জাগ্রত মিলনমেলা ও জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জাগ্রত জনতা।
দার্শনিক কবি পল্লব রেবুলেট এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কবি ও গীতিকার মঞ্জু খন্দকার।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি গণমাধ্যমকর্মী আসাদ কাজল। জাগ্রত আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন নজরুল একাডেমি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক বাংলাদেশ বার্তার সম্পাদক ও আবদুর রশীদ চৌধুরী।
জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জাগ্রত জনতার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিআরবি গ্রুপের ম্যানেজার আবদুল কাদের, দুই বাংলার সাড়া জাগানো কবি বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি নাহিদ রোখসানা, জাগ্রত সেবার কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট লায়ন নাজনীন সুলতানা লুনা, আবদুল গণি ভুঁইয়া, কবি ও কলামিস্ট আবুল খায়ের, কবিও সংগঠক শব্দের জাদুকর উত্তম কুমার দেবনাথ, সাংবাদিক নাসির উদ্দীন বুলবুল কবি মোসলেহ উদ্দিন, আলোকিত প্রতিদিনের সম্পাদক কবি সৈয়দ রনক, জাগ্রত জনতার খুলনার সভাপতি, নরসিংদী জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতার সভাপতি প্রফেসর আবুল হোসেন, নীলফামারীর সভাপতি ফজলে রাব্বী ফেনীর সভাপতি রবিউল করিম পারভেজ, থ্রি ডি গ্রুপের চেয়ারম্যান রক্ত দাতা জাভেদ নাসিম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় নজরুল ইসলাম সৃষ্টিকে স্থাপন করেছেন আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক জীবন বাস্তবতায় জটিল আবর্তে। কবিতা তাই হয়ে উঠেছে সামাজিক দায়িত্ব পালনের শানিত আয়ুধ। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় নজরুলের বিদ্রোহ চেতনার মাঝে লক্ষ্য করা যায় ত্রিমাত্রিক বৈশিষ্ট্য।
এছাড়াও অসত্য অকল্যাণ অশান্তি অমঙ্গল এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, স্বদেশের মুক্তির জন্য ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং শৃঙ্খল-পরা আমিত্বকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বিদ্রোহ করেছিলেন নজরুল।
বক্তারা আরও বলেন, নজরুলের বিদ্রোহ চেতনাকে নানা মাত্রায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কখনো তা হয়েছে সদর্থক, কখনো-বা নৈতিবাচক। তবে তার বিদ্রোহী সত্তাকে যেভাবেই দেখা হোক না কেন, তা ছিল মূলত সৃষ্টিশীল। তার বিদ্রোহ সৃষ্টিশীল বলেই ধ্বংসের মাঝে তিনি খুঁজে পেয়েছেন নতুন সৃষ্টির উৎস। সৃষ্টিশীল পুরানচেতনা ও ঐতিহ্য ভাবনা ‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্রাতিস্বকতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
জাগ্রত গ্রুপের চেয়ারম্যান জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম বলেন, সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে কাজ করছে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের কল্যাণে জাগ্রত ব্যবসায়ীসহ মানবিক কর্মকান্ড, রক্তদান কর্মসূচী, অনাহারীদের খাবার বিতরণ সহ অলাভজনক ৮ টি সেবার কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সীমিত সার্মথ্য দিয়ে কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতির সামনে তুলে ধরতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। আলোকিত দেশ গড়তে সবসময় আমরা এই জাগ্রত কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তিরিশ জন কবি ও সাহিত্যিকদের মাঝে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
১ Comment
সকলকে অভিনন্দন জানাই