ রাখেনা খোঁজ তাই বলে ভেবনা তোমাতে ঋদ্ধ আমার প্রেম অবুঝ! তোমাতে লিখি পদ্য ও গদ্য সবটাতেই তুমি অনবদ্য তুমি বীনে তারার হাটে জীবন পাঠে আমি অবরুদ্ধ, তোমায় পড়ি তোমায় গড়ি তোমাতে ভাঙ্গাগড়ার যুদ্ধ, গহন মনে অতি যতনে প্রতিদিন হবো আমি পরিশুদ্ধ।…

আরো পড়ুন

গানের বাগান (দিলারা হাফিজ) টরন্টোর মিউজিক গার্ডেন,স্বনামেই একখানা কবিতার জাদু পায়ের তলায় তার নাচুসা ঘাসভূমি— দু’চোখের সবুজ উৎসবে ডেকে নেয় পাশে, আহলাদিত নরম বাতাসে উড়ে আসে প্যাট লোথারের কবিতা… প্রাচীন উইলো উদ্বাহু নৃত্যে তাকায় আকাশে নতমুখী অশ্রুজল তার ছুঁয়ে দেয় কপোল সময়ের মরমী সুরে জাগে উদ্বেল—উচ্ছ্বল অকাল প্রয়াত, ব্যথিত এই নারী কবির অসামান্য এক অভিজ্ঞতালোক পরম যত্নে ছড়িয়ে দেয় দুঃখের আতস, উজ্জ্বল জলের লেইক অন্টারিও অজান্তেই ঘূর্ণি তোলে দুরন্ত বাতাসে—- কবিতায় হেসে হেসে খুন,অগ্নিজ্যোৎস্না… অদেখা অন্তর্জ্বালা নিয়ে তুষার পতনের এই দেশ ছুঁয়ে থাকে তার ‘মিল্ক স্টোন’ যার প্রতিটি অক্ষর থেকে ঝরে পড়ে নিশির ডাক, সশব্দে ভেঙে পড়ে পরাবাস্তবের চিলেকোঠা ঘর…

আরো পড়ুন

মেহেরজান (কাজী রাশেদ) মেহেরজান, একটা সামান্য নাম, সামান্য একজন নারী, বয়স মাত্র পনেরো কি ষোল। গ্রামের সুদর্শন ছেলের মহব্বতে পাড়ি দিয়েছিলো অন্ধকার, অজানা, অচেনা পথ, তবু মনে ভিতরে ছিলো ভালোবাসা আর বিশ্বাস। বোকা মেয়ে মেহেরজান, অসীম তার বিশ্বাস, সারারাত ভালোবাসার ওম নিতে নিতে পৌছে যায় কোন এক অচেনা শহরে। অচেনা শহর, অচেনা মানুষ, ভরসা শুধু একটাই, বিশ্বাসও একটাই, ভালোবাসার মানুষ মহব্বত খাঁ। দিনের আলো ফুরোতে না ফুরোতেই ভালোবাসার মহব্বত হয়ে যায় অচেনা, ভালো মানুষী আর ভালোবাসার মুখোশ যায় খসে। পাকা শিকারীর মতো মহব্বত নগদ টাকায় বিক্রি করে বিশ্বাস, বিক্রী করে তার ভালোবাসা। মেহেরজানের ঠাই এখন অন্ধকারে, নতুন নতুন ভালোবাসা আসে,…

আরো পড়ুন