একটা চিন্তা কাজ
লীলা দেউরী
আগ্রায় যাই আমি প্রতিদিন, কিন্তু আগ্রায়-
তাজমহল দেখি না;
হিমালয়ে যাই প্রিয় সুখের সন্ধানে,
সেখানে শিবের ডঙ্কার কানে বাজে না
বৃন্দাবনে ভ্রমনের জন্য যাই না, যাই রাধার
চোখের জল ছুঁতে সেখানে জল কই, কৃষ্ণের বিরহ বুঝি না
গয়া গিয়ে মনের উদ্ধার তৃপ্তিতে সকাল হয়েও-
গড়িয়ে পড়া বিকেল চলে আসে,সমুদ্রের ঢেউয়ের মত!
মানস সরোবরে, যেখানে সতীর দক্ষিণ হাত পড়েছিল
সেখানে পুস্তক দর্শণ ভাগ্যে হয়ে ওঠে না!
আর পুরীতে যে সতীর নাভি সেখানে ডান নিচের হাতে
অভয় বরও চোখে পড়ে না কামরূপ?
রক্তপাষাণ রূপিনী মূর্তিতে অন্ধকারে আটকে
রেখেছেন নিজেকে সতীর আজও মুখ দেখি না!
গেলাম শেষে লঙ্কায়, পেলাম?
শেষে সতীর নূপুর পায়ে জড়াতেই কেঁপে উঠল হিমালয়
সমস্ত সুন্দর সে ছন্দ লয়ে অট্টহাস্যে নিজ অলংকারে
নামিয়ে নিল সেখানে, জল, গাছ,পাতা, ফল, ফুল চাঁদ হয়ে- উঁকি দেয়
কিন্তু মাতা সতী, যাই যা হোক এমন ভবঘুড়ে মনে মা
যে ফিরে দেখে না।