নীরব কেন কবি
-নুরুল ইসলাম
হে কবি ! তুমি কেন
মোহাচ্ছন্ন ঘুমের ঘোরে নিস্তব্ধ নীরব ?
অবচেতন ঘুমন্ত মানুষকে জাগাতে
তুমি ছিলে প্রভাতী পাখীর জাগরনী কলরব।
তুমি’তো ছিলে সত্য সুন্দরের পুজারী,
ঘন আঁধারে মুক্ত বুদ্ধির দিশারী।
কেন আজ রূদ্ধ ঘরের অন্ধ কারাগারে
বন্দি করেছ তোমার চিত্ত,
কেন আজ তুমি দূর্বৃত্ত চক্রের
অনুগত ভৃত্য ?
সময়ের স্রোতে ‘ নব জাগরণ’ আসছে ধেয়ে
তরুন-তরুণী নবীন প্রবীন এক হয়ে
আসছে নব সৃজনের গান গেয়ে।
নতুন যুগের ললাটের অঙ্গে
নব জীবনের হাসি হাসে
সুবেহ সাদেকের উজ্জ্বল রঙে।
সত্য-সুন্দরের সুর ও ছন্দ বাজে
শান্তির স্রোত-তরঙ্গে।
জেগেছে পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণের সবে।
তুমি কি এখনো ঘুমিয়ে রবে ?
প্রভাতের নৈসর্গিক জাগরণে হে কবি !
জেগেছে প্রকৃতি, জেগেছে বাগে
ফুল মকুল সৌরভী।
এই রূপসী শুভক্ষণে
কে আঁকিবে এই রূপ,
কে রচিবে গান,
কে হাঁকিবে- সত্য সুন্দরের আহ্বান ?
উঠো উঠো, উঠো হে কবি !
দেখো নব যুগের নতুন প্রভাতের
সত্য সুন্দরের জাগরণী উজ্জ্বল ছবি।
শোন শোন শোন হে কবি
মানুষের হৃদয় মিনারে মিনারে
আযানের মধুর সুরের সুরভি।
‘ঘুমের চেয়ে উত্তম প্রার্থনা-ধ্যান.
আরো উত্তম নব জাগরণ, নব সৃজন,
জীবন গড়ার অভিযান।
তুমি যদি না জাগো হে কবি,
না জাগে- তোমার চেতনা-জ্ঞান,
এই মোহাচ্ছন্ন ঘুম’ই হবে
তোমার জীবনের চির-শ্মশান।
তবে জেনে রেখো-
গণমানুষের মনে ধ্যানে আশা-দীপ্তমান,
মুক্তি-সেনা-দলের হবে আসন্ন উত্থান।
তাদের আগমনের পদ-ধ্বনি
শুনছে সবাই
আকাশে পাতিয়া কান।
তারা আসিবে, তারা লড়িবে, তারা রচিবে
এই ধরাধাম- স্বর্গের গোলিস্থান।
রণ-সাজে তরুণ দল আসবে অকস্মাৎ
শান্তি সম্প্রীতি প্রেম ও প্রীতির
সৌরভ নিয়ে উদ্ভাসিত হবে
নতুন যুগের নতুন প্রভাত।
টরন্টো / কানাডা
১ Comment
অনবদ্য রচনা।বিসুদ্ধ ভাবনা।কবিতার পরতে পরতে আলোর দিশা।দিকভ্রান্ত মনে আশা জাগায়।
কবিকে নতুন বছরের শুভেচ্ছায় আন্তরিক অভিনন্দন।