দাদী নানী আদর্শ মডেল
জাহানারা সরকার
দাদী নানীকে কোন সে যুগে ব্লাউজ ছাড়া দেখেছে কাপড় পরা সাজে,
সেই দোহাইয়ে সৌন্দর্য প্রকাশে ইচ্ছে জাগানো
অনুপ্রেরণা দেহের ভাজে ভাজে।
দাদী নানী আজ জীবন মডেল অনুকরণীয় আদর্শ মন্দ কি তাতে ভাই?
স্বামীর কিল, গুতা, বকা ঝকা খেয়েও তারা
স্বামী ভক্তিতে সংসার ভাঙে নাই।
তবে তুমি কেন পান থেকে চুন খসালেই
তালাক পাঠাও ঘর করিস না ভাই?
নিত্য নতুন এটা ওটা অদম্য চাহিদায়
বাইরে কেন অর্থের লোভে গৃহে কেন নাই?
তোর দাদী নানীর কি অসীম ধৈর্য ছিল
সেই আদর্শে গুণবতী স্বামী সেবা কর,
তোর মতো একলা খেতে দাদী নানী
শ্বশুড় শ্বাশুড়িকে করতো না মর মর।
জীবনের রঙ বুঝে নাই সাত থেকে তের বছরে দাদী নানী ঘোমটা টেনে গেছে শ্বশুড়বাড়ি,
ধৈর্য ছিল অফুরান সেবায় শুশ্রষায় কেটেছে
সকাল থেকে রাত দুপুর টেনে হেঁসেলের হাড়ি।
তোর বয়সে দাদির ছিলো ঘর ভর্তি আত্মীয়স্বজন, ননদ দেবর, ছেলেমেয়ে।
ঘর সামলাও, সবার মন জোগাও স্বামী সেবাও
একলা হাতে হেঁসেলে ঘেমে নেয়ে।
দাদী নানী স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে
লেখাপড়ার পায়নি সুযোগ কোন কালে,
তবু জ্ঞানে গুণে অতুলনীয়, ধৈর্যের অতল পাহাড় সংসার রক্ষা, স্বামীর মন জয়ের ছলে।
শিক্ষার এই বেহাল দশা শিক্ষিত নারী আজি বেআব্রু, বেপর্দার অধিকারে রাস্তায় নামে,
তাহলে শিক্ষায় কি মানুষের নৈতিকতা বোধের অধঃপতন এই সভ্য ধরাধামে?
চাওয়ার মতো কত অধিকার মুখ থুবড়ে কাঁদে হীনস্বার্থে শিক্ষার মুখে চুনকালি মেখে,
পুরুষের নৈতিকতায় কপটতা ঝাড়ে।
লোলুপ, কামুক, হিংস্র নজর চারদিকে পুরুষের কপটতার দোষ কেন ভাই?
পরিবারের মান সম্মান, নিজের লজ্জাবোধ বিবেক, ধর্ম ভয় নাই?
যতই ভাবিস হাজার পুরুষ হাত মিলিয়ে হাতে মন মিলিয়ে মনে আছে তোর তরে,
ঐ দেখ দুর বিহনে কপটতার হাসি হাসছে
আসলে বিপদ সঙ্গী সাথী সবাই যাবে সরে।
শিক্ষা যদি সুশিক্ষা না দেয় ধর্মভীতি যদি মনের গোপন কোণে
সন্দীপনে না জাগে
পারিবারিক সম্মান, সমাজরীতি মানতে যদি অনুপ্রেরণা মনের বোধে ভাল না লাগে,
তবে কি আর করা? বাবারে——-
বাইরে এসে ছোট পোষাক আর ছোট করিস না লজ্জায় যাবো মরে।
তারিখ-১৩/০৯/২০২২ ইং
৩ Comments
ভালো লাগলো পড়ে। সুন্দর ও যৌক্তিকতায় নৈতিকতার উপাদান মেলে ধরা আদর্শ কবিতাটি।
পোষাক আর কু শিক্ষার নৈরাজ্যের সামনে উপযুক্ত জবাব হয়েছে।
কবিকে অভিনন্দন।
Thank you very much. Best whishes for protibimbo Prokashon
Thanks.