আমি সেই বনলতা সেন [নাজমুন নাহার লাডলী] জীবনানন্দের ধানসিড়িটির তীরে শঙ্খচীল শালিকের দেশে নবরূপে জন্ম আমার মাগো বনলতার বেশে । কৃষকের ঘরে দেখি নেই নবান্নের উৎসব লক্ষ্মীপেঁচার ডাক শুনি না আজ আর শিমুলের ডালে । কিশোরীর লাল পায়ে বাজে না তো ঘুঙুরের নিক্কন কলমীর জলে ভেসে ভেসে কারো আজ কাটে না সারাদিন । নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে আবার এসেছি এই বাংলায়, খুঁজে ফিরি সেই সুদর্শন যুবক উঠোনের ঘাসে যখন ছড়ায় আজো কোনো শিশু খৈয়ের ধান । শাদা ছেঁড়া পালে রূপসার ঘোলা জলে নয়তো কাঁঠাল ছায়ায় জলঙ্গির ঢেউয়ে ভেঁজা বাংলায় । আমি সেই বনলতা সেন আবার এসেছি ফিরে যার সাথে করেছিল…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
বন্ধু [শীরীন আক্তার] ১৮/০৫/২০২২ উঠোনের এক কোণে খেলা করছে দুটো ছোট্ট শিশু। অন্য কোণে একটি বিশাল খড়ের গাদা।তার পাশেই দেখা যায় দুটো ঘরে অনেক ছাগল গরু। এ শিশু দুটি প্রতিদিন অনেক খেলা করে। ওদের খেলা বাড়ির গুরুজনেরাও বেশ উপভোগ করেন। শিশু দুটির মধ্যে একজন মানুষের, অন্যটি ছাগলের। কিন্তু তাতে কী? ওরা দুজন দুজনকে যেন পলকে হারায়, এ অবস্থা। ছাগশিশুটির নাম রাখা হয় মানবশিশুটির নামের সাথে মিলিয়ে। মানুষের বাচ্চাটির নাম পিনু,আর ছাগশিশুর নাম ইনু। পিনু – ইনু হরিহর আত্মা। খুব ভোরে পিনুর আম্মু পিনুকে জাগিয়ে নামাজ পড়ায়, তারপর আরবি পড়িয়ে ছুটি দেয়। পিনু ছুটি পেয়ে ছুটে যায় ইনুর ঘরে। সে ইনুর…
বদলে যাওয়া ভালোবাসা [সুমনা খান] উত্তর আধুনিক প্রেমের লেবাসে মোড়া ভালোবাসার সপ্ন আমার নেই তার থেকে বরং নিছক ই একজন কাটখোট্টা মানুষ হয়েই থেকে যাবো। রংচটা জীবনের কোনোখানে তথাকথিত ভালোবাসার ছাপ ফেলতে চাই না না হয় নিতান্ত একজন ছা-পোষা মানুষ হয়েই রয়ে যাবো নিকষ-নির্ভেজাল জীবন যাপন হবে যার একমাত্র অবলম্বন। বিবর্তিত যুগের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিতর্কিত আধুনিক ভালোবাসার স্পর্শ পেতে চাই না… কেননা…! রূপালী পর্দার সিনেমায় যে বৈষ্ণব-বৈষ্ণবীর প্রিয়াংশু প্রেমের চিত্র দেখে বারংবার মুগ্ধ হয়েছি আজ-কালকার দিনে তা নেহাৎ-ই কল্পনা! উত্তর আধুনিকতার তুমুল ঝড়ে ভালোবাসার পুরনো কলেবরও ক্ষত-বিক্ষত এখন ভালোবাসা পয়সার হাঁটে বিক্রি হয় অতঃপর…! অধিকাংশ ভালোবাসা’ই প্রেম হয়েই রয়ে যায়!
ছড়াওয়ালা-২ [ছাদির হুসাইন] হতাম যদি ছড়াওয়ালা কিংবা ছড়া পড়াওয়ালা ছড়ার হাটে মজার পাঠে থাকতো আমার মন, ছড়া নিয়ে চলত আমার সুখের এই জীবন। হতাম যদি ছড়ার গীতি কিংবা ছড়া গড়ার গীতি ছড়ার সাথে সবার পাতে ছড়িয়ে দিতাম ফুল, ধরিয়ে দিতাম মানবকূলে অসামাজিক ভুল। হতাম যদি ছড়ার পাখি! কিংবা ছড়া ধরার পাখি ছড়ার দ্বারা শহর পাড়া রাঙিয়ে দিতাম বেশ, ছড়া দিয়েই ভরে দিতাম সোনার বাংলাদেশ।
নিস্তব্ধতা গল্পঃ (জেরিন বিনতে জয়নাল) অনেক রাত হয়ে গেছে অফিসের অবশিষ্ট কাজগুলো গুছিয়ে রাখছিলেন জারিফ সাহেব, এ সময় তার ফোন বেজে ওঠে। টেবিল থেকে ফোন হাতে নিয়ে দেখলেন তার ছোট ভাই মঈন কল করেছেন। ব্যস্ত হাতে ফোনটা রিসিভ করে কানে রেখেই দ্রুত হাতে কাজ এগিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি, ফোনের ওপাশ থেকে বাবার অসুস্থতার কথা শুনে তার হাত থেমে গেলো। ফোনের ওপাশ থেকে মঈন বলল, আমরা হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো। ‘আচ্ছা, আমিও বের হচ্ছি’ বলেই জারিফ সাহেব অফিস থেকে বেড়িয়ে পড়লেন তার গাড়ি নিয়ে। আধঘন্টার মধ্যে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন, গাড়ি পার্কিং করে হাসপাতালের মেইন বিল্ডিংয়ের দিকে যেতে…
সাক্ষী [ঊর্মি ফারজানা] নীলাম্বরী, আমি অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি তুমি কেমন আছো? … কোন উত্তর নেই। নীলাম্বরী বেশ অহংকারী ছিল ফিরে দেখেনি তখনও আমাকে অপলক তাকিয়ে দেখি বারবার তোমায়, ভালোবাসি বলেই বুঝি এমন অনুভুতি আমার। কি অপূর্ব তুমি! আহা! তোমায় নিয়ে অসম্ভব অনুভুতির আনাগোনা। নীলাম্বরীর বিশাল বুকে তোমার অবাধ বিচরণ। আমিও হারিয়েছি আমাকে, তোমাদের আলো আঁধারির মায়ায়। নিশাচর হয়ে জেগে থাকা প্রহর, আজ স্মৃতির মনি কোঠায় বসে আছে। সেদিন কেউ ছিলো না আমাদের সাথে, শুধু তুমি ছিলে ইন্দু। রাতের আকাশের ইন্দু তুমি আমাদের ভালোবাসার সাক্ষী। কেমন আছো নীলাম্বরী?
রৌদ্র প্রজাপতি আজ বৃষ্টি মুখর দিনে ছুয়ে দিতে চেয়েছিলাম তোমায় তুমি বললে না… আমি বিষ্ফোরিত চোখে তোমায় যতনা দেখেছি ভেতরে ডুবেছি ততটাই বেদনার জলে। আমি সন্ধ্যার সিঁদূর রঙের আবীরে তোমার প্রতিচ্ছবি আঁকতে চেয়েছি, তুমি বললে না… আমার চোখ বির্দীন অশ্রু যতটা না রক্তিম হয়েছে, তার চেয়েঅনেক বেশী প্রতিবাদে রক্ত কনিকারা ধমনীতে বেগবান হয়েছে। আমি প্রচ্ছন্ন আচ্ছন্ন আবেগে যতনা শুদ্ধ হতে চেয়েছিলাম তারচেয়ে ও বেশি ফেনিল সফেদ, পাপড়ি মেলেছিলে তুমি। আমি, আমি তোমার বিশুদ্ধতায় নতজানু হতে চাইনি নিজ শুভ্রতায় আলোক ছড়িয়ে রোদের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রজাপতির ডানায় রোদের সব রং চুরি করে… আলপনা এঁকেছিলাম। বৈকালিক অপেক্ষা অপেক্ষার প্রহরে দেখা হলো তোমার…
কথার কথকতা : চা, তরল পানীয় ও আটা সমাচার (মাইন উদ্দিন আহমেদ) রোববার রাত এখন প্রায় তিনটা। আগামী সংখ্যার জন্য আমার নির্ধারিত কলাম কথার কথকতা-র লেখা এখনো পাঠানো হয়নি। আজ না দিলে লেখাটি এ সংখ্যা পত্রিকায় ধরানো সম্ভব নয়। জ্যাকসন হাইট গিয়েছিলাম একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে, আসতে হয়েছে দেরী আর আনুসঙ্গিক কাজকর্ম সেরে ফ্রী হলাম এইমাত্র। ক্লান্তি বোধ করছি কিন্তু লেখাটা শেষ করে ইমেইলে এক্ষুনি পাঠাতে হবে তাই একটু চা বানিয়ে কাপটা সামনে রেখেই ফোনটা হাতে নিয়ে টাইপ শুরু করলাম। বিষয় আগেই ভেবে রেখেছিলাম। আজকের লেখাটার শিরোনাম হতে পারে, ‘চা, তরল পানীয় ও আটা সমাচার’। প্রিয় পাঠক, কি ভাবছেন? জ্বী…
লেখা দিন। ১৫ জুনের মধ্যে (15-06-2022 তারিখের মধ্যে)। সুধী, কালের প্রতিবিম্ব (ম্যাগাজিন)-এর ঈদুল আযহা সংখ্যার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনার সেরা লেখাগুলো সমাজ পরিবর্তনে কবিতা গ্রুপে পোস্ট করুন। আমরাই আপনাকে খুঁজে নিবো। সেরা লেখাগুলো যাবে আমাদের ম্যাগাজিনে। অনলাইনেও প্রকাশের সুযোগ থাকছে। লেখা ইমেইল করতে পারেন: khair.hrm@gmail.com মোবাইল নাম্বারসহ পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, লেখকের নাম, লেখার শিরোনাম ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। সঠিক বানান ও মানসম্পন্ন লেখা, প্রকাশের অন্যতম শর্ত। শ্রদ্ধান্তে, সম্পাদক কালের প্রতিবিম্ব উত্তরা, ঢাকা। প্রতিবিম্ব প্রকাশ (সৃজনশীল লেখকের ঠিকানা) পুস্তক প্রকাশক ও বিপণন ০১৭১৫৩৬৩০৭৯
তুমি রবে নীরবে [তাহ্ মিনা নিশা] নির্জন দুপুরে বাড়ির সবাই যখন ভাতঘুমে প্রশান্তির আশ্রয়ে। আমি তখন শরৎ রচনা সমগ্র নিয়ে রিডিং টেবিলে। দুপুরের ঘুমটা কেন যেন আমার সহ্য হয় না। কোনোদিন যদি একটু গড়িয়ে নেয়ার ছলে চোখ লেগে যায় তো হলো— ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরটাকে মনে হয় দশ মণ ওজনের হয়ে গেছে। পেট ফেঁপে ঢোল হয়। চোখের নিচে ও উপরের পাতা ফোলা ফোলা ভাব। দেখে মনে হয় যেন একটু আগে কান্না করেছি। অথচ আমার পতিদেব শ্রী ‘সুমন্ত ব্যানার্জি’ এই ছুটির দিনের দুপুরের ঘুমের জন্য পুরো সপ্তাহ অপেক্ষা করে। এই নিয়ে বিয়ের প্রথম দিকে আমার বেশ অভিমান হতো। আমি না…
