উপন্যাস: ইলেভেন মিনিটস (১৮+ বই)
মূল লেখক: পাওলো কোয়েলহো
অনুবাদ: অনীশ দাস অপু।
গ্রন্থালোচনায়: তসলিমা হাসান
উপন্যাসটি মারিয়া নামক এক পতিতার জীবনকে কেন্দ্র করে লেখা। পতিতাবৃত্তি সমাজের নিষিদ্ধ পেশা হলেও এই বইয়ে মূলত পতিতা মারিয়ার জীবন কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নারী ভোগপণ্যের মত ব্যবহৃত হওয়ার সাথে পুরুষের প্রতি তার মনোভাবের যে পরিবর্তন হয় তা উপন্যাসের শুরুতেই পাওয়া যায়। অর্থের প্রয়োজনীয়তা, মোহ এবং পরিস্থিতির চাপে পড়ে মারিয়ার যৌনাচার ও পতিতাবৃত্তি বেছে নেয়া। পতিতাবৃত্তির মাঝেও যে নারীর হিংসা জেগে উঠে তা অত্যন্ত সুচারুভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে। নিজ দেশ থেকে দূরে পারি জমিয়ে পতিতাবৃত্তির মাঝেও এক পর্যায়ে ভালোবাসার সন্ধান করতে থাকে মারিয়া। এক চিত্রশিল্পীর প্রেমও চলে আসে তার জীবনে। একজন নারীর স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, জানার আগ্রহ, পৃথিবীকে জানার অভিপ্রায়, নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে করতে ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া এবং সেই অনুভূতির মুখোমুখি হওয়া। সর্বপরি একজন নারীর জীবন কাহিনীকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে “ইলেভেন মিনিটস”-এ। প্রতিটি নারীরই এই বই পড়া উচিত।
নারী হিসেবে নয়, একজন মানুষের গল্পকেই এখানে মোহনীয় রূপে বর্ননা করা হয়েছে।
একবার চলন্ত বাসে জানালার পাশে বসে এই বই পড়তে ছিলাম। সামনের স্টপেজ থেকে ঐ বাসে চড়ে এক আপু আমার পাশের সিটে বসে। বইয়ে তখন পুরো মগ্ন হয়ে গিয়েছি। তবুও জোর করে বই বন্ধ করতে হয়েছে।
ট্রেনেও অন্যদের সামনে ইলেভেন মিনিটস পড়তে যেয়ে অস্বস্থিকর অবস্থায় পড়ে বই বন্ধ করতে হয়েছে। বইটি নির্জনে পাঠ করাই শ্রেয়।
তসলিমা হাসান
কানাডা: ১৯-০২-২০২২
১ Comment
Congratulations