এক মুঠো প্রেম।
[তসলিমা হাসান]
আত্মহননের প্রবল ইচ্ছা জাগা মুহূর্তে,
দেখি প্রেম নামক সোনার হরিণ আমার দুয়ারে দাঁড়িয়ে
জিজ্ঞেস করলাম অবাক বিস্ময়ে –
তুমি এলে কোত্থেকে?
বলল সে মৃদু হেসে –
“ছায়া সঙ্গী হয়ে ছিলাম তোমার পাশে দাঁড়িয়ে “।
দুঃখের জোয়ারে ভেসে গেছি, দেখিনি তোমাকে।
আজ কেন ঠেকাতে এলে মৃত্যুকে?
বলল সে গভীর আবেগে –
” ইচ্ছা মৃত্যুতে কী পাবে?
কলুষ পৃথিবীটাকে দূরে রেখে,
বিশ্বাস ভালোবাসা নিয়ে বুকে,
এসো বেঁচে থাকি দু’জনে এক সাথে।
হয়তো হৃদয়ের টানে,
এক সাথেই মরবো দু’জনে”।
তারপর দেখি-
হেমন্তের এক পশলা বৃষ্টি ঝরে পড়ল আমার শরীরে,
নিমেষে বুকের মধ্যে লাফিয়ে ওঠে,
কোস্টারিকার বিলুপ্ত সেই সোনালি ব্যাঙ!
দেখি মনের মধ্যে জোনাকির আলো জ্বলে।
যেভাবে-
নলুয়াপাড়ার কাটা পাহাড়ে
রংধনুর সাতরং খেলা করে।
আর বাংলার তেরশ নদী আমার বুকে বয়ে চলে।
এখন আমার যত নিমগ্নতা,
আমার দিবা- রাত্রির আচ্ছন্নতা,
আমি ভেসে বেড়াই, আমি ডুবে থাকি তোমাতে।
কোথায় যেন হারাই উদ্দীপ্ত বিশ্বাসের স্রোতে।
রাখাইন যুবতী মাথিনের মতো
এক আশ্চর্য প্রেম খেলা করে মনে,
যেন এক মাতাল হাওয়া বইছে ফাল্গুনের বন।
তসলিমা হাসান
কানাডা, ২৮-১২-২০২১
১ Comment
congratulations.