জলপ্রপাত সাবিনা সিদ্দিকী শিবা তোমার নামে সকাল আসে, তোমার নামেই রাত। পাহাড়ের বুকে ঝর্ণার স্রোতে, হয় যে জলপ্রপাত। তোমার নামে আকাশের কোনে জমে থাকে মেঘ। মেঘ বালিকা আকাশ থেকে, ঢালে তার আবেগ। তোমার নামে খরস্রোতা নদীতে, উথলে উঠে ঢেউ। আকাশ হতে বৃষ্টি নামে চোখে, বুঝে না তবুও কেউ। তোমার নামেই সাগরের বুকে, কত স্মৃতি ভীড়ে। এখন ও খুঁজি তোমার ছায়া, স্বপ্ন লোকের নীড়ে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
তিলোত্তমা তিলোত্তমা তুমি আমার মন নিয়েছো কেড়ে জীবন হতে তুমি ছাড়া সব ফেলেছি ঝেড়ে। রোজ বিকেলে তোমার পরশ আমায় শীতল করে তোমার মৃদু হাসির ঝিলিক আমায় আঁকড়ে ধরে। তোমার হাতের আলতো ছোঁয়ায় আমি নুয়ে পড়ি ইচ্ছে জাগে তোমায় নিয়ে সুখের জীবন গড়ি। হুটহাট প্রেম ফেসবুকে জানাশোনা ভাব বিনিময় আবেগের ছলনায় কতো অনুনয়। যাচাই-বাছাই ছাড়া কথা ভাগাভাগি একটুকু কম হলে চলে রাগারাগি। অডিও ভিডিও কলে কতো কতো আলাপ ঘুমঘোরে কেউ কেউ করে সেই প্রলাপ। কতো কতো প্রেমিকা ঘর বাড়ি ছাড়ে অবশেষে টের পায় সেটা হাড়ে হাড়ে। কেউ কেউ দেশ ছেড়ে বিদেশে ও যায় হুটহাট প্রেমের সাজা অনেকেই পায়। কারো কারো…
ছেলেবেলার বন্ধু জাকিয়া সুলতানা থাকি যখন একা একা পড়ে যায় মনে ছোটবেলার সাথীরা আছে কে কোনখানে? লুকোচুরি ;কানামাছি আর খেলতাম পুতুল খেলা মায়ের ভয়ে চুপিচুপি ফিরতাম সন্ধ্যাবেলা। কখনও বা ভাবি বসে হাসি একা একা ফিরে যদি পেতাম আমি সেই বন্ধুদের দেখা। ফেরত দিতাম তাদের দেয়া মিষ্টি মধুর ধোকাঁ খুনঁসুটি আর দুষ্টুমি করে বানাত যারা বোকা। কেউ কেউ এখন ঘর সামলায় কেউ বা বড় পদে আরাম আয়েশ করে তারা দেশ বিদেশ ঘুরে। ফেসবুকের কল্যাণে কারো কারো সাথে যোগাযোগ হয় যাপিত জীবনে ব্যস্ত তারা দূরে দূরে রয়। মন চায় সবাই মিলে আড্ডায় মেতে উঠি বনভোজনে ঘুরে আসি নিয়ে সকল সহপাঠী। যেদিন চলে…
এই মোহ, এই মায়া যেন বৃক্ষের বন্দনা নাসিমা হক মুক্তা মানুষ তার শ্যামের কুলে অবুঝ শিশুর মতো বুকে জেগে থাকে নিজেকে ক্ষয়ে ক্ষয়ে রোজই পৃথিবীর পথে যদি কখনো বেলা হাসে সেই সময়ে যেন একটি বার আলো জ্বলার আশায় সময় বাঁধে জীবন ফ্রেমে। মনে পড়ে কত বেলার গহনে কোথায় যেন এক বাঁক জল বয়ে গেছে নোনতার বন্দরে জীবন কথা বলে দুঃখের, নিঃসঙ্গতার তবুও; জীবন কে আপন লাগে মানুষের এই মোহ, এই মায়া যেন হৃদয়ের ভিতরে অনন্ত বৃক্ষের বন্দনা।
নতুন জীবন আলী আকবর বাবুল সোনালি সিন্ধ রোদেলা দুপুরে আসর পেতেছে অনেক অতিথি আনন্দ আবহ ছড়িয়ে। পুষ্প কাননের ফুলে হলে তুমি ফুলেশ্বরী তোমাকে দেখে হাসছে অনেক পাখি তুমি বধূ, তুমি কোন এক কল্পনার রাজ্যের রানী, তোমাকে সানাইয়ে সুরে প্রেমের আকুল আবেদন জানায়! তুমি তার বাগানের সৌরভের হাসি দূর নীলাকাশ থেকে পেখম তুলে মন ময়ুরী, শত শত পাখি। তার ঘরের সমুখে দাড়িয়ে আছে বৃদ্ধ মা-বাবা চারটি আঁখি। সবার মাঝে বহে উল্লাসের সমীরণ তুমি কখনো করো না মনের অমিলন। নব বধূ বলে করে তোমায় বরণ! সোনালি অতীত ভুলে গিয়ে বরণ কর তোমার নতুন জীবন, জানাই তোমায় অভিনন্দন।
জীবন সে তো পদ্ম পাতা নয় আফরিন মৌ জীবন শুধুই কি পদ্মপাতা জীবন সে তো শুধু পদ্মপাতা নয় কেন জানি এত ছুটাছুটি! জীবনের মানে কি কখনও খুঁজে পেয়েছি! পাইনি! অবিশ্রান্ত চিন্তিত মনে শুধুই সারাক্ষণে ভেবেছি অনেক দেখেছি কাছে শুধুই ছুটে চলেছি অবিরত ছুটেচলা অদম্য ছুটে চলা, রানারের মত ছুটেচলা জীবন সে তো এক পদ্ম পাতা নয়। কিসের মোহে আমরা জীবন যুদ্ধে পদ্ম তো জলের ই শোভা পায়। তবুও তার নেই কোন অহংকার মানুষে মানুষে কেন এত সুরাসুর বিশাল জলরাশির বুকে দাঁড়িয়ে লতানো দেহখানি দুলিয়ে অনন্তকাল চলছে তার নিয়মেই স্থলে ও জলে দাঁড়িয়ে বিস্তৃত হয়ে বিস্তৃত জলরাশির যে প্রানের স্পন্দনে শোভা…
প্রিয়কথন উম্মে কুলসুম মুন্নি শীতের সময় দুপুরের রোদটা বেশ মজার। দখিনের জানালা দিয়ে কি সুন্দর পরম মমতা নিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে না বলে। যেন কত যুগের চেনা সে, বড্ড মায়া লাগে। তাই আমি ওর নাম রাখি মায়া রোদ। মায়া রোদটা অনেকটা তোমার মত। নিজের অজান্তে যেমন তুমি আমার মনের পুরোটা দখল করে নিয়েছ, ঠিক তেমনি। আজকাল হৃদপিণ্ডটা প্রতিবার তোমার নাম করেই বেজে যায় ঢং ঢং শব্দে, তুমি কি তা জানো ? বোঝো তুমি? কি এক শীতল শব্দে তোমার নামে নিঃশ্বাস নেয় এই চেনা শরীরটা, ওটা অক্সিজেন আমি ওর নাম দিয়েছি তুমি, তুমি ছাড়া তো আমি বাচঁতে পারি না, জানো…
প্রতিগল্প রেজাউদ্দিন স্টালিন ঘরের আছে একটা দেয়াল থাক সে, জন্ম আমার বিশ শতকের বাক্সে। আর কিছু নয় অন্ধ ছাদের বক্ষে, বন্দী ছিলাম শূন্য ধুসর কক্ষে। পা বাড়ালাম বাইরে যাওয়ার জন্য, একুশ শতক বললো জীবন ধন্য। চোখ ধাঁধানো অজস্র সব যন্ত্র, ড্রোন মুঠোফোন নেটের নানা মন্ত্র। কিন্তু আমি পিছলে পড়া বিশ্ব, উপনিবেশ- ফন্দিতে সব নিঃস্ব। ঋণের স্রোতে ভাসছে বোকার ফূর্তি দাতাগণতো যিশুর প্রতিমূর্তি। দিচ্ছে সবই খাদ্য এবং বস্ত্র, শর্ত কেবল কিনতে হবে অস্ত্র। যাক ভেসে সব দুর্যোধনের চুক্তি কি প্রয়োজন হত্যার এ প্রযুক্তি। আমরাতো চাই শুনতে বাঁচার গল্প, চোখ ধাঁধানো লোভের যা বিকল্প।
আগুন এম.আর.মনজু আগুন-আগুন-আগুন- আমজনতা বাজার হতে ভাগুন, সব জিনিস এর দাম বেড়েছে মধ্যবিত্তের সব কেড়েছে। ধনীরা আজ মুচকি হাসে গরীবরা হাত পেতে কাশে, মধ্যবিত্তের মনে জ্বলে অবিরত আগুন বাজার হতে ভাগুন। পাগলা ঘোড়া পাগলা বাজার থামান বড়োই দায় মধ্যবিত্তের কঠিন সময় যায় পেরিয়ে হায়!
অভিনয় সামসুন্নাহার জীবন নামক মঞ্চে আমরা সবাই কম বেশি করি কত অভিনয়। রঙ মেখে সঙ সেজে অভিনয়টা বেশ করি। কত কাহিনি কত ঘটনায় মনোরঞ্জন করি। জীবন নামের মঞ্চের আড়ালে চাপা পড়ে থাকে কতই না দীর্ঘস্বাস। এই জীবনের মঞ্চে আমরা কেউবা কাঁদি কেউবা হাসি। তবুও আমরা এই জীবনটাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। অভিনয় আর বাস্তবতার পার্থক্যের মুখোশটা খুঁজে মরি। ভালো থাকার, ভালোবাসার অভিনয়টাও বেশ করি। ক্ষনিকের তরে হলেও দুঃখটাকে বুকে চাপা দিয়ে সুখের রাজ্যে ভাসি।
