মেহেরজান
(কাজী রাশেদ)
মেহেরজান, একটা সামান্য নাম,
সামান্য একজন নারী,
বয়স মাত্র পনেরো কি ষোল।
গ্রামের সুদর্শন ছেলের মহব্বতে
পাড়ি দিয়েছিলো অন্ধকার,
অজানা, অচেনা পথ,
তবু মনে ভিতরে ছিলো
ভালোবাসা আর বিশ্বাস।
বোকা মেয়ে মেহেরজান,
অসীম তার বিশ্বাস,
সারারাত ভালোবাসার ওম নিতে নিতে
পৌছে যায় কোন এক অচেনা শহরে।
অচেনা শহর, অচেনা মানুষ,
ভরসা শুধু একটাই,
বিশ্বাসও একটাই,
ভালোবাসার মানুষ মহব্বত খাঁ।
দিনের আলো ফুরোতে না ফুরোতেই
ভালোবাসার মহব্বত হয়ে যায় অচেনা,
ভালো মানুষী আর ভালোবাসার
মুখোশ যায় খসে।
পাকা শিকারীর মতো মহব্বত
নগদ টাকায় বিক্রি করে বিশ্বাস,
বিক্রী করে তার ভালোবাসা।
মেহেরজানের ঠাই এখন অন্ধকারে,
নতুন নতুন ভালোবাসা আসে,
ভালোবাসা যায় দিনে আর রাতে,
বিক্রী হয় নগদ মনিকাঞ্চনে।
একজন বা দুজন নয়,
হাজারো জনপদের হাজারো মেহেরজান,
প্রতিদিন প্রতিরাতে, বিশ্বাস আর
ভালোবাসার মিথ্যে আশ্বাসে,
ভালোবেসে হয় পলাতিকা
ঘর ছাড়ে, পরিবার ছাড়ে,
ভরে উঠে শহরের বেশ্যালয়।