Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

ফেলে আসা দিন আত্মকথন: লেখক: সোহেল আকন নবাব পর্ব # ০২ বদ্ধ ঘরে কত কিছুই না মনেপড়ে। শৈশবের আনন্দ ময় দিনগুলো। আমাদের বাড়িটা ছিলো চারিদিকে প্রচীরে ঘেরা। বয়স কত হবে ৬ ছূটাছুটি করতাম। বাড়ির আঙিনায় ঝড়ের শেষে আম গাছের তলায় ছুটে যেতাম। আম কুড়াতে কাঁচা মিঠা আম। আবার সান বাঁধানো ঘাটে দল বেঁধে ঝাঁপ দিতাম , প্রথমে সাঁতার জানতাম না । মামা দুটি শুকনো নারিকেল দিয়ে পুকুরে ছেড়ে দিয়েছিল। পা ছুড়তে ছুড়তে অনেক দুরে চলে গেলাম । বুকের ভিতর এক অজানা ভয়ে কেঁদে উঠলাম। মামা বললেন আমি তো আছি।  বাড়িতে পোষা কুকুর ছিল স্কুল ছুটি র পড়ে নীচের বারান্দায় দাঁড়িয়ে…

আরো পড়ুন

প্রিয় লতাজী [মুহাম্মদ শামসুল হক বাবু] বিদায় বেলায় কি লিখি তোমায়- গানের ভুবনে পিতা পরম ঈশ্বরের নামে যে আকাশ প্রদীপ জ্বেলে দিলে তুমি, আজি সেই দীপ নিভে গেল হায়- এ ধরায় আর ফিরিবে না যে চলে যায়। বিদায় বেলায় কি লিখি তোমায়- ভালোবাসার ফাগুন ও আগুন জ্বেলে- চলে গেলে মোদের একা ফেলে, বড়ই বিষাদ ভরা রজনী ওগো সজনী- আজ নয় গুনগুন- গুঞ্জন প্রেম ঘুমিয়েছে তুমি বুঝনি! বিদায় বেলায় কি লিখি তোমায়- সেই হারমনি কোনও দিন বাজবে না- এখন কতশত নিশি যাবে চলি, কোকিলকণ্ঠে কেউ গাইবে না- আর যেন নেই কোনও ভাবনা। বিদায় বেলায় কি লিখি তোমায়- সুরের আকাশে নক্ষেত্রের দেশে…

আরো পড়ুন

আমার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় যোগদান.. ‘কলমবীর পীর হাবীব–‘ শিরোনামে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের আহ্বান। সালেম সুলেরী আমার হাত ধরেই ১৯৯১-এ সাংবাদিকতায় এসেছিলো। আমাকে পীরের মতোই সম্মান করতো সুপ্রিয় পীর হাবীব। ৫ ফেব্রুয়ারি’২২ অকালপ্রয়াণ– বুকটা ভেঙে গেলো যেন! গালে টোল পড়া হাসিমুখটি আজ ভুলবো কী করে! প্রথম পরিচয় আশির দশকে, ঢাকাতেই। ‘বাকশাল ছাত্রলীগ’ করতো, আড্ডা পেটাতো। পৈতৃকবাস সুনামগন্জ, স্নাতকোত্তর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি তখন সর্বাধিক সার্কুলেশনের ‘সন্দ্বীপ ম্যাগাজিন’ সম্পাদনায়। মতিঝিলের টয়েনবী সার্কুলার রোডে অফিস। প্রায়শ আড্ডা পেটাতে আসতো তিন ‘সিলেটী প্রিয়মুখ’। ‘আজ পাশা খেলবো’-খ্যাত গায়ক সেলিম চৌধুরী। হুমায়ূন আহমদের হিমু-খ্যাত ফজলুল হক তুহিন। আর স্বপ্নচারী সমাজ-ভাষ্যকার পীর হাবীবুর রহমান। লেখালেখিতে আগ্রহ ছিলো বিধায়…

আরো পড়ুন

একুশে পদক প্রাপ্ত কবি সাবেক সাংসদ কাজী রোজী আপা অসুস্থ। দোআ কামনা। নীরব ঘাতকের সঙ্গে কবি কাজী রোজীর দুই দশক তাঁর রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।  আপা ঢাকাস্থ স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দোয়া অফুরান আমিন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কবি কাজী রোজী। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কাজী রোজীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়। জানা যায়, তাকে রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। মাল্টি অর্গান সমস্যার কারণে তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। এছাড়া তার কোভিড পজিটিভ। তিনি আইসিইউতে…

আরো পড়ুন

চলে গেলেন উপমহাদেশের বর্ষীয়ান কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ে ৯২ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন তিনি। কিংবদন্তী এই শিল্পীর মৃতুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতে। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন সান্থানাম।  কোভিড পরবর্তী জটিলতার কারণে মৃত্যু হলো লতা মঙ্গেশকরের, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিন সকাল ৮টা ১২ মিনিটে প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর। এখন তার মরদেহ শিবাজি পার্কে নিয়ে যাও য়ার আয়োজন করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে লতা মঙ্গেশকরকে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি থেকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল লতার। অবস্থা অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা…

আরো পড়ুন

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২২। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি মেলার উদ্বোধন করবেন। তবে মেলা কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বইমেলা শুরুর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চিঠি বাংলা একাডেমিতে পৌঁছেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করবেন। তবে মেলা কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে চিঠিতে কিছু জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। যদিও এর আগে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যাওয়া অমর একুশে বইমেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি…

আরো পড়ুন

অবহেলা [মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম] ❑ আমাকে তুই অবহেলা কখনো করিসনি, এ সত্য স্বীকার করতে কোন দ্বিধা নেই, তবে অবহেলা কিন্তু তুই করতেই পারিস, আমাকে তুই আদর কিংবা কেয়ার করবি, এমন চুক্তি তো তুই আমার সাথে করিসনি, ❑ বরং আমিই তোর সাথে একতরফা চুক্তি করেছি তোকে কখনো আমি অবহেলা করতে পারবো না, তাইতো তুই সময়মতো খেয়েছস কি না, তোর অনিচ্ছাতেও আমি বার বার জিগাই, গোসল করেছিস কিনা? গলার স্বরটা ভার ভার লাগলে আমার কিচ্ছু ভাল লাগে না, আমি জিগাই ঠান্ডা লাগছে কি না? তুই বলিস কিচ্ছু হয় নাই, আমি তো বুঝি ঠান্ডায় তোর শরীরটা অনেক আন-ইজি লাগছে। তোর কপালটা ছুয়ে দেখতে…

আরো পড়ুন

মিছিলের অগ্রভাগে [হারুন চিশতি] হরহামেশাই কারনে অকারণে কামড়ে দেয় এলোপাথাড়ি দংশনে জুড়ি মেলা ভার; ভৌতিক, পথে প্রান্তরে বরফজমা ভয়; বিপদের আলামত। নীলিমায় মিশে আছে জলবৎ তরলীভূত সর্পবিষ! ভয়াল মেঘ করেছে; ভারী নেশায় আসক্ত আকাশ স্বভাবজাত প্রসবে গরল ঢেলে তৃপ্তিতে লুটাবে। ভেতরে পোষা সাপটিকে সন্তর্পণে দেখে নেই আয়েশে পুচ্ছ নেড়ে একটানা জাবব কেটে যাচ্ছে, নিশ্বাসে টেনে আনছে কাঙ্ক্ষিত রসসিক্ত ভোগ্যপণ্য। তেলচিটে অবয়বে জড়িয়ে নিচ্ছে তুলতুলে আরাম বিকৃত যৌনাচারে লজ্জাহীন কামুক; বেশরম বেহায়া, টিকে থাকতে ভরা জোয়ারি ঋতুবতি নারী দরকার। অদ্ভুত সম্মোহনী শক্তিতে বলিয়ান; মায়াবিনী লিকলিকে জিহ্বা রঙবেরঙের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়ায়, আলো প্রত্যাশী পতঙ্গম আত্মাহুতি দিতে ভুল করেনা। প্রান বিনাশী কুটিলতা; অদ্ভুত নেশায়…

আরো পড়ুন

প্রতিশ্রুতি [বৃষ্টি মাসুদ] তুমি বলেছিলে, আমার সব স্বপ্ন জীবন পাবে পাখা মেলে উড়বে তোমার মনের আকাশে। আমার সব গল্প শাব্দিক রুপ নেবে তোমার হাতের নিপুণ ছোঁঁয়ায়। তুমি বলেছিলে আমার কান্না কখনো ঝর্ণা হবেনা প্রবল আবেগে জড়ানো জলটুকু তোমার বুক ছাপিয়ে অন্তরে গেঁথে রবে। আমার হাসি তুমি ভোরের আলোয় ছড়িয়ে দেবে। তুমি বলেছিলে আমায় নিয়ে কবিতা গান কিছুই লিখবেনা, সব প্রেমিকের মতো মিথ্যে আশায় বাঁধবেনা তুমি আর, একবারও বলবেনা তোমায় ছাড়া বাঁচা কষ্টকর। তুমি বলেছিলে রাত জেগে জেগে অনন্তকাল কাটিয়ে দেবে কষ্টে কাটানো প্রহরগুলো মেঘে লুকিয়ে দিবে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পরলে রঙধনু এঁকে দিবে। তুমি বলেছিলে যাইনা হারিয়ে দূর থেকে বহু…

আরো পড়ুন

রবীন্দ্রনাথের জীবনে সত্য ঘটনা। একটা সময় ফেসবুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে এই শিশুটিকে ছোট বেলার সত্যজিৎ রায় বলে চালানো হত।কিন্তু সেটি সঠিক নয়।আসুন জেনে নেই এই শিশুটি কে? …. একবার রবীন্দ্রনাথের সচিব অনিল চন্দ ও তাঁর স্ত্রী রাণী চন্দের ছয় মাসের ছেলের কান্না শুনে মধ্যরাতে নিজের বায়োকেমিকের বাক্স থেকে বেছে ওষুধ নিয়ে তাঁর বাড়িতে ছুটে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ভীষণ স্নেহ করতেন শিশুটিকে …. …. শান্তিনিকেতনে তখন অভিজিতই একমাত্র শিশু – সকলের কোলে কোলে সে খুব আদরে বাড়তে লাগলো। একদিন দু’পায়ে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পা-পা ফেলে চলতেও শিখল। এই শিশুটিকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের কত আগ্রহ, তার সমস্তটাই তাঁকে মুগ্ধ করে রাখে। অভিজিত যখন…

আরো পড়ুন