অভিনন্দন আবদুল আউয়াল মিন্টু ভাই:
শিক্ষার কোনো বয়স নেই। জ্ঞানার্জনের তীব্র আকাঙ্খা, ধৈর্য্য, চেষ্টা থাকলে বয়স যে বড় বাধা নয়, তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু। ৭৩ বছর বয়সী দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ব্যবসায়ী ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ল’তে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) আমাদের সময় ডটকমকে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি ২০১৭ সালের মে মাসে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে আইনে মাস্টার্সের ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন। এরপর মোট চারটি কোর্সে ৫৩, ৬১, ৬২ ও ৬৪ মার্কস পেয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তবে এর আগেও তিনি এগ্রিকালচার অব ইকোনমিকস এবং মেরিন ট্রান্সপোর্টেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু তিন সন্তানের জনক। তিনি ১৯৪৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে এসএসসি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৬৬ সালে এইচএসসি পাস করেন। মার্কেন্টাইল মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম থেকে নৌবিজ্ঞানে ১৯৬৮ সালে ডিপ্লোমা করেন। নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৩ সালে মেরিন ট্রান্সপোর্টেশন বিজ্ঞানে বিএসসি ডিগ্রি ও ১৯৭৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
১৯৯৫ সালে কৃষি ব্যবসা শুরু করার পর সোয়াচ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এগ্রিকালচার অব ইকোনমিকসে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সর্বশেষ ২০২২ সালে তৃতীয়বারের মতো ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কুইন মেরি কলেজ থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ল’তে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু কর্মজীবনে মেরিন একাডেমি থেকে জাহাজের ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। চাকরি করেন আমেরিকান জাহাজ কোম্পানিতে। ১৯৮১ সালে জাহাজ কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে শুরু করেন শিপিং লাইনের ব্যবসা। আমেরিকান লাইনেই তিনি প্রথম পাঁচ-সাত বছর শিপিং ব্যবসা করেন। এরপর দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিল এবং প্রগতি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি ১৯৮৩ সালে বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। এরপর ১৯৯৫ সালে কৃষি সেক্টরে ব্যবসায় হাত দেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বীজ কোম্পানি লাল তীর সিডের চেয়ারম্যান তিনি।
ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক আব্দুল আওয়াল মিন্টুর ব্যবসা বিস্তৃত রয়েছে ব্যাংকিং, রিয়েল এস্টেট, অটোমোবাইল, সিমেন্ট, শিপিং, স্পিনিং, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্য বিপণণ থেকে শুরু করে কৃষি খাত পর্যন্ত। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর দু’বার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।