Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

অনিমেষ শাহনাজ পারভীন আমি তাকিয়ে দেখি কালো মেঘ তবুও বারবার খুঁজি জোছনার আলো, আছি তো বেশ ভালো! তবুও ভূগোল ম্যাপ দেখি অজস্র নাই আমার কোন যন্ত্র মন্ত্র। বেহায়াপনা মন সামলাতে সারাক্ষণ এতো অস্থির তোলপাড় যখন তখন তবুও আশায় আশ্রয় খুঁজতে থাকি সর্বক্ষণ। অতৃপ্ত রসনার কথা হবেনা কারও কাছে শেষ, নির্লজ্জা আত্মার অভিপ্রায় ও ক্ষণিকের জন্য দেখি অনিমেষ। তবুও আছি তো বেশ ভালো! দেখি অন্ধরাতে ঝাপসা চোখের কোনে এক রত্তি আলো,, তাই দেখতে পাই না কোন কালো। আমি বড্ডই বেশি দেখি ঐ নীল আকাশ বারবার ছুঁয়ে দেয় নিরবে আমায় ঐ বাতাস। কিন্তু,,,, নিরব আওয়াজ দেহ খানি করে জরাজীর্ণ বুঝতে পারি শব্দটা…

আরো পড়ুন

আমার এলোমেলো ভাবনা যয়া খান মুষলধারায় বৃষ্টি চারিদিকে নিকষ কালো অন্ধকার। চলছি আমি একা আমার গন্তব্য পথে। ভিষনভাবে অনুভব করছি তোমার অনুপস্থিতি। যদি থাকতে পাশে কেটে যেতো সময়গুলো গানের সুরে , কবিতার চরণে অথবা বৃষ্টির শব্দতরঙ্গে । এখনও অনেক টা পথ বাকি… কি করছো তুমি ? যদিও তোমার প্রতিদিনের রোজনামচা আমার মুখস্থ। আমার মত তুমিও কি ভাবছো ? প্রতিটি বৃষ্টি কণার পতিত শব্দের তালে তালে তোমার কন্ঠস্বর ভেসে আসছে আমার কানে, স্মৃতিগুলো রঙের ছোঁয়ায় ভেসে উঠছে আমার দৃষ্টির ক্যানভাসে। নিকষ কাল অন্ধকার পড়ছে বারবার তোমায় মনে। বড্ড ইচ্ছে হচ্ছে তোমার হাতে হাত রেখে অবিরাম পথ চলতে, চোখে চোখ রেখে মনের…

আরো পড়ুন

পাষাণ পৃথিবী ফিরোজ পাটওয়ারী পাষাণ পৃথিবীতে ক্ষণজন্মা হয়ে পেয়েছি অনেক কিছু, বুঝতে পেরেছি আজব জগৎ’টি বড্ড উঁচু-নিচু! এখানে মানুষ ভালবাসা বিকিয়ে দুঃখটাকেই কেনে, প্রয়োজনের তাগিদে আপন হওয়া মানুষদেরকেই চেনে! এখানে মানুষ দুঃখ-দুর্দিনে যাঁদেরকে কাছে পায়, স্বার্থান্বেষী মনগহীণে আবার তাদেরকেই ভুলে যায়! এখানে মানুষ বড়ই নিঠুর রয়না মনে পিছুদিন, তবুও মানুষ তোমাদের তরে রইল আমার অনেক ঋণ! জন্মেছি আমি তোমাদের জন্য লুটে-পুটে খেয়ে নিও, বিনিময় তেমন চাইবনা কিছু কষাঘাত’টা একটু দিও! ক্ষমা করবে জানি নিশ্চিত যদি থাকে অজ্ঞতা কিছু, ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতাসহ অনুরোধ নিয়ে ঘুরছি তব পিছু!

আরো পড়ুন

একান্তই আমার আমি আয়শা সাথী সব কিছুর উর্ধ্বে, নিজেকে ভালবাস; অযাচিত কামনায় পিষ্টে হৃদাসনটা, যে অন্ধকার অমানিশায় আচ্ছন্ন কর- প্রতি সূর্যজ্বলা দিবস বেলায়, সেথায় আলোর বিচ্ছুরণের অন্বেষণ অনন্তকাল নিজের উপরই অর্পিত হোক! সুপ্রিয়া’র বয়ে আনা আলোক বার্তা, হয়তো নব অনুপ্রেরণায় অনুরক্ত করতো, হয়তো মুছে দিত কলুষিত বিষণ্ণতাগুলো, হয়তো কোন এক প্রত্যাশিত কালিসাঁঝে- কেউ একমুঠো জোনাকি আলোয় রাঙাতে অপেক্ষার প্রহর গুনতো তেপান্তরের ঘাটে! সেটা যখন বিধির লিপিতে দুষ্প্রাপ্য, তবে থাক না লক্ষ-কোটি আলোকবর্ষ দূরে। যা একান্তই নিজের করে পাওয়া হয়নি, তা না হয় না পাওয়াই থাক! তোমার তরে তুমি তো রইলে! তোমার দিগন্ত বিস্তৃত বিরানভূমি, তারকারাজি সজ্জিত অসীম আকাশ, নতুবা জোনাকি…

আরো পড়ুন

জলরঙ সাঈদা সানজিদা মেঘে-মেঘে চলো ঢাকি আকাশের রঙ আঁধার গগনে বাঁধি যাপিত জীবন খুব ভোরে ঝুপ করে নামি চলো জলে জলরঙে রাঙা হবো কায়ার কাঁপনে রঙে-রঙে মাখামাখি হয়ে একাকার মায়াবী নেশার ঘোরে জাগে শীৎকার। ঠোঁট আর ললাটের সন্ধি যখন কপোলেও দিও এঁকে তিল চুম্বন। মেঘ হয়ে ভেসে যাও আকাশের গায়! বহে নদী কলকল বৃষ্টির আশায়! নিজেরে বুঝতে তবে এতো কেন দেরি! আকাশ সাজাতে গড়ো মেঘ মঞ্জরি জলরঙে রাঙাও আজ মেঘেদের রঙ রঙের ছটায় দাও তুলির আঁচড়।

আরো পড়ুন

নিউইয়র্ক-ফেরৎ দার্শনিক ড. সলিমুল্লাহ খানের প্রিয়দিন-জন্মদিনে, সাবেক স্ত্রী তসলিমা মুনে’র কলমে দাম্পত্যের দাগগুলো: সালেম সুলেরী তিনি প্রবল-পান্ডিত্যে মুখর বাংলাদেশের বিরলপ্রজ দার্শনিক। অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান– যিনি স্বনামে সুপরিচিত। প্রকাশনা, টক-শো, স্পষ্টবাদিতা আর যথাস্থানে যথা-কোটেশন প্রদান..। ড. সলিমুল্লাহকে এনে দিয়েছে ‘বিশ্ববাঙালির’ খ্যাতি। জন্ম ১৯৫৮-এর ১৮ আগস্ট, কক্সবাজারের দ্বীপভূমি মহেষখালিতে। সে বিবেচনায় সলিমুল্লাহ খান একজন ‘সমুদ্রসন্তান’ও। আমি জীবনচক্রে বৃহত্তর রংপুর থেকে ঢাকায় থিত হই ১৯৮১-তে। সে বছর দুটো বই বেরোয় সলিমুল্লাহ খানের। প্রথম কাব্যগ্রন্থ : ‘এক আকাশের স্বপ্ন’। প্রবন্ধগ্রন্থ : ‘বাংলাদেশ : স্টেট অব দ্যা নেশন’। এ-নামটি নিয়েছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাকের উদ্ধৃতি থেকে। আলোচনা লিখেছিলেন প্রথাবিরোধী বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফা। ড.…

আরো পড়ুন

প্রাক্তন ড. নজরুল ইসলাম খান আমারও একজন প্রাক্তন ছিল! প্রাক্তন-এর সাথে সবার কি যোগাযোগ থাকে? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে-নাকি যোগাযোগ হয় হৃদয়ে হদয়ে! তাকে কি ভুলে থাকা যায়? নাকি সে থাকে পরানে পরানে! তাকে কি চিঠি লেখা যায়? নাকি তাকে নিয়ে কাব্য লেখা হয়! প্রাক্তন কে নিয়ে কেউ আলোচনা করে কেউ বা করে গোপন যাকে ভালোবেসে কবিতা লেখা যায় উপন্যাস রচনা হয় সেই-তো আপন। আমারও একজন প্রাক্তন ছিল! যে থাকে হাজার মাইল দূরে অথচ প্রতিক্ষণ আছে মনের আনাচে-কানাচে কোনো যোগাযোগ নেই তবুও কেন জানি তার সবকিছু জানা থাকে সারাদিন কখন কি করে তাও বলে দেয়া যায়- ঈদ-পার্বনে কি ড্রেস…

আরো পড়ুন

তোমাকে ভালোবাসি রুবী শামসুন নাহার আমার সারাটা সকাল আর বিকেলের প্রতীক্ষা তোমাকে ঘিরে, ব্যস্ততা নেই আগের মতো,কাজের চাপও কমে গেছে, তাই হয়তো তোমাকেই ভাবি,এরকমটা নয়, তোমাকে চাই বলেই ভালোবাসার ইষ্টনাম জপা- তোমার পথ চাইতে চাইতে নেমে আসছে দু’চোখে অজানা অমাবস্যা। তোমাকে ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে মাঝে মাঝেই জাগে, ইচ্ছেগুলো কঠিন বরফের তলে জমিয়ে রাখি। প্রতিদিন ফোন আর ভালোবাসায় ভরে থাকে মেসেনজার, বুক পকেটে একজনকে রেখে আর একজনকে খোঁজা ওদের। বুঝিনা সমাজ, সংষ্কার কি করে বদলে গেলো? কোথায় চলে গেলো নৈতিকতা? আর ভালোবাসার সংজ্ঞা বদলে গেলো কিভাবে কখন? আমি আমার পুরনো পথেই হাটঁতে চাই, পুরনো নিয়মেই থাকতে চাই, ভালোবাসার যে গান হৃদয়…

আরো পড়ুন

ক্যানাডা ভ্রমণ জান্নাতুল ফেরদৌসী মেহমুদ পর্ব: ০১ আজ একটি স্বপ্নের নীড়ের গল্প বলবো । আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগের কথা । আমরা একই সাথে ঢাকায় একটি হাই স্কুলে পড়তাম । তারপর আমার বাবার অফিস থেকে ট্রান্সফার হওয়ার কারনে ইউরোপের কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটি শেষ করি । আর আমার বান্ধবী মিতু ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করার পর, বিয়ে হয়ে বরের কাছে চলে গেল কানাডা । এদিকে আমার বিয়ের পর আমি চলে আসলাম আমেরিকাতে । প্রবাস জীবনের প্রথম দিকের দিনগুলো সবসময় অনেক কঠিন হয় । নতুন দেশ, নতুন পরিবেশ। সে দেশের কালচার ভাষা সমাজব্যবস্থা সবকিছুর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বেশ কিছু বছর…

আরো পড়ুন

শরৎ এলো দিল আফরোজ রিমা শরৎ এলো পরীর দেশের সাদা ভেলায় ভেসে শরৎ এলো শিউলি ঝড়া মিঠে হাওয়ার দেশে। উদাস দুপুর সুনীল আকাশ দোলে কাশফুল। কলমি ডগায় ভরে উঠে ঝিলের দুটি কূল। মিষ্টি ভোরে শিউলি তুলে গাঁথে ফুলের মালা। শিশিরকণা ভিজিয়ে দেয় সবুজ সজনে ডালা।

আরো পড়ুন