আলো আঁধার
খান জান্নাতুল ফেরদৌস আলাপী (অপরাজিতা)
গৃহত্যাগী মানুষ গৃহ ছেড়ে যায় ঠিকই তবু গৃহ তার পিছু ছাড়েনা,বাড়ির টান মায়া এগুলো তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় তবু তাকে গৃহ ছেড়েই থাকতে হয়ে।অর্থাৎ আপন জন ত্যাগ করে দূরে বহুদূরে তাকে জীবন যাপন করতে হয়।এ জীবন বড়ো বেশি আঁধারে ঢাকা আলোর দিশা তাই তাঁর নিকট বর্তি। দূরে থেকে সাধনে সাধন করে তাঁকে সে ঠিকই পেয়ে যায় যে এমন মানব জীবন করল দান।জান্নাতে পাখিরা যখন কলরব করেন আল্লাহ মুচকি হাসেন তিনি খুশি থাকেন।সবুজ গালিচা বিছানো চাদরে হেলান দিয়ে যখন তাঁর প্রিয় বান্দারা বসবেন, তখন তিনি বলবেন, হে মুমিনগন আমিতো দুনিয়ায় তোমাদের দারিদ্রতা দান করেছি তোমাদের জান্নাতি সম্মান দান করার জন্য। এখন যা পেয়েছ এটা তোমার আসল ঠিকানা।সুবহানাল্লাহ্।স্রষ্টাকে পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো ধ্যান করা আর নিজের আমিত্ব কে ত্যাগ করা।
তবু আজ বিপন্ন মনে বিষন্নতা বাস করে নিজের বাড়ির উঠানে সেই ছেলেবেলা খেলা করা আমাকে এক অদ্ভুত অনুপ্রানীত করে। আসলে আমি নারী তাই এখনো আমার আমিত্ব ত্যাগ করতে পারিনি।এতো মায়া থাকা বিপদ জনক আমার স্বামী আমাকে ত্যাগ করেছিলেন তাই আমি সেই যে এক আশ্রমে থাকি আর কোনদিন কোন আপন জনের কাছে ফিরে যায়নি।সংসার জীবনে খুব সখ ছিল একটা সন্তানের বাট আল্লাহ দেননি।
এখন বুঝতে পারি না দিয়ে তিনি কত মঙ্গল করেছেন আমার, সন্তান হলে অবশ্যই তার বাবার পরিচয় বহন করতো আরও তার বাবার ভিটায় পা রাখতে চাইতো আর তা খুবই দুঃখ জনক হতো। তাকেতো আমার মুখ দেখানো বারন অখচ ছেলেমেয়ে বাবার কাছে যাওয়ার বাইনা করতো, যে ভিটে বাড়িতে আমার কোন ঠাঁই হয়নি সেখানে আমার সন্তানের ঠাঁই হতোনা অসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাটা আরো কষ্টদায়ক হতো বাবার পরিচয় গোপন রাখতে হতো তার থেকে এ-ই ভাল আমি একা আসার কেউ নেই, কখনো আলো আর কখনো আঁধার আর এভাবেই যাচ্ছে চলে জীবন।তবু আমার স্বামীকে আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করে কতদিন দেখিনা তাকে।
গল্পটি সম্পুর্ন কাল্পনিক কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নেয়,ধন্যবাদ সকল করে।
১ Comment
very good response; congratulations.