Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

উপন্যাস: ইলেভেন মিনিটস (১৮+ বই) মূল লেখক: পাওলো কোয়েলহো অনুবাদ: অনীশ দাস অপু। গ্রন্থালোচনায়: তসলিমা হাসান উপন্যাসটি মারিয়া নামক এক পতিতার জীবনকে কেন্দ্র করে লেখা। পতিতাবৃত্তি সমাজের নিষিদ্ধ পেশা হলেও এই বইয়ে মূলত পতিতা মারিয়ার জীবন কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নারী ভোগপণ্যের মত ব্যবহৃত হওয়ার সাথে পুরুষের প্রতি তার মনোভাবের যে পরিবর্তন হয় তা উপন্যাসের শুরুতেই পাওয়া যায়। অর্থের প্রয়োজনীয়তা, মোহ এবং পরিস্থিতির চাপে পড়ে মারিয়ার যৌনাচার ও পতিতাবৃত্তি বেছে নেয়া। পতিতাবৃত্তির মাঝেও যে নারীর হিংসা জেগে উঠে তা অত্যন্ত সুচারুভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে। নিজ দেশ থেকে দূরে পারি জমিয়ে পতিতাবৃত্তির মাঝেও এক পর্যায়ে ভালোবাসার সন্ধান করতে থাকে…

আরো পড়ুন

রাক্ষসী বন্যা (মৃত্যুঞ্জয় দাশ শেখর) ১৯-০৬-২০২২ ইংরেজি বলো একবার আর কত প্রাণ কেড়ে নিলে হবে তুমি ক্ষান্ত রাক্ষসী বন্যা, পশুপাখি মানুষ বুঝি তব অরাতি বৃষ্টির জন্য পাওনা দেখিতে মোদের কান্না। কখনও ঘনান্ধকারে কখনও দিনযৌবনে ভক্ষণ করো সাধের ঘরবাড়ি জমি, আকুতি মিনতিতে তব মন মজে না কি এমন শান্তি পাও বলো তুমি? গগণ পানে থাকিয়ে -ভাগ্যবিধাতার বলে সহ্য করতে পারিনা রাক্ষসীর এই যাতনা, অবলা প্রাণীর মরাকান্নার আর্তনাদ তুমি বুঝি শুনেও শুনতে পাওনা।

আরো পড়ুন

শ্রেষ্ঠ জান্নাত (মাহমুদা বেগম সিমু) দূরের আম গাছটিতে একটি পাখি চুপচাপ বসে চৈত্রের দুপুরে কি এতো ব্যথা ওর মনে? মনের ভীতরের অন্তর পাখিটাও কি যেন খোঁজে মনে পড়ে ফেলে আসা স্মৃতির পাতা মনে পড়ে প্রিয় বাবার কথা। এক বিবর্ণ ভোরে সংবাদ এসেছিল বাবার চলে যাওয়ার! নিঃস্ব হয়েছি সেদিনই আমি। হেরে যাওয়া সৈনিকের মতো বেঁচে আছি। বাবা ছিলেন বটগাছের মতোই , আজ বুঝতে পারছি,ডাল পালা আছে ঠিকই, কিন্তু শুধু বুকে জীবন্ত ক্ষত নিয়ে ঘুরছি। জীবনের চলমান মাটি থেকে উপড়ে গেছে শিকড় , তবুও মাটিতে মিশে আছে জীবন্ত স্মৃতির আঁচড়। আপন জগতে আপন কি কেউ আছে? হয়তো আছে,বাবার ভালোবাসাই নেই যে। আবার…

আরো পড়ুন

অসমাপ্ত গল্প (নাজনীন আক্তার মুন্নী) লাবন্য তুমি কেনো মাঝে মাঝে আমার উপর অভিমান করো বলো তো ! আমি তো তোমাকে বলেছি, আমাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হয় সারাদিন! আমি একজন চিকিৎসক! মানুষের জীবন মরন নিয়ে আমাকে সর্বদা ব্যস্ত থাকতে হয়! যার কারনে তোমার কোনো খোঁজ নিতে পারি না আমি। তারপর এখন চলছে যে পরিস্থিতি ! ইচ্ছে থাকলেও দুজনে পারছিনে দেখা করতে ! তবে দেখে নিও একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে! পৃথিবী আবারও তার স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসবে। তোমাকে দেখার যে আগ্রহ প্রতিটা মুহুর্তে আমি, আমরা অনুভব করছি, তা নিশ্চয়ই একদিন পুরণ হবে। বিধাতা নিশ্চয়ই এতটা নিষ্ঠুর নয়। নিশ্চয়ই একদিন আমাদের দেখা…

আরো পড়ুন

মেঘ বিকেলে নুসরাত রীপা একটা ময়লা বিকেল ঝুলে আছে নগরীর গায় দূরে এক বাড়ির ছাদে একা একা দোল খাচ্ছে বিরহী দোপাট্টা টেবিলে নিবিষ্ট বসে বিসিএস গাইড পড়ে বেকার তরুণ সামনের বাড়ির দোতলায় বিকেলটা দোল খায় মেঘ ভেজা করুণ বাতাসে আইল্যান্ড জুড়ে থাকা গাছের পাতায় পরিশ্রান্ত পা ঘরে ফিরতে উদ্গ্রীব,যানজটে কোলাহলে চুপসানো বেলুনের মতো স্বপ্নরা গুটিসুটি বুকের ভেতর ল্যাম্পপোস্টের গায়ে পানের পিক ছুঁড়ে দিয়ে কেউ কেউ হেঁটে যায় নির্বিকার দুমড়ানো মুচড়ানো মেঘ গুলো দিব্যি ঘুরে বেড়ায় বিষণ্ণ মুখে জানলায় দাঁড়িয়ে দেখি সেই বিষন্নতা এসে ভর করে আমার দুইচোখে।

আরো পড়ুন

তুমি কী আমার ছিলে (কামরুন নাহার কনক) তুমি কি আমার ছিলে? প্রভাতের সূর্যদয়ে অথবা তপ্ত রোদ্দুরে, গোধূলি লগ্নে অথবা ধূসর সন্ধ্যায়…? তুমি কি আমার ছিলে? আলো ক্ষীণ হয়ে আসা দৃষ্টির সীমানায়, অথবা ঝুপ করে নেমে আসা রাত্রির অন্ধকার মোহনায়…? তুমি কি আমার ছিলে? নিভু নিভু জোনাকির আলোয়, চাঁদের একাকীত্বের বেদনায় ঝলমলে কনক প্রভা জ্যোৎস্নায়, বল না, তুমি কখন আমার ছিলে…?

আরো পড়ুন

তোমার নামের মহিমা প্রভু (ডঃ গোপাল চন্দ্র মুখার্জী) তোমার নামের মহিমায় মগ্ন এ বিশ্ব – সে যেই হোক , রাজা কিংবা নিঃস্ব ! কেউ তো তোমার নামে ছেড়েছে সংসার ইতিহাসে আছে বহু প্রমাণ তার , কেউ কেউ ত্যাগে অন্ন জল – সুনাম ভজে অহরহ তোমারই নাম। তোমার তো সহস্র নাম -জপে সবে সহস্র উপায়ে নিজেকে উজাড় করে ,তুমি কী শুনতে পাও ! তোমার নাম নিয়ে লোকে শুরু করে কাজ – করে যাত্রা মঙ্গলের আশায় , করবে সর্ব জয় , তুমি তো জান সেটা – খুশি হয়ে করো পূর্ন তাদের মনোবাঞ্ছা ! জানো কি তুমি প্রভু , হে সর্বশক্তিমান – হে…

আরো পড়ুন

মিলনের সাতকাহন (কুসুম তাহেরা) কিংকর্তব‍্যবিমূঢ় তোমার খেয়ালিপনা শহর জুড়ে লাশের মিছিল প্রেমে বাড়ছে দেনা! পৃথিবীর বেদনা প্রেমের খরা ফুরিয়েছে মোমবাতি সন্ধ্যা আসিতে নির্জন নদী রোমাঞ্চিত জলধী! প্রেম কি জাগাবে সূর্যকে আজে ভোরে? পাথরের চেয়ে প্রাচিন ইচ্ছা ডুকরে কেঁদে ফেরে। জল জোছনার উশৃঙ্খল টেউ রাতের ময়ূরবাহন কৃষ্ণের সুরে বেজে ওঠে দেখো মিলনের সাতকাহন!

আরো পড়ুন

ঊষর জলের আলিঙ্গন [দিলু রোকিবা] ১৭/৬/২০২১ কোন এক পড়ন্ত বিকেলের পরিপাটি প্রদীপে নেমেছিল বৃষ্টি দৃষ্টির আলিঙ্গণে… যখন ছিলাম ভরা যৌবন প্রাপ্ত শৈশবের ফুল তোমার স্নেহভরা বুকে লুকানো ভালোবাসার মুক্ত দুটি মনের সম্মিলনে- কোনো এক বৃষ্টিভেজা বিকেলে বুকের জমিনে কমললতা প্রাঙ্গণে প্রশ্রয় দাও নি বলে আজও ভেজা হলো না। তোমার আদুরে যৌবনে কদম ফোটে প্রতি বর্ষায়, আমার পুষ্পিত প্রেমের শতদল থেকে একটা একটা করে মেঘমেদুর পাঁপড়ি খসে পড়ে তোমার পদ্মদীঘিতে। কোন এক দুরন্ত মন উচাটন বুকের ব্যালকনিতে মাতাল ময়ূরের কেকানৃত্যে, বর্ষা ঝরেছিলো মনে নেই? তবে যৌবন ফুটেছিলো সে বর্ষায়, নিশ্চিত হয়েছিলাম। শুনেছি..চোখে চোখ পড়লে, বুকে বিদ্যুৎ চমকায়! ভরা গাগরীর জলগোধুলীর পথে,…

আরো পড়ুন

বাবা’র আঙুল ।। এবিএম সোহেল রশিদ।। [বাবা দিবস] হিমালয় দেখিনি, বাবাকেও দেখিনি শুনেছি আগলে রাখে সমস্ত আয়োজন মিটায় প্রয়োজন, সামলায় ঝড়ঝাপটা— হিমালয় নাকি শাসন করে অস্থির আকাশ আর বাবা! খুব যত্নে রাখে তাঁর ‘পরিবার’ সহজে উজার করে দেয় নিজ জীবনটা। বাবা একদিন পূর্ণোদ্দমে মুক্তিযুদ্ধে ছায়াহীন আমরা, হলাম অপেক্ষানদী নোনা ঢেউয়ে ভিজে ওঠে চোখসৈকত— ছুঁয়ে দেখিনি বিসর্জনের জোয়ারভাটা জানি না কতটা আঘাতে ভাঙে বুক আত্মোৎসর্গে কী ছিল তাঁর অভিমত। . স্বাধীনতা পেলাম, হারালাম বাবার উত্তাপ স্নেহের আদরে ভেজা আর হলো না আমি যতবার ডাকি, মুখোমুখি মানচিত্র— স্মৃতির আকাশে মাখি ভালোবাসার রোদ জানি না ভালোবাসায় কিসের অবরোধ? বাবার রক্তে ঋদ্ধ মৃত্তিকা আদিগন্ত…

আরো পড়ুন