ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী, তৎকালীন পূর্ববঙ্গের প্রথম মহিলা গ্রাজুয়েট, ইডেন কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ টাঙ্গাইলের গর্ব ফজিলাতুন্নেছার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা- জন্ম: ১৮৯৯ । মৃত্যু: ২১ অক্টোবর ১৯৭৭ ★১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছিলো, একটা ছেলে যদি একজন মেয়ের সাথে কথা বলতে চায়, তবে তাকে প্রক্টর বরাবর দরখাস্ত দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রক্টর অনুমতি দিলেই সে কথা বলতে পারবে। এছাড়া নয়। এমনকি তার ক্লাসের কোন মেয়ের সাথেও না। ★ডিসেম্বর ১৯২৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাত্র ৬ বছর পর একদিন কোলকাতা থেকে একজন যুবক এলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখবেন। কয়েকজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে সে ঘুরতে বের হলো। তখন কার্জন হল ছিলো বিজ্ঞান ভবন। ঘুরতে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
রামমোহন রায়ের জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য রাধাকান্তর পরাজয় হিন্দু কলেজের চারদিকে ঘন জঙ্গল ছেয়ে রয়েছে। বট, অশ্বত্থ, নিম, জামরুল গাছে পরিবেষ্টিত এই অঞ্চল। অদূরে অতি বিরাট একটি দীঘি। সেই দীঘির চারপাশে দুপুরবেলা মাছ ধরবার জন্য যেন ধ্যানমগ্ন ভঙ্গিতে, সারিবদ্ধভাবে উপবেশন করে শৃগালের পাল। রাত্রে তারা আবার হুক্কা- হুয়া স্বরে তীব্র চিৎকার করে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে। সুবিশাল জলাশয় বা দহটিতে এত শৃগালের বসতি বলে জায়গাটিকে অনেকে শিয়ালদহ বলে অভিহিত করে আজকাল। এই অঞ্চলে মানুষের বসতি প্রায় নেই বললেই চলে। একটু দূরে চিৎপুর আর জোড়াসাঁকো গেলে দেখা যাবে কল্লোলিনী কলকাতার মানুষের জনজীবন। প্রচুর গাছ কেটে শুধু এখানে গড়ে উঠেছে হিন্দু কলেজ নামের এই শিক্ষা…
বিশ্ব আমার (জগলুল হায়দার) আরব আমার ইরান আমার ভারত আমার চীনও কদম কদম খোদার পথে কাটছে রাত আর দিনও। তুর্কি আমার মিশর আমার বিশ্বজুড়েই দেশও পামির ডাকে সাহারা কয় আমার বুকেও এসো। ফোরাত আমার দজলা আমার যমুনা আর নীলও ভলগা থেকে আমাজানও আমায় সুধা দিলো। সুমের আমার আশের আমার আমার ব্যাবিলনও হরপ্পা আর ম’ঞ্জোদারোর সভ্যতার অই মনও। ককেশাস আর মঙ্গল আমি আমিই সাদা কালো ইব্রাহিমের পুত্র আমার বুকে হেরার আলো। সহজ আমি সরল আমার তাই অবিরাম চলাও বাইবেল* আমার কোরান আমার শোভন কৃষ্টি কলাও। বাঙ্গাল আমি পাঞ্জাবি আর সোমালি আফগানও সেই তৌহিদ কাফেলাতে এই ইতিহাস জানো। মানুষ আমি রাসুল আমার…
যৌতুকের পুতুল বিয়ে এ.কে.ম হাসানুজ্জামান (হাসান) দূর্গাপুর গ্রামে ধনী দরিদ্রের মিলেমিশে বসবাস। হানু নদীর বাঁকে কয়েকটি পাড়া মিলে সবুজ গ্রামটি। গ্রামটিতে সম্প্রতির বন্ধনে সবাই যেন একাকার হয়ে বসবাস করে। গ্রীষ্মের ছুটিতে ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন খেলা ধুলায় মেতে উঠে। ছেলারা হাডুডু, দাড়িয়াবাধা ও মেয়েরা গোল্লাছুট, কানামাছি ও কয়েকটি পাড়াতে কচি-কাঁচা মেয়েরা মাটির পতুল খেলা ও পুতুলের বিয়ে উৎসব মেতে উঠে। পুতুলের বিয়ে দেওয়ার জন্য ঘোটকের কাছে ছেলে পাত্র পুতুলের জন্য উপযুক্ত মেয়ে পাত্রী পুতুলের সন্ধান করতে হয়। তেমনি মেয়ে পাত্রী পুতুলের জন্য উপযুক্ত ছেলে পাত্র পুতুলের সন্ধান করতে হয়। ঘটক সাহেব এপাড়া থেকে ওপাড়ায় ঘুরে ঘুরে উপযুক্ত পাত্র ও পাত্রী পুতুলের…
নতুন পৃথিবীর সন্ধানে [তসলিমা হাসান] আমার একটা ব্যক্তিগত পৃথিবী চাই, চাই একটা তুমি তুলির নিখুত আবেশে অঙ্কিত ব্যক্তিগত আকাশ,, আমি সে আকাশে প্রভাতে মুগ্ধ সূর্য উদায়ন আর এক ঝাক গধুলী নামাতে চাই, চাই একটা ব্যক্তিগত চাঁদ, যার ভিতরের ক্ষতগুলো আমার ভালোবাসার উজ্জলতায় মুছে যাবে। আমার একটা ব্যক্তিগত পৃথিবী চাই। চাই একটা নীল জলে পূর্ণ ব্যক্তিগত সমুদ্র, যার উর্মীর ভাঝে সব বেদনা ব্যধি চাপা পরে যাবে। চাই এক বালুচর গাঙচীল, যার ঝাপটানো ডানায় সব হারানো ক্লান্তির স্বস্তি বাধা রবে। আমার একটা ব্যক্তিগত পৃথিবী চাই। চাই একদল মেঘের ভেলা, যা গভীর রাতে বর্ষা এনে চোখ দুটিকে বৃষ্টি থেকে মুক্তি দিবে। চাই কিছু…
অই দেখা যায় টাকার দোকান [জগলুল হায়দার] টাকা কোথাও যায় না বেচা যায় না আবার কেনা টাকা নিয়া এই ফিচারই সবার অতি চেনা। টাকার দোকান নিয়ে কতো গল্প ছড়া লেখা কেউ পারেনি কিন্তু সেটার আঁকতে রূপ ও রেখা। জিনিস যখন দামে বাড়ে তখন কতো লোকে সস্তা দামে টাকা কেনার ভাবনতে খুব ঝোঁকে! কিন্তু দোকান পায় না কোথাও যায় না কেনা টাকা টাকার দোকান? কিনবা টাকা? ভাবনা পুরা ফাঁকা। কিন্তু এখন শুনছি আওয়াজ আসছে ভেসে কানে ডলার দিয়া টাকা কিনে লাভ নাকি লোক আনে। কালকে কিনে নব্বইয়ে কেউ আজকে বেচে শতে টাকা কিনে-বেচেই কারো হচ্ছে কেল্লা ফতে! টাকার দোকান খুঁজতে খুঁজতে…
আজকের ভাবনা [হোসনে আরা জেমী] আমি নীরব থাকি, সব দেখি, অনুভব করি মাঝেমাঝে গভীর ঘুমে আছন্ন থাকি সময়ের অদৃশ্য শেকলে বন্দী থাকি কখনো কখনো সময় থমকে যায় সাদা কাগজের কালো অক্ষরের বিলাপে সময়ের বিপরীত চলতে গিয়ে হোঁচট খাই। এই শহরে চেনা পথে বিষণ্ণতার রোদ মেখে ফিরে আসি চেনা ঠিকানা মাঝেমাঝে আমার দীর্ঘ ছায়কে সংগী করে হেটে যাই বহুদূর ভীড়ের মাঝে খুঁজে নেই নিজস্ব ঠিকানা আবার গভীর ঘুমে শূন্যে হারাই। শূন্যতাগুলো কখনো কখনো একান্ত আপন হয় সময়ের কাছে সময় শিখিয়েছে অনেক কিছু প্রতিনিয়ত বদলে যায় জীবনের সংজ্ঞা ফিরে পায় জীবন গানে, কবিতায় এবং উপন্যাসের উপসংহারে। আমার জায়গা হয় না কোথাও এবং…
একটি ঝর্ণা এবং আমি [নারগিস দোজা] একটা ঝর্ণা কেনার সখ ছিল খুব আমার বাস্তবে না হোক কল্পনাতেই মালিক হতাম তার । ঝর্ণা কেনা হয়নিকো আমার না স্বপ্নে না কল্পনায় । কারন একটাও স্বপ্ন আমি দেখিনি যেখানে ঝর্ণা বেচাকেনা হয়। হলে আমার সুন্দরতম কবিতাখানি মূল্যে দিতাম আর গোটাদুয়েক গল্পও সাথে দিতাম। ঝর্ণা আমার খুব পছন্দ কেন জান ওযে কোন বাঁধা মানে না নিয়মের শিকলে তাকে বাঁধা যায় না। কেবলি ঝরে পড়ে পড়তেই থাকে কারুর পরোয়া নেই যে তার! তাই একটা ঝর্ণা কিনতে চেয়েছিলাম যা হোত কেবলি আমার! হোক তা স্বপ্নে বা কল্পনায়! তার সান্নিধ্য তার মতই করে দিত আমায়। তারই মত…
LEFTOVER AFTER YOU Poem Caroline Laurent Turunc, France I don’t remember anything from you! much less than happiness a little smile.. I don’t know anything about that intoxicating happiness rising from yeast from putrid dough that increases the pain taste of flour on the palate But I remember very well the tip of the thorn and sun-scorched drops of blood dried tree leaves I don’t expect much from you in the name of happiness… Maybe from looking from where silence waits, Or my desire to be behind the footprints of the ants I know your shadow well You hugged lonely…
দূরের তারা (আখতার জাহান শেলী) ————- কী যে কখন কেমন করে কার কাছে স্মরণীয় হয়ে যায় , তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা প্রায়শই খুঁজে পাওয়া যায়না। জীবনের অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ,সময়,মুছে যায়।অথচ দু একটি অনুজ্জ্বল অধ্যায় টিম টিম করে জ্বলতে থাকা তারার মতো মানসপটে স্থান করে নেয় । বহুদিন পর কোনও অবসরে, প্রয়োজনে স্মৃতির পাতা উল্টালে দেখা যায়, ওইসব অনুজ্জ্বল অধ্যায় বিবর্ণ হয়নি মোটেও। আশ্চর্যজনকভাবে নিভে গেছে অনেক উজ্জ্বল দ্যুতিময়, বর্ণময় সুগন্ধি স্মৃতি, কিন্তু ওই অনুজ্জ্বল টিমটিমে স্মৃতিরা টিকে গেছে । ওরা জ্বলছে স্মৃতির আকাশে দূর আকাশের তারারই মতো। সেনবাগ – ঊনসত্তর , আমার যাপিত জীবনে রইলো অনুজ্জ্বল অথচ স্থির তারার…
