Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

বিভেদ (সুরাইয়া সুলতানা) ১২-০৫-২০২২ আমার দু’চোখ দেখে দূর মেঘ বিলাসী আকাশ, তোর দু’চোখে সোনাঝরা সোনালি সুখের আভাস। আমার ঘরের চারদেয়ালে ধূসর স্মৃতি আঁকা, তোর ঘরেতে জ্যোৎস্না ছড়ায় আধফালি চাঁদ বাঁকা। আমার আঙিনায় নিত্য ফেরারি পাখির উড়া, তোর আঙিনায় স্বপ্ন ফোটা রঙিন ফুলে ভরা। হৃদয় নদীর দুই কূলে মোর ব্যথার জোয়ার বয়, তোর নদীতে সুখেরি ঢেউ ক্ষণে ক্ষণে উছলায়। ফাগুন বেলার উদাস বাতাস আমার দুয়ারে আসে, তোর দুয়ার কৃষ্ণচূড়ার রঙিন স্রোতে ভাসে। ঘন বরষার আষাঢ়ের মেঘ আমার আকাশ ছাওয়া, তোর আকাশ গোধূলির মুগ্ধ আবিরে নাওয়া। আমার বুকেতে বাজে বেহাগ রাগীনী সুর, বসন্ত দিনের কোকিলের গান তোর হৃদয়ে ভরপুর। তোর কাছে সুখ…

আরো পড়ুন

চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ ২০১৭ এর জনপ্রিয় শিল্পী নান্নু এখন সবজি বিক্রেতা: চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ ২০১৭’র দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছিলেন উদীয়মান এক শিল্পী। গান ছিল তার প্রাণ। জীবনে চলার পথে প্রতিটি মুহুর্তে গানকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন তিনি। মাতিয়েছিলেন সমগ্র বাংলাদেশকে। তিনি চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ ২০১৭ এর জনপ্রিয় শিল্পী নান্নু। একসময় সারা জাগানো এই শিল্পী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে জীবন জীবিকার তাগিদে এখন রেল লাইনের ফুটপাতের সবজি বিক্রেতা। বর্তমানে নান্নুর বয়স ৩২ বছর। মহানগরীর দৌলতপুর আঞ্জুমান রোডের আমতলা মোড় এলাকায় বসবাস করছেন। পরিবারে রয়েছে বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান…

আরো পড়ুন

গুপ্তজ্ঞান [এনামুল হক টগর] ০১/০৫/২০২২ তিনি আল্লাহ!তিনি গুপ্তের চেয়েও গুপ্ত অনাদি আহাদ মহাগুপ্ত! তাঁর সন্ধান তপস্যায় আমিত্ববোধ বিনাশ করো ধ্যানে মহাশান্ত! তাঁর একত্ববোধের গভীরে হারিয়ে যাও পাবে মহামূল্যবান গুপ্তধন গুপ্তজ্ঞান! তাঁর ধ্যানে সাধনায় আত্মিক চৈতন্য বোধ জাগ্ৰত করো জিকিরে স্মরণ। আত্মবিভোর অবরোহ ও মহাশূন্যের স্থিতিতেই আল্লাহ তাজাল্লালি নূর! সিরাজুম মনিরার অনির্বাণ শিখা জ্বলে প্রজ্বলিত প্রদীপ দীপ্তিময় দীপ্তকর! নির্গূন সজ্ঞায় তিনি এক অবিচ্ছেদ্য মহানূর ও মহা-গুপ্তজ্ঞানের চেতনায় সুশান্ত! চিরন্তন প্রেম ও দ্বীনের সালাত আরাধনায় মগ্ন হলেই তুমি দেখবে তিনিই মহাজীবন্ত! দেখতে পারলেই মুহূর্তে মাশুক স্বর্গের সুধা পান করে নাও আশেক জীবন অনন্ত! সমগ্ৰ সৃষ্টিরাজ্য উৎস নির্যাসের জ্ঞানেই সালেক ওয়াহেদ মহামিলনে অক্ষয়!…

আরো পড়ুন

একসময় অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তিনি ছিলেন ভারতের ন্যাশন্যাল স্কুল অব ড্রামার সেরা ছাত্র। তাই তো থিয়েটার মিশে আছে তার অস্থিমজ্জায়। ভারতের অনুপম খেরের সঙ্গে ক্লাস করেছেন তিনি এনএসডিতে। বলছি জনপ্রিয় অভিনেতা এবং নাট্যনির্দেশক তারিক আনাম খানের কথা। আজ কীর্তিমান এই অভিনেতার জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের ১০ মে তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। অভিনয় জগতে পথচলা দীর্ঘ প্রায় চার দশকের। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম দিককার কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন তারিক আনাম। তারপর ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিককে কেন্দ্র করে হুমায়ূনের সঙ্গে সৃষ্টি হয় অভিমান ও দূরত্ব। ছোটবেলায় বেড়ে উঠেছিলেন সাংস্কৃতিক আবহে। তাই তো পারিবারিক পরিমণ্ডল থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তার। মঞ্চ,…

আরো পড়ুন

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে যাচ্ছেন শাকিব খান:::::: ঢাকাই ছবির ‘কিং খান’ হিসেবে খ্যাত শাকিব খান। দুই দশকের ক্যারিয়ারের হাজির হয়েছেন অসংখ্য চরিত্রে। নিজের সাথে প্রতিযোগিতা করে নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন। এজন্যই বর্তমান ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে বলা হয়ে থাকে একচ্ছত্র অধিপতি। এরই ধারাবাহিকতায় শাকিব এবার দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক চরিত্রে। বদিউল আলম খোকনের ‘আগুন’ ছবিতে এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এরই মধ্যে এফডিসিতে ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। পরিচালক খোকন বলেন, ‘বেশ ভেবেচিন্তে শাকিবের চরিত্রটি বেছে নিয়েছি। গল্প শুনে শাকিবও খুব পছন্দ করেছে। দেশ গড়তে শিক্ষকের বিকল্প নেই। সেটাই আমি শাকিবের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছি।’ ‘আগুন’ ছবিতে শাকিব খানের সাথে জুটিবেঁধে…

আরো পড়ুন

কবিদের কবি! মহাকাব্যের রচয়িতা, সংগীতজ্ঞ ও জ্ঞানতাপস, কবি প্রাকৃতজ  শামীম রুমি টিটন। শুভ জন্মদিন: যাঁর আছে অসীম মানব প্রেম, জ্ঞান-বিজ্ঞান, কলা, গান, সংগীত শাস্র সহ সাহিত্যের সকল শাখায় যাঁর পদচারণা । যিনি আমাকে স্নেহের মমতায় ভালোবাসেন। তিনি গুরু, তিনি শিক্ষক, সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক। তিনি কবিদের কবি। তিনি প্রাকৃতজ শামীম রুমি টিটন (Prakritoj Shamimrumi Titon)। আজ তাঁর শুভ জন্মদিন। আপনার জন্মদিনে অনেক অনেক সালাম, দোআ ও ভালোবাসা নিরন্তর। আল্লাহ তাঁকে নেক হায়াৎ দারাজ করুন, আমিন।

আরো পড়ুন

শাবিহ মাহমুদের সম্পাদনায় দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ “নোয়াখালীর ইতিহাস”র পুনঃপ্রকাশ। ..……………………………………..……………………………. নোয়াখালী (ভুলুয়া) জেলার ২ শ বছর পূর্তিতে ৯২ বছর পর পুনঃপ্রকাশ হল নোয়াখালীর প্রাচীন, মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ “নোয়াখালীর ইতিহাস”। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে কবি-গবেষক-সাংবাদিক শাবিহ মাহমুদ সম্পাদিত গ্রন্থটির প্রচ্ছদ উন্মোচিত হয়। ১৯৩০ সালে গ্রন্থটি যৌথভাবে রচনা করেছেন এ. কে. এম. মক্রমবিল্ল্যা চৌধুরী ও শ্রীঅশ্বিনীকুমার সোম তত্ত্বনিধি। বইটি পুনঃপ্রকাশ করেছেন লেখক মক্রমবিল্ল্যা চৌধুরীর নাতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী ডা. তবারক উল্যাহ চৌধুরী বায়েজীদ। সম্পাদক শাবিহ মাহমুদ জানান, প্রচলিত ইতিহাস চর্চার বাইরে উক্ত গ্রন্থের সচেতন লেখকদ্বয় কেবল রাজাদের ইতিহাস লেখেননি। তারা মূলত জনগণের ইতিহাসই রচনা করেছেন। যাকে সাম্প্রতিক…

আরো পড়ুন

প্রকাশিতব্য উপন্যাস ‘ কানফুল ‘। পান্ডুলিপি পড়ে আলোচনা করেছেন খ্যাতিমান কবি ও কথাসাহিত্যিক ড. শাহেদ ইকবাল। আগ্রহী হলে আপনিও তাঁর আলোচনা/মতামত পড়ে দেখতে পারেন। পড়তে সময় লাগবে মাত্র ৩মিঃ৩৭ সেকেন্ড! “বাস থেকে নেমে জিন্নত আলী রাস্তা পার হয়। কিছুক্ষণ পরে সন্ধ্যা হবে। ওখান থেকে বাসা পর্যন্ত সে রাস্তাটুকু হেঁটে যেতে চায়। রাজ্যের চিন্তা তার মাথায়। নিচের দিকে তাকিয়ে সে হাঁটছে। হঠাৎ তার ধ্যানভঙ্গ হয় একটা ডাকে। ও ভাই, ভাইজান, ও ভাইজান, একটু হুনেন। ও ভাই একটু হুনেন না। আরে, ও ভাই। জিন্নত আলী স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে মেয়ে কণ্ঠের ডাক। গলির ভেতর থেকে ডাকটা আসছে। তাকে ডাকছে। জিন্নত আলী আরো দ্রুতবেগে…

আরো পড়ুন

তুমি কি আমায় ফিরিয়ে দেবে [সুরাইয়া তাসনিম সিনথিয়া] এই কোলাহল মুক্ত রাতে প্রকৃতি তার নিস্তব্ধতার খেলায় যখন মেতে উঠবে, জোনাকিরা মিটমিট করে জ্বলবে। এই মধ্যরাতে, উষ্ণতার চাদর হয়ে শীতের ঝরা পাতার মতো যদি আমি হঠাৎ করে এসে তোমাকে আরেকটিবার ভালোবাসার আবদার করি তুমি কি আমায় ফিরিয়ে দেবে? একসময় রাতের ট্রেনটাও চলে যাবে তার নিজস্ব গন্তব্যে, ইস্টেশন মাস্টার তার নড়বড়ে টেবিলে বসে ঘুমের সাথে লড়াই করবে। এমন নিস্তব্ধ রাতে উষ্ণতা ছোঁয়াতে যদি আমি হঠাৎ ফিরে আসি! তুমি কি আমায় ফিরিয়ে দেবে? নাকি তুমিও এক আকাশ নীরবতা নিয়ে পাশে এসে বসবে এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলে ধীরে ধীরে বলবে, চলো না আরেকটিবার ফেলে আসা…

আরো পড়ুন

পোড়া চোখে দেখছি সর্বনাশ ।।মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম।। বরফ গলা জলে ভিজে একাকার বিমুর্ত রাতের শরীর, এই ফাগুনে ও অর্বাচীন জরাজীর্ণতা হৃদয়ে ক্ষত পরীর। হাজার বছরের ক্লান্তি ফুরায় না হিমালয়ের পাথর চোখ বাসনার পাখায় দিয়ে বুক খুঁজে শান্তির নীড়ে প্রিয় মুখ। বিছিন্ন দ্বীপে চাঁদের বসবাস বিট্রে করে পিঙ্গল আকাশ হারুপার্টি নিরবে করে দুঃখ বিলাস নির্মমতায় সহবাস। নগর নন্দিনীর খোলা চুলে প্রমত্ত উল্লাস প্রেম নদীর তীরে গড়েছে নিগুঢ় আবাস, বানের জলে ভাসায়ে চাওয়া পাওয়ার মৃত অভিলাষ। কাকে মিশে কোকিলের মনন ম্রিয়মান প্রাণের স্পন্দন, খোয়া গেছে চন্দন মনবাতায়নে পলাশের নিরব ক্রন্দন। প্রদীপ জ্বেলে বিবাগীর প্রতীক্ষা অনুরাগী কালের বাহাস করে হাসপাস বারো মাস গোপনে…

আরো পড়ুন