Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

তুমি যদি চাও তুমি যদি চাও আকাশ হবো ভেজা জোছনায় স্নান করবো তুমি যদি চাও দিগন্ত হবো মেঘপালকে সাঁতার দেবো তুমি যদি চাও জলরাশি হবো বিন্দু বিন্দু প্রেম দেবো তুমি যদি চাও ফুল হবো তোমার শ্বাসে ঘ্রাণ দেব তুমি যদি চাও অনুভূতি হবো তোমার মনের খোরাক দেব তুমি যদি চাও তারা হবো আঁধার রাতে পথ দেখাবো তুমি যদি চাও বাইজী হবো যুবতীর নাচে প্রাণ জুরাবো তুমি যদি চাও বাঁশি হবো তোমার সুরেই সুর দেবো তুমি যদি চাও হারিয়েও যাবো না ফেরার দেশে পথ হারাবো। একান্ত কথন কত যে দিন গিয়েছে কেটে অন্ধকারে একা আমার দূয়ারে এসেছে ভোর পাইনি তোমার…

আরো পড়ুন

কারোরই ছিলাম না আমি কোনো দিন ।। জাহানারা বুলা।। ( পর্ব -১) অনন্যা নরওয়ে ছেড়ে এসেছে প্রায় ছ’বছর। তবুও, তার শরীর মন জুড়ে লেপটে আছে সেখানকার জলবায়ু। মোসেসের পবিত্র অবয়বের আদলে একটি অবয়ব। আর, সেই দেহের উষ্ণ অনুভব। জীবনের অনেক ঘটে যাওয়া ঘটনাকেই ভুলে গেছে সে, ভুলতে পারছে না যা তা হলো নরওয়ের সেই বাড়ি আর বাড়ির সকাল, দুপুর, রাত। নরওয়ে তার মনের সাদা বোর্ডে কালো মার্কারের দাগের মত স্পষ্ট হয়ে জেগে আছে। এর কারণ, রজত এবং তার বাড়ি। দু’য়ে মিলে যেন এক সৌম্য সুখ রচনা করে দিয়েছিলো অনন্যার মনে। এই তো আজ ভোরেও, বিছানায় শুয়ে থেকে অনন্যা ফ্ল্যাশব্যাকে। মনে…

আরো পড়ুন

আকাশের চাঁদ (ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান) আকাশের চাঁদ দেখে খুকু আজ ছড়া লেখে চাঁদ মামা চিকনা ঐ দেখো ঠিক না? ঠিক যদি বলে থাকি আয় করি মাখামাখি কোলাকুলি করব লাল জামা পরব। লাল জামা, নীল জামা দেয় বাবা, দেয় মামা… যাব মামা বাড়িতে চড়ে রেলগাড়িতে। রেলগাড়ি ঝিকঝিক ঈদ এলো ঠিক ঠিক রেলগাড়ি ছুটেছে… আঁখিঘুম টুটেছে। ঈদ এলো! ঈদ এলো… মনে খুব খুশি পেলো ঈদ মানে সমতা ঈদ মানে মমতা। ——————— ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক এয়ারপোর্ট, সিলেট।

আরো পড়ুন

তোমরা করে দিয়েছো বদনাম যে এক পবিত্র প্রেম ভালোবাসার মমতায় জড়িয়ে মানুষ বেঁচে থাকে সেখানে অহমিকা এনে তোমরা করে দিয়েছো বদনাম যে বিশ্বাসের বুনিয়াদ নিয়ে তৈরি হয় ভরসার ঘর সেখানে সন্দেহের বীজ বুনে তোমরা করে দিয়েছো বদনাম যে প্রেমে হৃদয় দিয়ে স্বপ্ন গেথে দুজন হয় আপন সেখানে অভিসারের নেশায় তোমরা করে দিয়েছো বদনাম যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তিলে তিলে গড়ে ওঠে সুখের নীড় সেখানে অধৈর্য অবহেলা তিরস্কারে তোমরা করে দিয়েছো বদনাম যে হৃদয়ের গভীরতার স্পর্শে দুজনের হয় মিলন সেখানে স্বার্থ লোভ আর তাচ্ছিল্য তোমরা করে দিয়েছো বদনাম তুমি আসবে আর ভালোবাসবে হোক না সেটা বৃষ্টিভেজা কোন প্রহরে যেখানে একগুচ্ছ কদম…

আরো পড়ুন

মনে পড়ে (মাহাবুবা বিথী) আষাঢ়ের বাদল দিনের প্রথম প্রহরে ঘনঘোর বরিষণে, হৃদয়ের করিডোরে ভালবাসার আকাশে বিরহের পাল উড়িয়ে, তোর কথা বড্ডো মনে পড়ে যায়। তুই হয়তো এখন ডুবে আছিস অফিসের ল্যাপটপে কিংবা মেসেন্জারের ইনবক্সের ব্যস্ত সময়। বৃষ্টির শহরের ঠান্ডা হাওয়ায়, এক কাপ গরম কফি হাতে ভিজতে মন চায় তোর সাথে। কি এক নিরব অভিমানে, আমার অপেক্ষাগুলো তোর কাছে আজকাল উপেক্ষিত হয়ে রয়। চাতক যেমন খুঁজে ফিরে জলের উৎসভূমি, মহাকালের স্রোতে, আমিও হাতড়ে বেড়াই তোর ইপ্সিতো ভালবাসার রাগিনী। স্মৃতির জোৎস্নায়, আমাদের ছেলেবেলায়, রাস্তা ভূলে যাবার ছলে বর্ষাতি গুটিয়ে রেখে হুড খোলা রিকশায় ভিজতাম দুজনায়। তারপর,পথের ধারে টং দোকানে, গরম চায়ের উষ্ণতায়,…

আরো পড়ুন

পুনরাবৃত্তি (ফারহানা হ্যাপি তাসমিন) সন্ধ্যার ধূসর রঙ টাও আঁধারে বিলীন হয় গোধূলির রঙেও নামে আঁধার। জীবনের নিষ্ঠুর আহুতি জীবনের আনাচে কানাচে কতো শত মায়ার বন্ধন ছিন্ন হয়। সজ্জিত গৃহ অবহেলায় হয় মলিন শক্তির দেয়াল ফেটে চৌচির গৃহ থাকলেও আশ্রয় মেলেনা সবার। প্রলয় যখন বয়ে যায় , তখন সে চেয়েও দেখেনা একটি বৃক্ষের বৃক্ষ হয়ে ওঠার পিছনে কতো শতো ক্ষতোর চিহ্ন নিয়েই শেষ পর্যন্ত বৃক্ষ হয়েছিলো সে সবুজের গল্পে ভুলেছিলো যে জন্মে‌র কষ্ট। প্রলয়ের তান্ডবে যতো ফুল ঝরে পড়েছিলো একটি ফুল মিটিমিটি হেসেছিলো সেদিন জল কাঁদার মাখামাখি দেখে সখ্য করেছিলো জল কাঁদার স্যাতস্যাতে গল্পের সাথে মনে পড়ে একটি ফুল থেকে বৃক্ষ…

আরো পড়ুন

বাবার সেই সাইকেলের বেলের শব্দ (মিমি মাহজাবিন) শেষ বিকেলের সূর্যালোকের আলাদা একটা নেশা আছে। আজ এতটা বছর পর ফিরছি সেই নেশায়। ছোট্ট বেলায় দিবসের শেষ প্রহরে যখন পুতুল বৌ খেলতাম তখন সাইকেলের টুং টং শব্দ মনের মাঝে আলাদা একটা ভালোলাগা তৈরি করতো। কোনোকিছুই না ভেবে দৌড় লাগাতাম সেই টুং টাং শব্দকে লক্ষ্য করে। হ‍‍্যাঁ সারাদিন পর বাবা এসেছে আমার। ঠিক এই সময় প্রতিদিনই আমার কাছে ঈদের খুশির মতো ছিলো। প্রতিটা দিনশেষে অপেক্ষায় থাকতাম কখন সেই কাংক্ষিত সাইকেলের বেলটা শুনবো। আর ছুটির দিনগুলোতে বাবার সাথে চলতো পুকুরে ডুব সাঁতারের খেলা। যখন স্কুলে ভালো রেজাল্ট করতাম মেধা তালিকায় আমার নাম দেখে বাবা…

আরো পড়ুন

আজ তোমার চিঠি পেলাম আজ বিকেলে চিঠি এলো হলুদ খামে মেঘের ডানায় চেপে বড় বড় অক্ষরে লেখা “ভালোবাসি,খুব ভালোবাসি।” বাইরে জলের শব্দ মনের মধ্যে আষাঢ় হাতে আমার হলুদ খাম আদ্র নীল ভালোবাসায়। শেষ বিকেলের হিমেল হাওয়া উড়িয়ে দিলো ধূলো বিষাদগুলো হারিয়ে গেলো ছড়িয়ে পড়লো আলো। চার অক্ষরের একটি শব্দ ভাসিয়ে নিলো মন খারাপের দিন। আষাঢ় এলো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো হলুদ খামে চিঠি এলো অবেলায় বড় অবেলায় মনের মধ্যে উথাল পাথাল জেগে উঠলো কৌমুদী প্রেম! বৃষ্টি বিলাস আমি বৃষ্টি বিলাসী মানুষ যেকোনো বৃষ্টিভেজা বিকেলে, গোধূলি বেলায় দিন শেষে ক্লান্ত দেহে, পাশ কাটিয়ে দূরে রাাখি আটপৌরে জীবন সরিয়ে দেই মনের…

আরো পড়ুন

বর্ষা এলো (মীর আহাদ আলী) টিনের চালে মধ্যরাতে টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ে বজ্রপাতে হৃদয় কাঁদে ! মা জড়ায় সন্তান বুকের মাঝে। বাবা ছুটে ছাতা হাতে; গোয়াল ঘরে গরু আছে । ভোরের আলোয় নয়ন মাঝে, উলট পালট চারিদিকে । বিদ্যুতের তার রাস্তার মাঝে ! বর্ষা এলো বর্ষা এলো, মাঠ-ঘাট প্লাবিত হল ঘর ডুবিলো পানির মাঝে; মানুষ বসা ঘরের চালে । মানুষ অসহায় মানুষ থাকতে ! ক্ষমতাবান বধির !মুখ ফিরিয়ে নয়ন মুছে ! সবুজে ঘেরা সোনার বাংলায় আমরাই উত্তম, আমরা শান্ত ;সময়ে তীব্র হিংস্র । শান্তিপ্রিয় (মুহাম্মদ (স:) অনুসারী । দুর্ভিক্ষ আসুক, প্রাণ নেওয়া মহামারী ভয় কি, হৃদয় নয়তো কলুষিত । জলে…

আরো পড়ুন

আমার শৈশব স্মৃতি (দিল আফরোজ রিমা) ১ম পর্ব শৈশব স্মৃতির কথা বলতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে আমার সবুজ গ্রাম, দাদা-দাদি, চাচা-ফুপু, মা – বাবা, ভাই-বোনের কলকাকলীতে মূখর আমাদের গ্রামের বাড়ি। আমাদের বাড়ি আমার স্মৃতির পাতায় আমার হৃদয় দড়জায় এক ভালবাসার স্বর্ণ মন্দির। ফুল ও ফলের গাছে ছায়াঘেরা ছিল সুবিশাল বাড়িটা। দক্ষিণ মুখো বাড়িটার সামনেই ছিল অবারিত সবুজ শষ্যের মাঠ। বাড়িতে বেশ কিছু ঘর ছিল। আমার দাদা-দাদীর ঘরটি ছিল সবচেয়ে বড় আর সুন্দর। শানবাঁধানো লাল রঙের বারান্দার নিচে ছিল বড়ো বড়ো সিঁড়ি। সিঁড়ির দু’পাশে বসার জায়গা। সকাল বিকাল ওখানটাতেই জটলা হতো, গল্প হতো। সেই বারান্দাটা আমার মনে এক বিশাল জায়গা জুড়ে…

আরো পড়ুন