একসময় অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তিনি ছিলেন ভারতের ন্যাশন্যাল স্কুল অব ড্রামার সেরা ছাত্র। তাই তো থিয়েটার মিশে আছে তার অস্থিমজ্জায়। ভারতের অনুপম খেরের সঙ্গে ক্লাস করেছেন তিনি এনএসডিতে। বলছি জনপ্রিয় অভিনেতা এবং নাট্যনির্দেশক তারিক আনাম খানের কথা।
আজ কীর্তিমান এই অভিনেতার জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের ১০ মে তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। অভিনয় জগতে পথচলা দীর্ঘ প্রায় চার দশকের। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম দিককার কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন তারিক আনাম। তারপর ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিককে কেন্দ্র করে হুমায়ূনের সঙ্গে সৃষ্টি হয় অভিমান ও দূরত্ব।
ছোটবেলায় বেড়ে উঠেছিলেন সাংস্কৃতিক আবহে। তাই তো পারিবারিক পরিমণ্ডল থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তার। মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র এই তিন ক্ষেত্রেই সমান পদচারণা জনপ্রিয় এই অভিনেতার। তারিক আনাম ১৯৯০ সালে ‘নাট্যকেন্দ্র’ নামে নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নাট্যকেন্দ্র থেকে প্রযোজিত একাধিক নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
খ্যাতিমান মঞ্চ , টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং বিজ্ঞাপন নির্মাতা তারিক আনাম খান। মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি বেশকিছু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তিনি ২০১৪ সালে দেশা: দ্য লিডার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ খলচরিত্রে অভিনয়শিল্পী বিভাগে এবং ২০২০ সালে আবার বসন্ত চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে সুরুজ মিয়া, জয়যাত্রা, মেড ইন বাংলাদেশ, আহা!, দ্য লাস্ট ঠাকুর, জাগো, ঘেটুপুত্র কমলা, জোনাকীর আলো ও দেশা-দ্য লিডার।