Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

এক মুঠো প্রেম। [তসলিমা হাসান] আত্মহননের প্রবল ইচ্ছা জাগা মুহূর্তে, দেখি প্রেম নামক সোনার হরিণ আমার দুয়ারে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম অবাক বিস্ময়ে – তুমি এলে কোত্থেকে? বলল সে মৃদু হেসে – “ছায়া সঙ্গী হয়ে ছিলাম তোমার পাশে দাঁড়িয়ে “। দুঃখের জোয়ারে ভেসে গেছি, দেখিনি তোমাকে। আজ কেন ঠেকাতে এলে মৃত্যুকে? বলল সে গভীর আবেগে – ” ইচ্ছা মৃত্যুতে কী পাবে? কলুষ পৃথিবীটাকে দূরে রেখে, বিশ্বাস ভালোবাসা নিয়ে বুকে, এসো বেঁচে থাকি দু’জনে এক সাথে। হয়তো হৃদয়ের টানে, এক সাথেই মরবো দু’জনে”। তারপর দেখি- হেমন্তের এক পশলা বৃষ্টি ঝরে পড়ল আমার শরীরে, নিমেষে বুকের মধ্যে লাফিয়ে ওঠে, কোস্টারিকার বিলুপ্ত সেই সোনালি…

আরো পড়ুন

আঁধার ছায়া-কীর্ত্তন [মনিরুজ্জামান প্রমউখ] রাতে’র মিশ্রণে, দিনে’র অবশেষে- মধু’র রমণে রমণীয় হয়ে ওঠে বেলা। কী আছে, সন্ধ্যে’র ঘনত্বে- এতো বিনাহারি ? ক্রন্দন রেখে যায়, তবু-কেনো মনাহারি ? সৌন্দর্যে’র রংবাহারে কতো- ফকির মিশে যায়- অনন্ত গাঙোরে! কী বৈষয়িক প্রতিভা- ছড়িয়ে রয়েছে, এ অন্ধ ফলোয়ারে! মানুষ মানবীয় বোধ, নখ, চুমু মেখে দেয়, কেনো- ছায়া’র বিপরীতে ? ভালোবাসা’র ঘর পুড়ে, সময়ে’র নৈতিক অবক্ষয়ে, ফলে যায়- বিবিধ মহামারী ! কিন্তু- এই নিয়ে পৃথিবী’র মায়া তবু- কঙ্কন বিলিয়ে দেয়- অনাগত প্রেম সুবেহে’র!! মনিরুজ্জামান প্রমউখ । হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর, বাংলাদেশ ।

আরো পড়ুন

শিক্ষা: বৈদিক যুগ থেকে বৌদ্ধ যুগ . বৈদিক শিক্ষা প্রণালী ছিল গুরুমুখী। গুরুর বাড়িতে গিয়ে ছাত্ররা শিক্ষাগ্রহণ করত, গুরুর বাড়িতে কাজকর্ম করত এবং গুরুর বাড়িতেই থাকত। ছাত্রদের সকল ভরণপোষণের দায়িত্ব বহন করতেন গুরুদেব নিজেই। বালক বয়সে গুরুগৃহে আসার পর ছাত্ররা আচার্যের কাছে সন্তানের মতই বড় হত। সে যুগে পশুপালন বিশেষত গো-পালন ছিল জীবীকার মুখ্য অবলম্বন। দানের গরুতে অনেক আচার্যের গোয়াল ভরা থাকত। ছাত্ররা আচার্যদেবের সেই গরুবাছুর চড়াত। ব্রাহ্মণ, পন্ডিত, মুনি, ঋষি, আচার্য অর্থাৎ গুরুরা মুখ্যত ভিক্ষাজীবী ছিলেন। গুরুর সঙ্গে ছাত্ররাও গেরস্তদের ঘরে গিয়ে ভিক্ষা করতেন। ছাত্রদের এই জীবনটার ব্রহ্মচর্য জীবন। ব্রাহ্মণ গুরুদের গেরস্তরা দয়া করে দান করতেন না; শ্রদ্ধার সাথে…

আরো পড়ুন

কি নামে ডাকি। (শিখা নাহার) কি নামে ডাকি তোমায়? তাই নাম হাতে নিয়ে বসে আছি। চেয়ে আছি চোখ মেলে। তোমার চোখে চোখ রাখব বলে। কি নামে ডাকি তোমায় বল? মনে মনে কত নামে ডাকি… উড়ে যায় কত ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি। ওদের দিকে চেয়ে থাকি… আর ভাবি… তোমায় কি নামে ডাকি? অবশেষে বেলাশেষে ভাবি। নামে কি বা আসে যায় । যে নামে ডাকি তোমায়। তুমি রবে আমার মনের কোণায়। আবার পরকীয়া প্রেম সেতো না ডাকিতেই আসে। তাই নামে কি বা আসে যায় ।

আরো পড়ুন

তুষার (লেসা সুসান) মেঘ ভেঙে আকাশ থেকে তুই আমাকে রোদ্রদিবি তখন আমি গাঁথব মালা শিউলি দিয়ে তা তুই নিবি। মেঘ থেকে তুই তুষার দিলি উষ্ণতাটা কেড়ে নিলি সাদায় সাদায় ভরলি ভুবন দিনটা যেন যেমন তেমন ডুবিয়ে দিলি নিঃস্ব এ মন। দিনভর এ বন্দি জীবন হাটাচলায় বাঁধা নিয়ম একটু খানি পিছলে গেলে যেতে হবে হাসপাতালে। তুই নিশ্চই বুঝবি সবই সূর্যটাকে ফিরিয়ে দিবি সিঁদুর রাঙা সন্ধ্যা পাবো তাতেই আমি সুখ লুকাবো। লেসা সুসান ২৪ জানুয়ারি ২০২২ টরোন্টো, কানাডা।

আরো পড়ুন

একপেট ভাতের আশায় (হাসান ওয়াহিদ) ২৬ জানুয়ারি ২০২২ তোমরা একপেট ভাত দেবে, এই আশায় বিষজলে গা ধুয়ে বুক পেতে শুয়ে থাকা নারী আমার বোন, আমার মা। শৈশব থেকে গভীর কেঁদে উঠতে চাওয়া এখনও ঝাপসা করে দেয় মাঘের কুয়াশা, জানি না কবে ঘুচবে এই মন্বন্তর! শ্রাবণের লালিত বৃষ্টির মতো বেভুল বনানী-বারিধারা-গুলশানে কেঁপে ওঠে অচেতন রমণী-ভুবন। পটুয়া কামরুল হাসানের সুচারু শিল্প হয়ে নারীরা ভেসে যায় মাটির পাত্রের মতো বিচূর্ণ। একপেট ভাতের আশায় বিষজলে গা ধুয়ে বুক পেতে শুয়ে থাকা নারী যোনি পেতে শুয়ে থাকা নারী আমার বোন, আমার মা। (পটুয়া কামরুল হাসানের একটি চিত্রকর্ম)

আরো পড়ুন

আমার পৃথিবীর ছবি (ড. পিনাকী বসু) আর কিছুদিন পরেই, একটা নতুন পৃথিবীর ছবি আঁকব। যেখানে সবুজ টিয়ারঙের ‘লালপাতা’ হবে- ছবিটায় পৃথিবীর একটা ঘর থাকবে , একটা মুখের পাশে থাকবে, আরও কিছু রেখামুখ। অবুঝ মনের কাজল গন্ধেরা, অগোছালো ডাকনামটা ছুঁয়ে যাবে। অনেক পাতার আড়াল সরিয়ে, যেমন,বিশল্যকরণী চিনে নিতে হয়, তেমনই, ছবিটা দেখলেই মনে পড়বে, বাঁশিটায় একপুরু ধূলো জমেছে, -কতদিন হাত পড়েনি। কেউ ছুঁলেই বাঁশিটা শরীর হবে। ছবিটার কোন নাম দেবো না, ছবিটা, নিজেই ভালোবাসার গল্প বলবে।।

আরো পড়ুন

আসছে বাংলা একাডেমি বইমেলা ২০২২।  সোনালি সোপান।  কিশোর গল্পের বই। প্রচ্ছদ: কাব্য করিম বইয়ের নাম: সোনালি সোপান বইয়ের ধরন: কিশোর গল্প লেখক: বাস্তববাদী কবি আবুল খায়ের প্রকাশকাল: অমর একুশে বইমেলা: ২০২২ চূড়ান্ত নয় (প্রচ্ছদ)….

আরো পড়ুন

আমি ক্লান্ত।  ধারাবাহিক গল্প। পর্ব: ১ম দীর্ঘ আট বছর,, প্রবাসে কাটিয়ে যখন কাউ কে না জানিয়ে বাড়িতে আসি সারপ্রাইজ দিবো বলে,, বাড়িতে এসে আমি সারপ্রাইজ হয়ে যাই কারণ আজকে আমরা ছোট ভাইয়ের বিয়ে অথচ আমাকে কেউ একবার বলেনি,, আমি বাড়িতে আসায় কেউ খুশি হতে পারেনি আমি ভালো বুঝতে পারছিলাম,, কারণ তাদের চেহারায় খুশির চেয়ে বিরক্ত ভাব টা বেশি ছিলো,, সবার সাথে কোশল বিনিময় করে ঘরে যাই,, তখন বাবা আমার পিছন পিছন পিছন আসে,, — কিরে নিলয় হঠাৎ বাড়িতে চলে আসলি যে কোন সমস্যা হইছে — না বাব সমস্যা হয় নাই,, তোমাদের দেখতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম,, — ওওও তা…

আরো পড়ুন

মুস্তাফা জামান আব্বাসী ও আসমা আব্বাসী’র বিবাহ বার্ষিকী, ষাট দশকের আলোড়িত প্রেম, জসীমউদ্দীনে’র ঘটকালি –সালেম সুলেরী পাত্র >> সঙ্গীতসম্রাট আব্বাসউদ্দীন-পুত্র মুস্তাফা জামান আব্বাসী। কনে >> সুসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী’র ভাগ্নি আসমা আব্বাসী। ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ও বৃহত্তর সিলেটে মহাসংযোগ। ষাট দশকের আলোচিত বিয়েটি সম্পন্ন হয় ২০ জানুয়ারি। এরপর এক সপ্তাহ ধরে চলে অনুষ্ঠানাবলী। উল্লেখ্য, উভয়ের মধ্যে প্রেম ছিলো অনেকটা গোপনীয়তায়। যা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন তৃতীয় পক্ষের একজন। তিনি সুবিখ্যাত পল্লীকবি– জসীমউদ্দীন আহমদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুণ-তরুণী’র ঘটকালি করেছিলেন। আব্বাসী ভাই পারিবারিক সম্পর্কে আমার ফুপাতো সহোদর। আসমা ভাবী আমার চিরশ্রদ্ধার এক মহান অভিভাবক। আমার লেখক জীবনের শ্রেষ্ঠতম অনুপ্রেরণাদাত্রী। আমার একাধিক কবিতা ওনার ঠোঁটস্থ।…

আরো পড়ুন