Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

গুরুত্ব জান্নাতুল মেহেকা মুন্নি  আচ্ছা আবার যদি দাঙ্গা বাঁধতো, ইংরেজরা এদেশ শাসন করতো। শেখ মুজিবের মত এমন নেতা, এ বাঙালির যদি আবার প্রয়োজন হতো। তবে কি নিন্দা করা বাঙালিগুলো জাতির পিতার মর্ম বুঝতো? সত্যিই যদি যুদ্ধ হতো, হারিয়ে যাওয়া ঐক্য ফিরিয়ে আনতে। বঙ্গবন্ধুর এবারের সংগ্রাম,স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম ,মুক্তির সংগ্রাম। তেজে ভরা সেই মহান ভাষণ প্রয়োজন হতো। আচ্ছা নিন্দা করা মানুষগুলো কি বঙ্গবন্ধুর গুরুত্ব বুঝতো ? যুদ্ধ করার উৎসাহ দেওয়ায় কারো নামে যদি মামলা হতো, ইংরেজদের কারাগারে যদি কাউকে যাবজ্জীবন থাকা লাগতো। তখন যদি স্বার্থপর এই বাঙালি জাতি , স্বার্থের টানে পালিয়ে যেত। আচ্ছা নিন্দা করা মানুষগুলো কি তখন বঙ্গবন্ধুর…

আরো পড়ুন

হৃদয় মন যদি হয় সহজ সরল [ মোঃ মাহবুবুল আলম মহববত ] হৃদয় মন যদি হয় সহজ সরল সংসার জীবনে, সুখের অভাব নাহি হয় খুদ্র পাওয়ার মাঝেও এ ভুবনে। ভালোবাসে যে ছোট কি বড় নাহি করি ভেদাভেদ, সেইতো প্রেমিক সেই তো বড় ভাগ‍্যবান স্রষ্টার আবেদ। সে তো নিরঅহংকার এক মানব এ জগৎ সংসারে, সবাই বাসে ভালো অন্তরের নিগুড় মমতা দিয়ে তারে। তবে এ যে বড় কঠিন কর্ম হওয়া নিরঅহংকারী, সম্ভব তবুও যদি হয় মন নিঃস্বার্থ পরোপকারী। যদি থাকে স্বার্থের বিনিময়ে স্বার্থ পাওয়ার আশা, সেখানে থাকেনা কখনও প্রকৃত পরম ভালোবাসা। দুদিনের এ ভৃবন মাঝে সকাল দুপুর সাঝে, সহসা হৃদয় মাঝে কোন…

আরো পড়ুন

জারুল গাছের ছায়া (আখতার জাহান শেলী) মাথার ওপর ভাদ্রের নীল আকাশটা সাদা সাদা বিশাল তুলোর ডাই ভাসা নীল জমিন নিয়ে মনের মধ্যে অনন্ত মুগ্ধতা ছড়ায়। ষাটোর্ধ মিথিলা রহমানের সারা অবয়বে প্রশান্তির ছাপ। ফিনফিনে হাওয়ার মোলায়েম আঁচল চোখেমুখে যেন জননীর আদরের স্পর্শ রাখে। জননীর আদর? একটা প্রশ্ন উচ্চকিত হয় মনের মধ্যে। জননীর আদর সুলভ, বিশাল স্বার্থগন্ধহীন। জন্মসূত্রে চারপাশে অবস্থিত পরিবেশ প্রতিবেশ থেকে শুনেছেন, জেনেছেন, দেখেছেন। নাড়িছেঁড়া আত্মজের কাছে সবচেয়ে স্বার্থগন্ধ হীন প্রত্যাশাহীন বেহেশতী চিজ জননীর স্নেহ। যেটা তাঁর নিজের কাছে অপর্যাপ্ত পরিমানে বহমান তাঁর দুই কন্যা, তিনপুত্রের জন্য। আস্তে আস্তে সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠতে থাকেন দোতলার দিকে। যেতে যেতেই চোখে পড়ে একতলার…

আরো পড়ুন

আসবে সুদিন (পূর্ণ দে ) তোমার ওপর আছে আমার অগাধ বিশ্বাস সেই বিশ্বাসে ভর করে নিশ্চিতে ঘুমাই রাত, যদিও এখনও অনেক পথ আছে বাকি আছে হায়নার হিংস্র সন্ধানী চোখের দূষ্টি তবুও তুমি বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ঠিক পৌঁছে যাবে গন্তব্যে…. যারা জীবনের পরিহাসকে ভাবে নিয়তি যারা বঞ্চিত-শোষিত-শুধুই লাঞ্ছিত…. বিচার চাওয়ার দেখাতে পারে না সাহস তারা একদিন পাবে উপযুক্ত সুবিচার, যারা অন্ধ সেজে বসে আছে আজ তারা চোখের দৃষ্টি ফিরে পাবে আবার যারা হয়ে গেছে সব দেখে শুনে একেবারে বোবা তাদের মুখেও নতুন করে ফুটবে ভাষা, আর যে মেয়ে সমাজের লোকলজ্জার ভয়ে মুখ লুকিয়ে কাঁদে নির্জন অন্ধকারে চোখে চোখ রেখে গর্জে উঠবে…

আরো পড়ুন

ছন্দ পতন [ পারভীন আকতার ] জীবনের সুখগুলো এক কোণে রেখে, দুঃখের সরব নদী বয়ে যায় অন্যদিকে বেঁকে। তিরিশের আগে যে ভাবনা হৃদয়ে আঁকা ছিল, আজি তা যাতনায় ভরা শোক এনে দিল। পান্থপথে বারবার তাকাই কোথা সে পথিক! অঙ্গে রূপে ক্ষুধার রাজ্যে চায় না এদিকসেদিক। তালগোল পাকিয়ে চলে যায় সে নিজ ভূবনে, পেছনের জন অবাক তারই দৃশ্য অবলোকনে। ভালোবাসা পাওয়ার লোভ সামলানো কঠিন, একটু যত্ন নেয়ার আকুতি বড়ই যাদুকরী সমীচীন। পথে ফেলে যায় সে যে কিসের নেশার ঘুরে ডাকে, ফের চলে যায় ব্যস্ত নগরে ভুলে বেমালুম তাকে। জীবনের ছন্দ পতন এমনি ক্ষুদ্র বিশ্বাস জলে যায়, বোবা কান্না পরশ বুলায় তব…

আরো পড়ুন

রবিবারের প্রত্যুষে ।।সায়কা মাহমুদ। তুমি কি দাড়ায়ে? এখোনো দাড়ায়ে? নায়াগ্রার ওপারে নাকি এপারে—– খরস্রোতে ভেসে যায় চোখ দেখিতে পাইনা তোমারে। তুমি কি আছো?এখনো কি আছো? নিশব্দের আলিঙ্গনে? শীতল জমাট আঁধারে বাঁধে প্রবালের কঠিন শৃংখল। উড়িয়ে ছিলে কি ঘুড়ি? সেই ঘুড়িটা? নীল আকাশের চাদরে—– যার বুকে আমি প্রজাপতি রং ছড়িয়ে ছিলাম আষাঢ়ে ধুয়ে মুছে গেছে সব খুলেছে শৃংখল সরব আলিঙ্গনে এখন ও কি আমায় মনে পড়ে তোমার রোদ বৃষ্টি ঝড়ে? সায়কা মাহমুদ। প্যারিশ।

আরো পড়ুন

অনিবার্য সময় ।। জাহানারা বুলা।। এক অঞ্জলি মুখাবয়ব পান করে চলে গেলে এর পর আর কোনো দেখা নেই ভালোবাসার শাস্তিও আছে এই যে তুমি দিচ্ছ আমার দু’চোখ ভিজে ওঠা প্রেম কি তুমি দেখছো? তোমাকে কেন বুঝে উঠতে পারিনি কোনোদিন তাই তো অস্থিরতার যতো কথায় তোমাকে আঘাত করি আমার স্বভাব মূলত কোমল- যখন তুমি এবং আমি একান্ত হয়ে কাছে থাকি নাহয় উত্তপ্ত সূর্য- পুড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে অসহ্য অবহেলাগুলো সব। আজকাল বেশ বিষয়বুদ্ধি হয়েছে তোমার ওই কারণে বুঝি তোমার কাছে আমি ধোঁয়াশার মত ধুধু প্রান্তর? অথচ তুমি শিশিরের জলে ভিজে- ভালোবাসার নরম অনুভব করেছিলে একদিন তোমার সেই সিক্ত সবুজ ঘাস ভোরের…

আরো পড়ুন

লোডশেডিং সমাচার (সাজেদা পারভীন) যাক্ না? সারাদিনে দু একবার ইলেকট্রিসিটি চলে যাওয়া সে কোন ব্যাপার না। যদি আমি সেটিকে পজিটিভলি নিতে শিখি। রাতে চলে যাবে দু এক ঘন্টার জন্য? মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে অনেকের। কিন্তু আমার তা হয় না। আমি খুব পজিটিভলি সেটি নিতে পারি। তখন বেশি বেশি মনে পড়ে শৈশবের কথা। একটা সময় বিদ্যুৎ মামা এতটা এভেইলেবল ছিল না। তারপরও দিন চলে গেছে। আমি বলবো খুব ভালোভাবেই গিয়েছে। রাতে বিদ্যুৎ মামার চলে যাওয়া মানেই মজার শুরু বিশেষ করে আমাদের ছেলেবেলায় তাইই মনে হতো। কত দৌড়াদৌড়ি করেছি, কত রকমের খেলা খেলেছি,হেসে কুটিকুটি হয়েছি। কারেন্টের অবাধ আসা যাওয়া থেকেই চাঁদকে ভালোবেসে…

আরো পড়ুন

সম্প‍্রীতিই ধর্মের সার। ।।ম.আ.কুদ্দুস পদ্মা।। পর বিশ্বাসে আঘাত মানবতা বিরোধী মতবাদ সম্প্রীতিই ধর্মের সার মনুষ‍্যের শ্রেষ্ঠ পথ। পর মত সহিষ্ণুতায় বাড়ায় নিজ ধর্মের ধর্ম গৌরব, মহিয়ান মহত্ব। ঠেলাঠেলিতে কি গৈরব? কোথায় রয় মানুষের মনুষ‍্যত্ব? সবাই সকলের তরে মিলিয়া মিশিয়া আমরা ভাই ভাই একই জাত জ্ঞ‍্যাতি মোরা, নাই ভেদাভেদ কিছু নাই। জাত অভিজাত থাকেনা লেখা গায়ে প্রকাশমান তাহা আচার ব‍্যাবহারে। কালো ধলো ছোট বড় সবারই ধমনীতে বয় লাল একই রক্ত কেনইবা জাতপাত লড়াইয়ের বিষাদ কুরুক্ষেত্র । ধর্ম বর্ণ ভাষা দেশ ভিন্ন ভিন্ন, অভিন্ন নহে জীবন মৃত‍্যু শাশ্বত ধনি গরীব শুদ্র ক্ষুদ্র অচ্ছুৎ সবারই অন্তিম ঠিকানার মানে একই তো! পরশ্রী পরনিন্দা মন্দ…

আরো পড়ুন

কন্যাদায় [ ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান ] মেয়ের বাবা হয়ে মহাবিপদে পড়েছেন ইকরাম সাহেব। বিপদে পড়াটাই স্বাভাবিক। অষ্টাদশী শিক্ষিত রূপবতী মেয়ের বাবা। প্রতিদিন ঘটকরা এসে ঘোরঘোর করে বিভিন্ন পাত্রের ছবি আর বায়োডাটা নিয়ে। তিনি যতই বলেন, এখনই মেয়ের বিয়ের কথা ভাবছেন না। নাছোড়বান্দা ঘটকরা তার পিছু ছাড়ছে না। একটার পর একটা পান চিবিয়ে মিষ্টিমুখে বলবে, অমুক ছেলে শিক্ষিত সুদর্শন। তমুক পাত্র বড়লোক বাবার একমাত্র ছেলে। এই ছেলের চৌদ্দগোষ্ঠি লন্ডন আমেরিকায়। সেই ছেলে বড় চাকুরী করে। এমন ভালো-ভালো পাত্রের ঢাকঢোল প্রায়ই পিটিয়ে যায় ঘটকবাহিনী। ঘটকবাহিনীর ঢাকঢোল ইকরাম সাহেব কানে ঠাঁই না দিলেও অন্তরি বেগমের কান ঠিকই ভারী করে তুলেছে। ভারী হওয়াটাই স্বাভাবিক।…

আরো পড়ুন