অনুসন্ধিৎসু মন (মুহা্ম্মাদ কিবরিয়া বাদল) মূর্খতা মোর পায়ের বেড়ী শক্ত শেকলে বাঁধা ভাঙতে গেলে বেজায় লাগে মনে ভীষণ ব্যাথা। জন্মেছিলাম গোলাম রূপেই ইলাহ্ ছিলো আল্লাহ্ আনুগত্যে ছিলো না খাঁদ প্রকৃতি জাঝা কাল্লাহ্। পারিপার্শ্বিক অবস্থাটা পরিবেশ যারে কয় ধীরে ধীরে এ-মনটারে করে নিলো জয়। চারপাশটায় ছিলো যারা শিখিয়ে তুললো তারা তাতেই আমি তেমন হলাম তাঁদের মতোই সারা। সত্য মিথ্যা সঠিক বেঠিক তাঁদের নির্দেশনা তাঁদের জ্ঞানের হলাম বাহন নিয়ম ভাঙা যায় না! একটু একটু বোধের বিকাশ বেয়াড়া হয় যে মনটা সত্য-মিথ্যার ফারাক খুঁজি চলছি খুঁজে ঠিকটা।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
আমি’র অন্বেষণে -জুয়েনা ইয়াছমিন একটি অন্তর পেতাম যদি যেখানটায় বাস করলে সমুদ্র পাওয়া যায়। একটি মাঠ পেতাম যদি যেখানটায় হেঁটে গেলে গাছেদের ছায়ায় লুকানো যায়। একটি দৃষ্টি পেতাম যদি যেখানটায় স্পর্শ করলে আকাশের নীল ছোঁয়া যায়। একটি মন পেতাম যদি যা নিয়ে রূপকথার কথামালায় স্বপ্ন সাজানো যায়। একটি প্রেমিক পেতাম যদি যার নিশ্বাসে দেশের মাটির ঘ্রাণ পাওয়া যায়। একটি হৃদয় পেতাম যদি যেটায় কষ্ট পেলেও নতুনের গান শোনা যায়। একটি স্বপ্ন পেতাম যদি যেটাতে হেরে গেলেও আশায় প্রাণ বাঁধা যায়। একটি গল্প পেতাম যদি যেটার শেষটা না পড়েও পুরোটা বোঝা যায়। একটি জীবন পেতাম যদি যেটায় হেরে গেলেও নতুন করে…
এই রঙিন দুনিয়ায় আব্দুল অদুদ চৌধুরী (সৌদি আরব মক্কাহ) ১৪/৬/২০২১ আমার মন সাধন হইলো না জীবন গেলো কার লাগিয়া; আমার সময় যায় বইয়া বন্ধুয়ার লাগিয়া ভাবিয়া। এই জীবন শূণ্যের উপরে কিছুই বুঝিলাম না ; খাইলাম আর ঘুমাইলাম গভীর মনে চিন্তা করিলামনা। কোথায় আমরা ছিলাম কোথায় যে আইলাম ভাবনা না করিয়া; জীবনে কতো কিছু পাইলাম কতো কিছু হারাইলাম। আবার কোথায় যাব চলে সেবিষয়ে জ্ঞান রাখলাম না; এই দুনিয়া ধ্বংস হবে চিরদিন থাকতে পারব না। বিফলে আমার জীবন খুয়াইলাম এই রঙ্গীন দুনিয়ায়; ফেঁসে খেলিলাম পরে রইলাম অদুদ তুমি ভাবিলেনা।
বইপড়ুন দীর্ঘশ্বাসের মতো দীর্ঘ কবিতা এক। ঢাকা শহরের বিচিত্র চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে একটি প্রজন্মের শৈশব-কৈশোর-যৌবন প্রতিবিম্বিত হয়েছে। ব্যক্তিগত দুঃখবেদনা, ভালোবাসা, স্বপ্ন আর স্মৃতি-বিস্মৃতির বর্ণনা যেন ক্ষয়িষ্ণু সমাজের প্রতিনিধি। ১৯৪৭ সালের পর থেকে এই শহরের পথে-ঘাটে-দোকানে-ছাপাখানায়-নাট্যশালায়-রেস্তোঁরায়-ময়দানে পদচিহ্ন রেখে গেছেন বাংলার শ্রেষ্ঠ মানুষেরা, এই কবিতা তারই দলিল। এই কবিতা তাঁদের স্মরণ করা, তাঁদের অভাবকে জাগিয়ে তোলা আর সবশেষে ভবিষ্যৎ-সম্ভাবনার দিকে উন্মুখ চোখে তাকানোর রেশ টানা। কবিতার ধূসর অবয়বে সংগীতে-শিল্পে-সৃজনে-প্রেমে-প্রতিবাদে মুখর শহরটির স্মৃতি থেকে তার কংক্রিটের জঙ্গল হয়ে পড়বার কাহিনি। এ কী স্মৃতিময় গল্প, নাকি রূঢ়-বাস্তব তথ্যে ঠাসা প্রবন্ধ, নাকি আবেগে বিহ্বল হওয়া কবিতা, পড়তে পড়তে ধন্দ লাগে। শিল্পের বিচিত্রতার সীমারেখা অগ্রাহ্য…
বইপড়ুন যারা ইতিহাস পড়তে ভালোবাসেন, এবং গল্পও– এই দুইয়ের মিলন পাবেন এই বইয়ে। ইতিহাসটি যেন গল্প, কিংবা গল্পটাই ইতিহাস। লেখক একজন প্রথিতযশা ঐতিহাসিক, অথচ এই বইয়ে তিনি ইতিহাস-বিশ্লেষণী গল্পকার। ইতিহাসের জটিল বিষয়কে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে সহজ ভাষায় গল্পের মতো করে সাজিয়েছেন। তবে কল্পনাপ্রসূত একটি বাক্যও নয়, বরং বাঙালি সমাজ, অর্থনীতি, জাতিসত্তা, প্রভৃতির উপরে একের পর এক ইতিহাসভিত্তিক বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ সাজানো। প্রবন্ধগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয় ক্ষেত্রবিশেষে পরস্পর সম্পর্কহীন, আকারেও ভিন্ন, তবে চিন্তায় গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ। নোটবুক বা ব্যক্তিগত গদ্যের আদলে লেখা, ইতিহাসকে যেমন কায়দায় লিখতেন আইজ্যাক আসিমভ। এই বই পড়লে প্রথমেই চিন্তায় আসবে, একটি ইতিহাসকে এতদিন যেভাবে জানা হয়েছিল, তা ছাড়াও আরেকভাবে তাকে…
ও চাঁদ অপূর্ব। (হোসনে আরা ডালিয়া) ও চাঁদ- -তুমি এত স্নিগ্ধ সুন্দর কেন? এ ভুবনে তুমি সাঁঝের আঁধার নামলে পারে- যখন যেথা আকাশ জুড়ে তোমার স্নিগ্ধ আলোয় জেগে ওঠো অপরূপ মায়াবী আলোর চাদর ছড়ায়ে, দেখে হয় সবে মুগ্ধ যেন , হৃদয় ভরে জাগে কত স্মৃতিময় স্মৃতি জাগা কত কথা আপনার চারিধার জুড়ে — ও চাঁদ তুমি সুন্দর, শুধু সুন্দর, সব নয়ন ভরিয়া।। লেখক : কবি ও সাবেক এমপি (জাতীয় সংসদ)। ১৬|০১|২০২২ ইং রংপুর
নীরব কেন কবি -নুরুল ইসলাম হে কবি ! তুমি কেন মোহাচ্ছন্ন ঘুমের ঘোরে নিস্তব্ধ নীরব ? অবচেতন ঘুমন্ত মানুষকে জাগাতে তুমি ছিলে প্রভাতী পাখীর জাগরনী কলরব। তুমি’তো ছিলে সত্য সুন্দরের পুজারী, ঘন আঁধারে মুক্ত বুদ্ধির দিশারী। কেন আজ রূদ্ধ ঘরের অন্ধ কারাগারে বন্দি করেছ তোমার চিত্ত, কেন আজ তুমি দূর্বৃত্ত চক্রের অনুগত ভৃত্য ? সময়ের স্রোতে ‘ নব জাগরণ’ আসছে ধেয়ে তরুন-তরুণী নবীন প্রবীন এক হয়ে আসছে নব সৃজনের গান গেয়ে। নতুন যুগের ললাটের অঙ্গে নব জীবনের হাসি হাসে সুবেহ সাদেকের উজ্জ্বল রঙে। সত্য-সুন্দরের সুর ও ছন্দ বাজে শান্তির স্রোত-তরঙ্গে। জেগেছে পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণের সবে। তুমি কি এখনো ঘুমিয়ে রবে ?…
শাকিরা নেচেছিলেন ফারহা খানের নির্দেশনায় : বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার ফারহা খান। তার কোরিওগ্রাফিতে বলিউড পেয়েছে অসংখ্য হিট গান। তার কোরিওগ্রাফিতে বলিউডের বাঘা বাঘা সব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের রুপালি পর্দায় কোমর দোলাতে দেখা গেছে। নেচে উঠেছেন দর্শকও। অনেকেই হয়তো জানেন না শুধু বলিউডের তারকারাই নয় তার নির্দেশনায় নেচেছেন ল্যাতিন বিউটি কুইন শাকিরাও। সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় কমেডি শো, দ্য কপিল শর্মা শোতে ফারাহ খান নিজেই এমনটা জানিয়েছেন। ২০০৫ সালে মুক্তি পায় শাকিরার ‘হিপস ডোন্ট লাই’। ভিডিয়োর পর্দা থেকে মঞ্চ এই গানে সর্বত্রই আগুন ছড়িয়েছিল শাকিরার দুর্দান্ত নাচ। শ্রোতা-দর্শকের মুখে মুখে ফেরা গানটিরই একটি বলিউডি সংস্করণ করতে চেয়েছিলেন শাকিরা স্বয়ং। তখনই ডাক…
সংরক্ষিত হলো শাহ আবদুল করিমের ৪৭২ গান বাংলার হাওর অঞ্চলের গানকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তি শাহ আবদুল করিম। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। তবে এই বাউল সম্রাটের জীবদ্দশা থেকেই তার গান গেয়ে ও রিমেক করে দেশ-বিদেশে নাম-অর্থ কুড়িয়েছেন অনেকে। সেই ধারাবাহিকতা চলছে এখনও। বিপরীতে করিম পরিবার এখনও পড়ে আছে হাওর অঞ্চলের নিভৃতে। গত ১৩ বছর ধরেই তার একমাত্র ছেলে বাউল শাহ নূর জালাল এ নিয়ে করছেন হাহাকার। অবশেষে শাহ আবদুল করিমের লেখা-সুর করা ৪৭২টি গানের একটা বিহিত হলো। জানা গেছে, বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডে গানগুলোর মালিকানা ও কপিরাইট ইস্যুর বিষয়টি সংরক্ষিত হলো সম্প্রতি। কপিরাইট রেজিস্ট্রার…
কবিতা। কবর। জসীমউদ্দীন। এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা, সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা! সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি লাঙল লইয়া খেতে ছুটিলাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি। যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোরে তামাশা করিত শত। এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে ছোট-খাট তার হাসি ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে। বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত…
