অনুষ্ঠিত হলো ২৮তম ট্রাব অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান:
গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে প্যান্ প্যাসিফিক সোনারগাঁ ঢাকা হোটেলের গ্রান্ড বলরুম অডিটোরিয়ামে ২৮তম ট্রাব অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২৮ তম ট্রাব অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা প্রদান করা হয় বরেণ্য কবি ও কথাসাহিত্যিক তসলিমা হাসানকে।
প্রবাসে অবস্থান করার কারণে তাঁর পক্ষে উক্ত অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রুক্সি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারলেও অনুষ্ঠানে আগত সকল গুণীজন এবং দর্শক শ্রোতাদের তিনি অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কবি ও কথাসাহিত্যিক তসলিমা হাসান। এছাড়াও Television Reporter’s Unity of Bangladesh এর সংশ্লিষ্ট সম্মানিত সকল সদস্যকে অজস্র ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি থেকে ২৮তম ট্রাব অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে হোসেন গ্রুপের পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন গ্রুপ সিইও ড. মো. আব্দুস সাত্তার। হোসেন গ্রপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য শিক্ষাসাগর সম্মাননা দেয়া হয় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে।
আর্তমানবতার সেবা, শিল্প-বাণিজ্য ও ক্রীড়ায় বিশেষ অবদানের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তকে সম্মাননা দেয়া হয়।
এ ছাড়াও চলচ্চিত্র ও সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে মরোণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়।
ট্রাব অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রেখে চলেছে। বিশেষ করে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে যারা কাজ করছেন তাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। দেশাত্মবোধ সৃষ্টিতে এই অ্যাওয়ার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা পুরস্কার পেয়েছেন তারা অবশ্যই গুণী মানুষ
তিনি আরো বলেন, আমরা হয়তো অর্থনৈতিকভাবে সম্পদশালী দেশগুলোর মতো সমৃদ্ধ না হয়তো অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু আমাদের কৃষ্টি এবং সংস্কৃতিতে পৃথিবীতে সমৃদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে আমরা অন্যতম।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাংলাসাহিত্য পৃথিবীর সমৃদ্ধ সাহিত্যের একটি। ইউরোপের বাইরে সাহিত্যে যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার পান তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতবর্ষে যিনি চলচ্চিত্রের জন্য বিশ্ব স্বীকৃতি পান তিনি স্যুজিৎ রায়।
হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্রে অভিনয় ও পরিচালনায় আমাদের দেশের অনেক শিল্পী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন, পাচ্ছেন। তাদের এই অর্জনকে ধরে রাখতে হলে আমাদের এর উৎকর্ষ সাধন প্রয়োজন। দরকার পরিচর্যা ও স্বীকৃতির। সে জন্য আমি মনে করি এই ধরনের স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বায়নের এই সময়ে আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব থেকে নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করার অনুরোধ করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরার আহ্বান করেন তিনি।
শিল্প-সংস্কৃতিতে বিশেষ করে নিজেদের মৌলিকত্ব ধরে রাখা এবং তা লালন করার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে হাওয়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে মেজবাউর রহমান সুমন, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীকে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, নাটক ও টেলিভিশন বিভাগের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৪৩ জন শিল্পী ও কলাকুশলীদের অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
ট্রাবের সভাপতি সালাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- এটিএন বাংলার উপদেষ্টা তাশিক আহমেদ, ট্রাবের সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক হামিদা খানম প্রমুখ।
১ Comment
অভিনন্দন জানাই, কবি ও কথা সাহিত্যিক তাসলিমা হাসানকে। এবং এওয়ার্ডস প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জানাই অনেক অনেক শুভকামনা।